• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সাক্ষাৎকার

‘কবিতা মানুষের মনন ও বোধের উৎকর্ষ সাধন করে’

  শব্দনীল

০৫ মার্চ ২০১৯, ১৬:৩৪
ছবি
ছবি : মিঠা মামুন

মিঠা মামুন। কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার খিদিরপুর গ্রামে ১৯৮৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষক পিতা মো. আবুল কাসেম ও মাতা মোছা. জাহানারা বেগমের তিন সন্তানের ভেতর তিনিই ছোট। শৈশব থেকেই লেখালিখির প্রতি প্রবল ঝোঁক ছিল । প্রকৃতি, প্রেম ও দ্রোহ, মানবিক জীবনদর্শন, সমাজ ও রাষ্ট্রের নানা অসংগতিসহ জীবন ও জগতের গূঢ়মায়া তার লেখায় উঠে এসেছে।

মিঠা মামুন একজন সংস্কৃতি ও আবৃত্তিকর্মী। তিনি ঢাকার স্বনামধন্য মঞ্চগুলোতে নিজের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় বহু আবৃত্তি অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মিঠা মামুন জড়িত আছেন টেলিভিশন ও ফিল্ম মিডিয়ায়। তার সৃজনশক্তি তাকে বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাণের মত সুদূরপ্রসারী পথে চলতে সাহায্য করেছে। চিত্রনাট্য ও পরিচালনার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের গীতিকার ও সুরকার হিসেবেও তিনি সাক্ষ্য রেখেছেন নিজের মেধা ও মননের। তার কথা ও সুরে চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কনক চাঁপা, কিশোর, ন্যান্সি, কণা, তাসিফসহ অনেক জননন্দিত শিল্পরা। তিনি ‘শুদ্ধপথ’ নামক একটা মানবিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি।

তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্ন জলে স্নান’ প্রকাশিত হয়েছে একুশে বইমেলা ২০১৭ সালে। আর দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘নিঃশ্বাসে শব্দ ভাসে’ প্রকাশিত হয় একুশে বইমেলা ২০১৮ সালে। বই দুটি পাঠক হৃদয়ে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। তার লেখা বেশ কিছু গল্প দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন পত্রিকায় দারুণ প্রশংসিত হয়েছে। ‘এসো, হাত ধরো’ তার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস।

‘এসো, হাত ধরো’ এবং সাহিত্যচর্চার সামগ্রিকতা নিয়ে মিঠা মামুন মুখমুখি হয়েছিলেন দৈনিক অধিকার এর সাথে।

দৈনিক অধিকার : গ্রন্থমেলার বিকেলগুলো কেমন কাটছিল আপনার?

মিঠা মামুন : অসাধারণ মুগ্ধতা কাজ করেছে। মেলার প্রতিটি বিকাল যেন অনুভূতির ফ্রেমে প্রেমবন্দি হয়ে আছে। এবার বইমেলা আমাকে দুহাত ভরে শুধু ভালোলাগার অনুভূতি দিয়েছে। কিন্তু এখন খারাপও লাগছে কারণ দেখতে দেখতে চোখের সামনেই গ্রন্থমেলা শেষ হয়ে গেল। আবার সেই রোমাঞ্চকর বিকেলের জন্য এগার মাসের প্রতীক্ষা।

দৈনিক অধিকার : একজন পাঠক হয়ে মিঠা মামুনকে কি হিসাবে গ্রহণ করবো, কবি না গল্পকার?

মিঠা মামুন : একজন ভালো লেখক হতে হলে অবশ্যই সবার আগে তাকে ভালো পাঠক হতে হয়। সেই চর্চা থেকেই বাংলাসাহিত্যের সৃষ্টিশীল পথে কবিতার হাত ধরে আমার প্রথম আগমন ঘটে । আমার লেখা দুটো কবিতার বই ‘স্বপ্নজলে স্নান’ ও ‘নিঃশ্বাসে শব্দ ভাসে’ প্রকাশ পেয়েছে। কবিতার পাশাপাশি বেশকিছু বছর ধরে গল্প ও চিত্রনাট্য নিয়ে ফিল্ম ও টিভি মিডিয়ায় কাজ করছি। ২০১৯ বইমেলায় ধ্রুব এষের প্রচ্ছদে অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে ‘এসো, হাত ধরো’ নামে আমার একটি রোমান্টিক উপন্যাস বের হয়েছে। তবে কবিতার প্রতি আমার একটা আলাদা টান আমি সব সময় অনুভব করি।

দৈনিক অধিকার : প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘এসো, হাত ধরো’ নিয়ে বলুন-

মিঠা মামুন : এইবার ২০১৯ বইমেলায় ধ্রুব এষের প্রচ্ছদে অনিন্দ্য প্রকাশ থেকে আমার প্রথম উপন্যাস ‘এসো, হাত ধরো’ প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাসটি প্রকাশের পর থেকেই পাঠকের আগ্রহ ও ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। প্রথম উপন্যাস হিসেবে আমি প্রেমের উপন্যাস নির্মাণে উদ্যোগ নিয়েছিলাম। বইমেলায় পাঠকের এত এত ভালোবাসা ও সাড়া দেখে মনে হয়েছে আমার এই সদিচ্ছা ভুল ছিল না। ভালোবাসার চেয়ে বড় কোন সংক্রামক ব্যধি নেই। তাই হয়তো উপন্যাসের ভালোবাসা আমার সুহৃদ পাঠকের হৃদয়েও শিহরণ জাগিয়েছে।

দৈনিক অধিকার : ‘এসো, হাত ধরো’ উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় নিয়ে বলুন-

মিঠা মামুন : মৃতপ্রেমে মিথ্যে হাসি হাসতে গিয়ে আজকাল বহু মানুষ নিজের ভেতর নিজেই যেন গুমরে মরে। অথচ চাইলেই ছোট ছোট অনুভূতির চাহিদাকে তার প্রাপ্য সম্মান আর ভালোবাসা জানিয়ে সুখী হওয়া যায়। বর্তমান সময়ের দাম্পত্য জীবনের এত দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হতাশা, কলহ আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছে তাদের সামনে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ একটি সংসার কেমন হতে পারে তার গল্প লিখতে। বিবাহিত জীবনে ভালোবাসা থাকার পূর্ব শর্ত হচ্ছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, বিশ্বস্ততা, নির্ভরশীলতা, মুগ্ধতা আর একে অপরকে বুঝতে পারার কিংবা ছাড় দেবার মানসিকতা । আমার এই উপন্যাসটি লিখতে গিয়ে আমি এক নবদম্পতির জীবনকে অঙ্কন করেছি। যাদের চারিত্রিক নির্মল বৈশিষ্ট্যের ভেতর দিয়ে পাঠক নিজেদের মনস্তাত্ত্বিক সৌন্দর্য নির্মাণে প্রয়াসী হবেন।

দৈনিক অধিকার : সাহিত্যের উৎকর্ষের জন্য কবিতা, গল্প, উপন্যাস, অথবা প্রবন্ধের মধ্যে আপনি কোনটিকে বেছে নিবেন এবং কেনো নিবেন?

মিঠা মামুন : সাহিত্যের উৎকর্ষের জন্য আমি কবিতা, গল্প, উপন্যাস, অথবা প্রবন্ধে সবকটিকেই বেছে নিবো। কারণ সাহিত্য তার কোনো একটি পথে সমৃদ্ধ নয়। গল্প, কবিতা, উপন্যাস বা প্রবন্ধে এই প্রতিটি শাখাই সাহিত্যকে উৎকর্ষের শিখরে পৌঁছেছে। আমার মনে হয় পাঠকদের সাহিত্যকে গ্রহণ করার নিজস্ব মাপকাঠি থাকে। সবাই সব বিষয়কে একিভাবে ধারণ করতে পারেনা। এর জন্য সাহিত্যের শ্রেণিবিন্যাস। একি আবেদন ভিন্ন ভিন্ন রূপে ( কখনো কবিতা, কখনো গল্প, কখনো উপন্যাস) প্রকাশ করেন সাহিত্যিক।

দৈনিক অধিকার : পাঠকপ্রিয়তার দিক থেকে কবিতার চেয়ে গল্প বা উপন্যাস এগিয়ে। এটার হওয়ার পিছনে কোন কারণ আছে বলে মনে করেন?

মিঠা মামুন : হ্যাঁ, এ কথা সত্যি পাঠক প্রিয়তার দিক থেকে কবিতার চেয়ে গল্প বা উপন্যাস এগিয়ে। এর কারণ কবিতা মানুষের মনন ও বোধের উৎকর্ষ সাধন করে। কবিতা অনেকটা ঘোরের মত। কবিতার বোধ ও ঘোর দুটোই মানুষকে ভাবায়। আবার অনেক সময় অনেকের কাছে কবিতা বেশ দুর্বোধ্যও মনে হয়। কিন্তু গল্প বা উপন্যাস মানুষের জীবনের সরল প্রবাহের মত চিত্রময় রূপে বয়ে চলে। গল্প বা উপন্যাস পড়তে গেলে মানুষকে কবিতার মত এত ভাবিয়ে তোলে না বরং বিনোদিত করে তোলে। গল্পের সব বুঝতে পারার আনন্দে সুখী করে তোলে। তাই গল্প বা উপন্যাসের প্রতি পাঠকের চাহিদা বেশি থাকে।

দৈনিক অধিকার : আপনার সাহিত্য চর্চার শুরুর দিকের কথা বলুন-

মিঠা মামুন : আমার লেখালেখির সবচেয়ে বড় প্রেরণার আশ্রয় ছিলেন আমার স্কুল শিক্ষক পিতা মো. আবুল কাসেম। যিনি এখন আকাশের তারা হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। তাঁর উৎসাহেই মূলত আমি সাহিত্যচর্চায় আগ্রহী হই। আমি কবিতা ও সমালোচনা গ্রন্থ পড়তে ভালোবাসতাম। আমি শৈশব থেকেই খুব ডায়েরি করতাম।ডায়েরি লিখতে লিখতে কখন যে বুকের ভেতর লেখালেখির প্রতি এক রকম ব্রত জন্ম নিলো তা টেরই পেলাম না। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বের হওয়ার পর পাঠকের উৎসাহ ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে নিজেকে আজন্ম শব্দের শ্রমিক হিসেবে শানিত করতে দৃঢ়প্রত্যয়ী হই।

দৈনিক অধিকার : জীবনের চলতি পথে এমন কোন গল্প আছে, যে গল্পের অনুপ্রেরণায় আপনি লেখে যাচ্ছেন?

মিঠা মামুন : আমার শিল্প সাহিত্য চর্চার বিষয়টা অন্য অনেকের মত অতটা মধুর বা সহজ ছিল না। আমি শৈশব থেকেই দেখেছি আমার আশেপাশে কেউ শুদ্ধ করে কথা বললেই সমাজের উচ্চস্তরের মানুষগুলো খুব ব্যঙ্গাত্মক কথাবার্তা ছুঁড়ে দিতেন । অথচ আমি খুব অল্প বয়সেই বই পড়তে পড়তে জেনেছিলাম সুন্দর করে কথা বলতে পারা একটা শিল্প।যেখানে শিল্প ও সাহিত্যকে ধারণ করতে এত ভয় ও দ্বিধা সেখানে আমি প্রচুর বই পড়তে ভালোবাসি পাশাপাশি সামান্য লিখতেও চেষ্টা করছি এটা জানাবার মত আনন্দ বা সাহসটুকু কখনোই দেখাতে পারিনি। আমি শুধু ভাবতাম সুন্দর করে কথা বলতে গেলে যেহেতু এত অপকথা শুনতে হয় তবে মনের অনেক কথাই হয়তো কখনো আমি কাউকে বলতে পারবো না।তাই ভাবলাম আমি কিছু লিখলে বাবা তো খুব উৎসাহ দেন তবে এখন থেকে মনের সব কথা গল্প কবিতা উপন্যাসে লিখে যাবো। বই আকারে শুদ্ধ কথাবার্তা লিখা থাকলে নিশ্চয়ই কেউ আর ব্যঙ্গ করবে না। আমার এই ক্ষুদ্র জীবনে আমার এমন তর বেশ কিছু নীরব দুঃখ আছে যা আমাকে শিল্প সাহিত্য চর্চায় ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে। সেইসব দুঃখরা এখন আপনাদের ভালোবাসায় আমার হৃদয়ে বাসন্তী ফুল হয়ে ফুটছে ।

দৈনিক অধিকার : আপনার উপন্যাসটি নিয়ে কতটা আশাবাদী এবং পাঠক কতটা গ্রহণ করবে বলে মনে করেন?

মিঠা মামুন : বইমেলার একেবারে শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে সবার কাছেই স্পষ্ট হয়েছে যে আমি আমার উপন্যাসটি নিয়ে যতটুকু আশাবাদী ছিলাম তার মাত্রা এতদিনে বহুগুণ অতিক্রম করেছে। পাঠক আমার উপন্যাসটি প্রত্যাশার চেয়েও অধিক বেশি ভালোবাসায় গ্রহণ করেছে। আমার উপন্যাসটি ঘিরে পাঠক হৃদয়ে যে উন্মাদনা দেখেছি তা আমাকে উপন্যাস লিখার প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করেছে।

দৈনিক অধিকার : উপন্যাসের কোন বিষয়টি পাঠকের মনে আলোড়ন তুলবে বলে মনে করেন-

মিঠা মামুন : উপন্যাসে বর্ণিত দম্পতি স্বর্ণা ও আনন্দের ভালোবাসাময় জীবনের প্রচ্ছন্ন বিষয়টি পাঠকের মনে আলোড়ন তুলবে। জীবনে ভালোবেসে সুখী হওয়ার জন্য প্রেমিক প্রেমিকা বা পূর্ব পরিচিত হওয়াটা জরুরী নয়; জরুরী হলো ভালোবাসার মতো একটা মন থাকা,ভাল থাকার বা ভালো রাখার মতো সৎ চেষ্টাটুকু থাকা। যে মানুষটার সাথে আজীবনের জন্য আমরা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হই সেই মানুষটার ভালো লাগা,মন্দ লাগা, তার ছোট ছোট অনুভূতিগুলোর প্রতি সচেতন হলেই একটি সফল দাম্পত্য জীবন রচনা করা যায়। আনন্দ আর স্বর্ণা স্বামী স্ত্রী।তারা তাদের ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীর বুকেই স্বর্গ রচনা করেছে।তারা একজন আরেকজনের পৃথিবী হয়ে উঠেছে।তাদের জীবন আবর্তিত হয়েছে ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে। জীবনে দুঃখ কষ্ট থাকবেই। তখন যদি প্রিয় মানুষটা পাশে থেকে শক্ত করে হাত ধরে বলে- ‘ভেবো না, আমি আছি তো’। জীবন তখন পূর্ণ হয়ে ওঠে। তখন চাইলেই পৃথিবীর সব জরাজীর্ণতা, হতাশা, দুঃখকে পেছনে ফেলে তারা নতুন করে ভালোবাসায় নিমজ্জিত স্বর্গ সুখের নীড় রচনা করতে পারে।

দৈনিক অধিকার : সম্পর্ক একটি আদিতম শব্দ। এর যেমন ভিন্ন রূপ আছে তেমনি রূপান্তরও। মিঠা মামুন কোন রূপের সম্পর্কে ধারণ করে?

মিঠা মামুন : মিঠা মামুন নিজেকে একজন মানুষ রূপে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন। কারণ একজন সত্যিকারের ভালো মানুষ হয়ে ওঠাটাই সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। সমস্ত মানবীয় গুণের অধিকারী একজন মানুষ যে কোনো সম্পর্কের জন্যই আদর্শ।

দৈনিক অধিকার : সাহিত্যের কোন বিষয়টি আপনাকে ভাবায় বা উপলব্ধির স্থান তৈরি করে দেয় বলে মনে করেন-

মিঠা মামুন : ইদানীং উদ্দেশ্যহীন সাহিত্য রচনা বিষয়টি আমাকে খুব ভাবায়। আমি এমন অসংখ্য গল্প,কবিতা, উপন্যাস দেখতে পাই যেটা লেখার প্রকৃত উদ্দেশ্য লেখক নিজেও জানেন কিনা আমি সন্দিহান। কারণ আমি বিশ্বাস করি শিল্প সাহিত্য মানুষের বোধশক্তি ও মননশীলতাকে উন্নত ও জাগ্রত করার জন্য সবচেয়ে বড় মাধ্যম। লেখা অবশ্যই লেখকের নিজস্ব অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। কিন্তু এর মধ্যেও যদি কোনো গঠনমূলক চিন্তা পাঠক হৃদয়কে স্পর্শ করে তবেই লেখার সার্থকতা আসে।

দৈনিক অধিকার : অনেকের মুখে শুনি বাংলা সাহিত্য ঢাকা কেন্দ্রিক। কথাটি কতটা সত্য বলে মনে করেন-

মিঠা মামুন : হ্যাঁ কথাটা এক অর্থে সঠিক। কারণ বাংলা সাহিত্যের সূতিকাগার মূলত ঢাকাতেই। কারণ বাংলা সাহিত্যের বীজমন্ত্র ঢাকাকে ঘিরেই জন্ম নেয়। তবে আধুনিক সভ্যতার উষ্ণস্পর্শে প্রযুক্তি আর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে এখন ঢাকা থেকে শুরু করে বাংলার যে কোন প্রান্তিক অঞ্চলেও সাহিত্যের চর্চা ও অনুপ্রবেশ ত্বরান্বিত হচ্ছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সাহিত্যের এই মেলবন্ধন বাংলা সাহিত্যের জন্যই খুব আনন্দের বিষয়।

দৈনিক অধিকার : ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য।

মিঠা মামুন : আপনাকে এবং দৈনিক অধিকার পরিবারের সকলকেও ধন্যবাদ।

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড