এম. ফজলে রাব্বী
একসাথে হেঁটেছি বহুপথ শুধু ছুঁয়ে দেখা হয়নি তোর হাত তুই-আমি যেন রেললাইনের সমান্তরাল দুটি পাত, যেন আমাদের মিলনেই দুর্ঘট। আমাদের অমিলেই যেন সৃষ্টির কল্যাণ।
অথচ এক হৃদয় ছিলাম তখন মান অভিমান, শত অভিযোগ তবু আড়াল হলেই মনে পড়ত তোর চোখ তোর চোখেও যে জল পড়ত তা কিন্তু বুঝতাম তোর ফোলা চোখ তোর হৃদয়ের কথা বলে দিত।
চাইতাম তোকে খুব হয়তো তুই তার থেকেও বেশি কতবার বলেছি, আমি শূন্য, রিক্ত, নিসঙ্গ প্রতিবার হেসে বলেছিস,‘খুঁজে দেবো নাকি সুবোধ সঙ্গিনী?’
তবু তো বারবার বোঝাতে চেয়েছি হৃদয় মন্দিরে যারে রেখেছি সে কি আর গিরিনন্দিনী?
হয়তো বুঝেছিস আমি নিশ্চিত, তুই বুঝেছিস। তবু তো এড়িয়ে গেছিস বাহানায়!
কিশোর মনের সেই বিশুদ্ধ প্রেম সেই হৃদয়ে নাড়া দিয়ে যাওয়া স্মৃতি মনে দাগ কেটে যাওয়া কত ক্ষণ আমাকে উদ্বাস্তুর মত ঘুরিয়েছে শহরের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে। বহুরাত ঘুমাতে পারিনি আমি, সুপ্রিয়া।
তোর দেয়া সেই ডায়েরীর পাতা খুলে তোর লেখা চিঠিটা বারবার পড়ি ‘তুই অনেক বড় হবি লেলিন! তোর সঙ্গিনী বড় ভাগ্যবতী হবে।’
হয়তো সে ভাগ্যবতী অথচ তার সৌভাগ্য তোর কাছে অসহ্য আজ! নিজেকে যে মন্দিরের দেবী বানাতে আজ তোর এত আকুলতা সে মন্দির একদিন তোরই ছিল। কিন্তু আজ আরেক নারীর হৃদয় ভাঙ্গার যে খেলা তাতে তোকে ঠিক মানায় না।
তুই আজও হৃদয়নন্দিনী তোকে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না তোকে না পাওয়াই সুখ তোকে না দেখা অসুখ।
কাপুরুষ ভাবছিস? শুধু এটুকু বলি, যে তার মনের সবটা দিয়ে দিয়েছে আমায় তাকে উপেক্ষা করার সামর্থ্য আমার নেই। বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে বাঁচার চেয়ে অব্যক্ত প্রেমের স্মৃতিস্তম্ভে সমাহিত হওয়াই সুখের।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড