• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সাক্ষাৎকার

‘কখন যেন কবিতার সাথে গভীর প্রেম হয়েছে নিজেও জানি না’

  শব্দনীল

০১ মার্চ ২০১৯, ১৬:৫৩
প্রচ্ছদ
ছবি : মাশাওফি আমিন এবং (প্রচ্ছদ : উপন্যাস ‘জমিলা’)

মাশাওফি আমিন। যশোর জেলায় ১৯ মে ভোররাতে নানার বাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন মাশাওফি আমিন। বাবার বদলী জনিত কারণে পরবর্তীতে স্কুল জীবন কেটেছে জেলা শহরের গভ. গার্লস স্কুল গুলোতে। তিনি খুলনা সরকারী মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক এবং খুলনা বি এল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাস থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন। তিনি পুত্র জুলকার নায়েন মাহমুদ অরণ্য এবং কন্যা জাফিরা মাহমুদ জলছবি এর গর্বিত জননী।

কিশোরী বয়সে বাবা বা মায়ের বকুনি খেয়ে মন খারাপ হলেই ডায়রি লিখতেন তিন। ডায়রি লিখতে লিখতেই সখ্যতা হয়ে যায় কবিতার সাথে। গল্পের সাথে। একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় স্বরচিত কবিতা ‘ভাবনা’ লিখে কলেজের মধ্যে বছরের সেরা কবি নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে নিয়মিত সাহিত্যচর্চা করে চলেছেন। ২০১৮ অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হযে ছিলো তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কষ্টের ফেরিওয়ালা’ এবং উপন্যাস ‘বিচ্ছেদ’। ২০১৯ গ্রন্থমেলায় আনন্দম প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে তার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘জমিলা’।

‘জমিলা’ এবং সাহিত্যচর্চার সামগ্রিকতা নিয়ে মাশাওফি আমিন মুখমুখি হয়েছিলেন দৈনিক অধিকার এর সাথে।

দৈনিক অধিকার : মাশাওফি আমিন কেমন আছেন?

মাশাওফি আমিন : আলহামদুলিল্লাহ! আমি ভাল আছি।

দৈনিক অধিকার : কবিতার সাথে প্রেম হল কী করে?

মাশাওফি আমিন : কিশোরী বয়সে বাবা বা মায়ের বকুনি খেয়ে মন খারাপ হলেই ডায়রি লিখতাম। সেই লেখার অভ্যাস থেকেই কখন যেনো কবিতার সাথে গভীর প্রেম হয়েছে নিজেও জানিনা। দৈনিক অধিকার : একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত উপন্যাস ‘জমিলা’ সম্পর্কে বলুন?

মাশাওফি আমিন : একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত আমার লেখা ‘জমিলা’ মূলত; একটি জীবনধর্মী উপন্যাস। সমাজের একটি নিম্নবিত্ত শ্রেণীকে উপলক্ষ্য করেই আমার উপন্যাসের কাহিনী এগিয়েছে।

দৈনিক অধিকার : উপন্যাসটি মূলত কাদের কথা বলেছে?

মাশাওফি আমিন : ‘জমিলা’ উপন্যাসে মূলত; একজন শ্রমজীবী নারীর জীবন সংগ্রামের কথা বলা হয়েছে। আমি একজন জমিলার মধ্যে দিয়ে হাজার হাজার জমিলার জীবনের সুখ, দুঃখ, বেদনা, অভাব-অনটন, স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া অবহেলা, অত্যাচার সর্বোপরি ওদের বেঁচে থাকার লড়াই এর কথা বলতে চেয়েছি।

দৈনিক অধিকার : সমকালীন চিন্তাধারায় উপন্যাসটি কতটা পাঠক প্রিয়তা পাবে বলে মনে করেন?

মাশাওফি আমিন : আমি মনে করি সমকালীন চিন্তাধারায় উপন্যাসটি অবশ্যই পাঠকপ্রিয়তা পাবে কারণ মানুষ এখন সব কিছু জানতে চায়। আর জমিলা তো দূরের কেউ নয়। সে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

দৈনিক অধিকার : গত বছর আপনার দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে একটি উপন্যাস ছিল। গত বছর প্রকাশিত উপন্যাস এবং এই বছরে প্রকাশিত উপন্যাসের মধ্যে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন আপনি এবং কেনো?

মাশাওফি আমিন : জ্বি, গতবছর প্রকাশিত আমার দুটো গ্রন্থে মধ্যে একটি উপন্যাস ছিল। কাকলী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত উপন্যাসটির নাম ‘বিচ্ছেদ’। এটাও সমাজের বেড়ে ওঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে নিয়ে লেখা। আসলে, আমি চাইবো আমার দুইটি উপন্যাসই এগিয়ে থাকুক। কেননা, আমি দু'টো উপন্যাসেই রেখেছি সমাজের জন্য কিছু বার্তা। সেই বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছনোটা জরুরী মনে করছি আমি।

দৈনিক অধিকার : উপন্যাস লিখতে গিয়ে কোন বিষয়ের প্রতি বেশি লক্ষ্য রাখেন?

মাশাওফি আমিন : উপন্যাস লিখতে সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য রাখি যে বিষয়গুলো তা হলো, আমার লেখার গুণগত মান যেন বজায় থাকে এবং যে বার্তা আমি দিতে চাইছি তা যেন সঠিক ও সহজ বোধ্য ভাবে তুলে ধরতে পারি আমার উপন্যাসে।

দৈনিক অধিকার : কবিতা লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন নাকি গল্প বা উপন্যাস? মাশাওফি আমিন : স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি গল্প বা উপন্যাস লিখতেই তবে কবিতার সাথে গভীর প্রেম থাকায় কবিতা লিখতে আমার ভাল লাগে। দৈনিক অধিকার : আপনার লেখালেখি শুরুর গল্প বলুন-

মাশাওফি আমিন : শুরুর গল্প বলতে গেলে ছোটবেলায় ফিরে যেতে হবে। স্কুলের শেষের দিক থেকে মূলত; কলেজ জীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। কলেজে পড়ার সময় স্বরচিত কবিতা লিখে বছরের সেরা কবি নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমার বাবা দারুণ খুশী হয়েছিলেন সেদিন। তবে, তিন বছর আগে পা ভেঙ্গে যখন হুইলচেয়ারে বসে বিমর্ষ সময় কাটছিল। তখন আমার হাজবেন্ড লে. কর্নেল মাহমুদের উৎসাহেই লিখে ফেললাম ছোট গল্প হুইলচেয়ার। যা অনলাইন সাহিত্য গ্রুপ ক্যানভাসে দারুণ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিল। এরপর লিখেছি একের পর এক গল্প-উপন্যাস। তবে ‘বিচ্ছেদ’ ও ‘জমিলা’ উপন্যাসের পাঠক প্রিয়তা আমাকে পৌঁছে দিয়েছে হাজারও পাঠকের কাছে।

দৈনিক অধিকার : আপনার প্রকাশিত উপন্যাস পাঠক কেনো সাদরে গ্রহণ করবে বলে মনে করেন?

মাশাওফি আমিন : আমি মনে করি আমার প্রকাশিত উপন্যাস পাঠক সাদরে গ্রহণ করবে কারণ আমি আমার লেখার গুণগত মান বজায় রেখে জীবনধর্মী লেখা সহজবোধ্য করে লিখি। তাছাড়া, আমি লেখার মধ্যে দিয়েই কিছু না কিছু বার্তা পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করি।

দৈনিক অধিকার : উপন্যাসটি নিয়ে কতটা আশাবাদী আপনি?

মাশাওফি আমিন : এবছর আনন্দম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত আমার দ্বিতীয় উপন্যাস ‘জমিলা’ নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। আনন্দের ব্যাপার হলো ইতিমধ্যেই উপন্যাসটি দারুণ পাঠক প্রিয়তা পেয়েছে।

দৈনিক অধিকার : আপনি এবং আপনার প্রকাশিত উপন্যাসটির জন্য শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন।

মাশাওফি আমিন : অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভাল থাকবেন আপনিও।

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড