• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাহিতুলের ‘আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প’

  মোহাম্মদ রানা

০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৭:১৮
উপন্যাস
আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প (ছবি : সংগৃহীত)

ফ্রিল্যান্সিংকে পেশা হিসেবে নিয়ে অনেক তরুণই নিজের ভাগ্য বদলেছেন, কিন্তু এ পেশার সামাজিক স্বীকৃতি নেই এখনও। সেরকম এক তরুণের গল্প নিয়ে প্রকাশিত হচ্ছে রাহিতুল ইসলামের উপন্যাস ‘আউটসোর্সিং ও ভালবাসার গল্প’।

প্রথাগত চাকরির পেছনে না ছুটে স্বাবলম্বী হওয়ার কাহিনি উঠে এসেছে এই উপন্যাসে। তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিক হিসেবে লেখক খুব কাছ থেকে এই পেশার চ্যালেঞ্জগুলো দেখেছেন। এই পেশার প্রতিকূলতা, সুযোগ, উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পের সঙ্গে মানবিক প্রেমের আখ্যান মিলিয়ে এটি একটি অনবদ্য রচনা।

প্রধানত এই পেশার সামাজিক স্বীকৃতি নিয়েই আবর্তিত হয়েছে এর গল্প। শূন্য থেকে শুরু করা এক তরুণ কীভাবে এ পেশার আদর্শ হয়ে ওঠে, সেই দৃশ্যই আঁকেন লেখক। গল্পের নায়ক মাহাবুবের জীবন-সংগ্রামের পাশাপাশি তাঁর প্রেমের এক অন্তরঙ্গ বয়ান এ উপন্যাস। সরকারি, বেসরকারি যেকোনো চাকরির চেয়ে আউটসোর্সিং পেশা হিসেবে ভালো। নিজের অনেকটা স্বাধীনতা রয়েছে। উপন্যাসটি কোনো কাল্পনিক গল্প নয়। এটি মাহাবুব নামের একজন ফ্রিল্যান্সারের জীবন থেকে নেওয়া।

আউটসোর্সিং বাংলাদেশে এখনও নতুন। যদিও এ পেশার ইতিহাস মোটামুটি এক দশকের। সম্পদের তুলনায় এ দেশের জনসংখ্যা বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবেই বাড়তি জনসংখ্যার বোঝা বইতে হচ্ছে দেশটিকে। আর জনসংখ্যাকে জনসম্পদের রূপান্তরিত করার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। তাই আমাদের তরুণেরা নিজেরাই এগিয়ে আসছেন নিজেদের ভাগ্য বদল করতে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই এখন চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে ঘরে বসেই করছেন নিজেদের আয়ের ব্যবস্থা। ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি তাই আজ বদলে দিচ্ছে বাংলাদেশের অনেক তরুণের ভাগ্য। বিদেশ থেকে রেমিটেন্স এনে তাঁরা দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করছেন। একই সঙ্গে সরকারের ওপর থেকেও বেকার সমস্যার চাপ কমছে।

এ পেশায় দক্ষতা থাকলেই ভালো করা যায়। একটু দক্ষ হলেই একটি কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই যে কেউ শুরু করে দিতে পারেন আউটসোর্সিংয়ের কাজ।

রাহিতুল ইসলামের উপন্যাসের নায়ক ও নায়িকার শেষ পরিণতি কী হবে? নায়িকার পরিবার কি একজন ফ্রিল্যান্সারের হাতে মেয়েকে তুলে দেবে? নাকি সমাজের চাপে পেশা বদল করতে হবে মাহাবুবকে? অথবা সব ছাপিয়ে জয় হবে প্রেমের, ভালোবাসার...?

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড