অলক চন্দ্র দাশ
চূর্ণ বিচূর্ণ করে কি ভাবছিস? কিছুই রাখিসনি পদ্মবন্যার জলের মতো উপচে নিয়েছিস প্রান্তভাগ? সবকিছু পাতালে ফেলে গুম করেছিস? জলের ঢাকনা বিছিয়ে দুচোখে, তুই বলেছিলি স্বপ্নরূপে ভালো থাকিস।
বিবিধ সম্পাদনায় লিপিস্টিকের মতো মুছে দিলি! এই অন্তিম যদিও পড়ন্ত হয়ে ধোঁয়ায় মিলিয়ে গেছে, তোর নূপুরগুঞ্জন বুক থেকে। সপ্তটীকা, ব্যাখ্যা এগুলো অপঠিত এক রাত্রির পকেটে আজো জোসনা আঁকা চিরকুট। জানিস টুকটুকি, কিছুই ফুরোয়নি। একেবারে আস্তই থেকে গেছে অষ্টমী।
অন্তঃবৃত্তের সম্মুখে তোর চুড়ি পড়া হাতে, আর মেঘের বৃষ্টি নড়া পর্বণ মনের ওপর দিয়ে যায়। যেতে দিই, একদমই না করি না।এই যুগল শব্দ, শতাব্দীতে হাঁটার নৃত্যকলা পড়িয়ে দেয় মননে। একাকীত্বের সঙ্গে হাঁটি অনেক দূর।ক্লান্ত হয়ে জিরোই, তারপর সন্ধ্যা মুখর গোধূলি ডেকে নেয় স্মৃতিচর্চার মঞ্চে।
অযুত জোনাক আঁধারের খোলস ভাঙার মগ্নে, মাটিতে আলো ছিটিয়ে দেয়। যেন অগ্নি রঙের টিপ! এইতো কড়া নেড়ে গেলি অগ্নিলা! ঠোঁটের রুদ্ধতা মচকিয়ে বলে ওঠি, ভালোবাসি! গোল চাঁদ, বিন্দু তারাগুলো নিশ্চুপে প্রশ্ন পাঠায় ডায়রিতে।
যদি পিপীলিকার মতো সারি বেঁধে সিঁড়ি হয়ে যেতে পারতাম স্বর্গে। পুনরায় লিখতাম রোমাঞ্চ, চারুপ্রেম। পিয়ানোতে শব্দ ঢেলে সাজাতাম আকাশের সৌন্দর্য, পাখিদের প্রিয় আবরণ। ফাল্গুনের বাঁশিতে সিক্ত হয়ে উড়তো প্রয়াসের পল্লবে আকুলতার ছন্দকলি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড