• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বইয়ের আলোচনা

রবীন্দ্রনাথের কাছে ঈশ্বরের অর্থ অপরিহার্য রূপে ভালোবাসা

  প্রদীপ কর

১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:০০
বুক রিভিউ
ছবি : প্রচ্ছদ (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটি কবিতায় কবি অমিতাভ দাশগুপ্ত, লিখেছিলেন; ‘তোমার পায়ের পাতা, সবখানে পাতা; কোনখানে রাখবো প্রনাম?’ বর্তমান সময়ে বাঙালির এরকম হতশ্রী দশা কেন? আসলে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ বাঙালি তথা সমগ্র মানবজাতিকে যেরকম নিবিড়ভাবে অনুভব করেছিলেন এবং তার সৃষ্টি-ঐশ্বর্যে মানবতাবাদকে যেরকম সুউচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন, সেই দর্শন, মানবপ্রকৃতির প্রতি সেই আদর্শগত অনুধ্যান এখন অত্যধিক পরিমানে ক্ষয়প্রাপ্ত! ফলত, আমরা না বুঝেছি নিজেকে না নিজেদের সমাজকে; এই অজ্ঞতাবশতই আমরা চিনতে পারিনি বর্হিবিশ্বের প্রকৃত স্বরূপ! যে কারণে, নৈতিকতা বহির্ভূত আত্মকেন্দ্রিক ভোগবাদ-সর্বস্ব জগৎ আমাদের বিচ্ছিন্ন করেছে নিজস্ব শেকড় থেকে। আত্মবিস্মৃত হয়ে মিশে যাচ্ছি ঘনতমসায়। এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার একমাত্র উপায় বাঙালি মানস বাঙালি মনীষাকে সঠিকভাবে চিনতে শেখা। রবীন্দ্রনাথ তেমনই এক উদ্ভাসিত আলোক, যার ভাস্বরতায় অবগাহন করলে অবশ্যই উজ্জ্বল হওয়া যায়।

রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে বাংলাসহ পৃথিবীর নানান ভাষায় নিয়মিতভাবেই ‘কাজ’ হয়ে চলেছে। সেই কাজের অধিকাংশই যদিও হিমঘরের শীতলতায় নিমজ্জিত। তাই অস্তিত্ব বিপন্ন হলে আশ্রয় নিতে হয় তেমন এক দুর্লভ সান্নিধ্যের যেখানে আমরা নিশ্চিন্ত রক্ষা পাই। তেমনই এক তরুছায়া হুমায়ুন কবির প্রণিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গ্রন্থটি।

যদিও বিশিষ্ট প্রজ্ঞার অধিকারী হুমায়ুন কবির, গ্রন্থটি বাংলায় রচনা করেননি। ১৯৬১তে, রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষে, যুক্তরাজ্যে স্কুল অব্ ওরিয়েন্টাল এন্ড আফ্রিকান স্টাডিজ যে বক্তৃতামালার আয়োজন করেছিল, তার উদ্বোধনী ভাষণ দিয়েছিলেন হুমায়ুন কবির। এই বইটি সেই ভাষণেরই সংকলন। ১৯৬২তে School of Oriental And African Studies, University of London থেকে প্রকাশিত হয় Rabindranath Tagore শিরোনামের এই দুষ্প্রাপ্য ইংরেজি গ্রন্থটি। বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক, গবেষক হায়াৎ মামুদ বাংলায় অনুবাদ করে প্রকাশ করেছেন। শুধু অনুবাদ বললে প্রায় কিছুই তেমন বলা হয় না। অসাধারণ এই পুস্তকের প্রাঞ্জল অনুবাদের সঙ্গে সূত্র নির্দেশের মাধ্যমে, দুরূহ টীকা সংযোজনসহ গ্রন্থকার হুমায়ুন কবিরের সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি এবং একটি প্রয়োজনীয় ভূমিকার মাধ্যমে গ্রন্থটিকে আরও বেশি মহার্ঘ করে তুলেছেন। এই পরিশ্রমসাধ্য কাজটি তিনি করেছেন কেননা, তার মনে হয়েছে: ‘বর্তমান বাঙালির মননশৈথিল্যের যুগে এই লেখা রবীন্দ্রনাথের অবদান বুঝতে সাহায্য করবে বাঙালিকেও’ তার এই ‘মননশৈথিল্যের যুগে’ শব্দবন্ধটির মুখোমুখি হলে বিস্ময় বিমূঢ় হয়ে পড়ি।

কারণ, ‘আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনী উঠলো রাঙা হয়ে’–এই রবীন্দ্র-উচ্চারণে টের পাই আমার সত্ত্বার আলো দিয়েই তো আমি চিনতে পারি বস্তুর প্রকৃত নির্যাস। আর প্রকৃত অর্থেই মেধাবি, পন্ডিত এবং সারস্বত ব্যক্তিত্বের মনন যদি আমাদের বুঝতে সাহায্য করে বাঙালির এই শতাব্দীর সূর্যকে, তাহলে সেই সমৃদ্ধি বাঙালির আরও বেশি পাওয়া।

প্রাসঙ্গিক হবে লেখক সম্পর্কে সামান্য ধারণা করে নেওয়া। ক্লান্তিহীনভাবে কর্মমুখর এই মানুষটির জন্ম ১৯০৬-এ ফরিদপুর সংলগ্ন কোমরপুর গ্রামে। ব্রিটিশ সরকারের আমলা পিতৃপুরুষের কাছ থেকে জন্মসূত্রেই অসাধারণ মেধা ও মননশক্তির, রুচি এবং রসবোধের অধিকারী এই ছাত্রটি, ঢাকা, কুমিল্লা, কৃষ্ণনগর, নওগাঁ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অক্সফোর্ড–সর্বত্রই প্রথম স্থানাধিকারী।

পরাধীন ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে রাজনৈতিক সংক্রমন। স্বাধীন ভারতের মওলানা আবুল কালাম আজাদ শিক্ষামন্ত্রী হলে তার সচিব পদে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সভাপতি থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলালের আহ্বানে বিজ্ঞান ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের কেবিনেট মন্ত্রী এবং মওলানা সাহেবের মৃত্যুর পর শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে যোগদান। আমৃত্যু ছিলেন লোকসভার সদস্য। ভারতবর্ষের আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির তিনিই ছিলেন প্রথম রূপকার। সাহিত্যেও উল্লেখযোগ্য অবদান। সম্পাদনা করেছেন ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকা। বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১৫-র বেশি। তার রচিত সবিশেষ উল্লেখযোগ্য বিশ্বপটভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাধনা ও কীর্তিকে কেন্দ্র করে অপরিসীম গুরুত্বপূর্ণ এই বই বাঙালির মননের চিরসঙ্গী।

সামাজিক জড়ত্ব ভেঙে প্রতিক্রিয়াশীলতার দুর্গ চুরমার করে পুনর্জাগরণের পর্বে রবীন্দ্রনাথের জন্ম। এমন একটি পরিবারে জন্মেছিলেন যার আবহাওয়ায় ছিল গভীর ধর্মীয় অনুভবশীলতা অথচ প্রথাসিদ্ধ নিয়মাচারের বন্ধন থেকে মুক্ত। জন্মসূত্রেই কবি ভাগ্যবান, নতুনকে আহ্বান করতে গিয়ে প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় মূল্যবোধ তাকে বর্জন করতে হয়নি। কবির প্রতিভার বিকাশে তার পারিবারিক অবস্থান বিশেষ সাহয়ক ছিল। গ্রন্থকার লিখছেন, “প্রথম যৌবনে তাঁর বাবা তাঁর উপর পারিবারিক বিষয়-সম্পত্তি দেখার ভার ছেড়ে দেন। অনেকেই এই দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন যে, মহর্ষি কিনা তাঁর সবচেয়ে ছোট ছেলেটাকে–যে ইতোমধ্যেই কবি ও স্বপ্নচারী হিসেবে পরিচিত–পারিবারিক বিষয় দেখাশোনার দায়িত্ব দিলেন। রবীন্দ্রনাথ অচিরেই প্রমাণ করেছিলেন যে, একজন কবিকে জমিদারি তদারকির ভার দিয়ে তাঁর পিতা প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। … পারিবারিক জমিদারি তদারকির কর্তব্য তাঁকে সাধারণ মানুষের আনন্দ ও বেদনার সঙ্গে জড়িয়ে ফেলে। এরপর থেকে জীবনছিন্ন শিল্পের ধারণাকে মেনে নেওয়া তাঁর পক্ষে হয়তো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সৌন্দর্যকে তিনি নিরন্তর খুঁজেছেন; কিন্তু সে কেবল জীবনেরই প্রকাশ বলে। সেই সঙ্গে তিনি বিশ্বাস করতেন যে সৌন্দর্যমন্ডিত না হলে জীবনে কোনো সুষমা আসে না। কবির ধর্ম তাই রবীন্দ্রনাথের জন্য হয়ে দাঁড়ায় মানুষের ধর্ম।

সমগ্র গ্রন্থটিতে সামগ্রিক সৃষ্টিকর্মের আলোচনার মধ্য দিয়ে কবির সাহেব এই মানবধর্মটিই শ্রেষ্ঠরূপে প্রকাশিত তা-ই দেখিয়েছেন। সমগ্র জীবনব্যাপী রবীন্দ্রনাথের কবিতার চারিত্র্যলক্ষণ সমূহের সর্বাগ্রগণ্য হলো প্রকৃতি ও মানুষের অভেদাত্মতা। সংগীতের ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের যে আবিশ্বময় ঋণ, কবির কথাতেই তার সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন গ্রন্থকার; ঋণগ্রহণ করতে কেবল দুর্বলেরাই ভয় পায়, কারণ এ ভয়টা তাদের থেকেই যায়– ধার যদি শোধ না করতে পারে, তো কী হবে! কিন্তু তিনি তার সংগীতের মধ্য দিয়ে সেই ঋণের বহুগুণ ও বহুবিস্তৃতভাবেই ফেরত দিতে পেরেছেন। ভীষণ গুরুত্বের সঙ্গে যখন চিত্রকলা চর্চায় অবগাহন করেন, তখন তাঁর বয়স ৬৭- এই বিষয়ে তিনি ছিলেন নবব্রতী, অনাহূত আগন্তুক, বিধিবদ্ধ প্রশিক্ষণ তার ছিলনা, তা সত্ত্বেও তার চিত্রকলা ভীষণই তাৎপর্যবাহী। কেননা, আমাদের চৈতন্যের সীমানা প্রসারণের অভিমুখী সে, এবং অচেতন ও অবচেতনকে তা সনাক্তসম্ভব অবয়বে রূপান্তর ঘটায়।

সৃজনশীল ও মননধর্মী, তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক, সকল কর্মে সততা ও চারিত্র্যবলই ছিল রবীন্দ্রনাথের মহত্তম বৈশিষ্ট্য। রবীন্দ্রনাথের কবিতা গল্প প্রবন্ধ সবকিছুর মধ্যে ছড়ানো যে কবির দর্শন তা একই সঙ্গে সর্বাধুনিক আবার ঐতিহ্য অনুসারী। কেননা তা মানুষের আত্মিক সমুন্নতির সহায়ক।

যুক্তিপ্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাসকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলছেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুক্তিলাভের চাবিকাঠি মননচর্চার মুক্তির ভিতরে নিহিত দেখেছেন রবীন্দ্রনাথ। মার্ক্স-এর ন্যায় তিনিও বিশ্বাস করতেন যে প্রয়োজনকে মান্য করাই হলো স্বাধীনতা। অবশ্য মার্ক্সকে অতিক্রম করে গিয়ে ভাবতে পেরেছিলেন যে মুক্তির অর্থ প্রয়োজনকে মান্য করা শুধু নয়, তার সীমাতিক্রমণও।

রবীন্দ্রনাথ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন যে ব্যক্তির স্বাধীনতা ও সকলের মঙ্গলের মধ্যে সুসঙ্গত সম্পর্ক একমাত্র শিক্ষার মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। তিনি শিক্ষার কোনো সংকীর্ণ ও অমননীয় ফর্মুলায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তাঁর শিক্ষা প্রণালীতে অঙ্কশাস্ত্র ও বিজ্ঞানের সঙ্গে শিল্পকলাও এক পংক্তিতে বসতে পারত। কবি ও ভবিষ্যদ্রষ্টাদের ক্ষেত্রে প্রায়শ যেমন ঘটে থাকে– ভারতের রাজনীতিতে রবীন্দ্রনাথের অভিঘাত প্রত্যক্ষ ছিল না, কিন্তু তবুও তা ছিল ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। তিনি রাজনৈতিক নেতা না হলেও দেশের প্রতিটি রাজনৈতিক সঙ্কটে জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ স্পষ্টভাষী মুখপাত্র হয়েছেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে বঙ্গদেশ যখন বিভক্ত হল, তিনিই প্রথম প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন।

‘রাজনীতির বা সমাজের একজন সংস্কারক কিংবা শিক্ষাবিদ হিসেবে তাঁর ভূমিকা মুখ্য ছিল এমনও নয় অথচ এসবের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। অনিবার্যতই তিনি ছিলেন কবি ও লেখক এবং তাঁর বাণী স্বকাল ও স্বদেশের কলাবিদগণই কেবল নিজেদের বলে গণ্য করেননি, বরং সর্বকালের সর্বমানবের বলে তা গ্রাহ্য হয়েছে। সর্বোপরি, এ সব কারণেই তিনি এমন এক বিশাল জাতীয় ও বিশ্বব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন যাঁর সর্বজনীনতা-অভিসারী নিত্য প্রয়াস আধুনিক যুগের সবচেয়ে জরুরি সমস্যা সমাধানের পথ দেখিয়েছে।’

স্বল্প আয়তনে কবিগুরুর সার্বিক দিক এত যুক্তিপূর্ণ এবং আধুনিক পৃথিবীর প্রেক্ষাপটে অসাধারণ মেধাবি বিশ্লেষণে মাননীয় হুমায়ুন কবির করে গেছেন পঞ্চাশ বছর পূর্বে তা আপামর বাঙালির জানা-ই হতো না, যদি না, সম্মানীয় হায়াৎ মামুদের পরিশ্রমলব্ধ অনুবাদে প্রকাশিত হত- এই কারণে তিনিও বাঙালির ধন্যবাদার্হ হয়ে থাকলেন। যদিও প্রথম প্রকাশের পরও দীর্ঘকাল বইটি পাঠকের লভ্য ছিল না। এই একুশের বই মেলায় বিপিএল বইটি সুমুদ্রিত করে দৃষ্টিনন্দনভাবে পাঠকের জন্য উপস্থাপন করেছেন। এই সংস্করণে সংযুক্ত হয়েছে আরেক স্মরণীয় বাঙালি সত্যজিৎ রায় অঙ্কিত বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রপ্রতিকৃতি–এই বইয়ের সেগুলিও অনন্য উপহার।

রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ বা সার্ধশতবর্ষে ‘রবিঠাকুর’কে পুজো করার হিড়িক পড়েছিল, রবীন্দ্রব্যবসায়ীদের স্বার্থে, তুলনায় কবি মানসকে আত্মীকরণ করার প্রয়াস তেমন ছিল না। এই বই তার ব্যতিক্রমী বিরল এক দৃষ্টান্ত। আধুনিকতায়, যুক্তিতে, কবির অন্তর্নিহিত স্বরূপটিকে উন্মোচন করেছেন যথেষ্ট প্রাজ্ঞতায় প্রাঞ্জলতায়। সেই কারণে এই বই বাঙালির অবশ্যপাঠ্য তালিকায় থাকা উচিত।

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড