• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গল্প : বনসাই

  অ্যান্থনী সজীব কুলেন্তুনু

২০ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:২১
গল্প
ছবি : প্রতীকী

শুক্রবার বা অন্যান্য সরকারি ছুটির দিনগুলোর সকালটা চায়ের কাপ আর রিমোট হাতেই কেটে যায় অরূপের। এর ব্যতিক্রম ঘটেনা সচরাচর। আর যদি কখনো ঘটেও, বাসায় থাকা হয় না তখন। হয়তো কোন আত্মীয়ের বাসায় নিমন্ত্রণে যাওয়া।

নীলার ব্যপারটা কিন্তু একটু আলাদা। শুক্রবার মানেই একটা দিন নিজেকে দেবার। একটু সময় নিজের শখ-আহ্লাদগুলোর সাথে ব্যয় করার। এমনটাই হয় প্রতি সপ্তাহে। সকালে উঠে নাস্তা রেডি করার পর অরূপকে বিছানা থেকে তুলতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয় নীলার। তারপর একসাথে নাস্তা সেরে নিয়ে নীলা চলে যায় ব্যলকুনিতে। অবশ্য সেটাকে ব্যালকনি না বলে ছোটখাটো একটা বাগানও বলা যেতে পারে। এখানেই শুক্রবার দিনটা চলে যায় নীলার। এতে অবশ্য অরূপের কোন সমস্যা হয় না বরং নীলার এসকল গাছ পাগলামো নিঃশব্দে উপভোগ করে। অরূপ মাঝে মাঝে যায় নীলার বাগানে। ও তখন ঘোরের মধ্যে কাজ করতে থাকে। অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবার পরেও যখন নীলার ঘোর কাটে না তখন পেছন থেকে নীলার চুল টেনে দেয় ও। তারপর নীলার এক ঝলক চোখ রাঙানো।

নীলা সাধারণ পরিবারের মেয়ে। অহমিকা আর আলস্যের পরিবর্তে হৃদয়জুড়ে সরলতা। অরূপ সব সময় বিশ্বাস করে একবার কেউ প্রকৃতির প্রেমে আসক্ত হলে তার মধ্যে এসকল রিপু বাসা বাঁধে না সহজে।

অবশ্য এ শুক্রবার ঘটলো একটু ব্যতিক্রম। চা খেতে খেতে নিউজ দেখছিল অরূপ। হঠাৎ চোখে পড়লো টিভি স্ক্রিনের উপর দেয়ালে টাঙানো তাদের বিয়ের ছবিটা একদিকে কাত হয়ে আছে। কখন নিচে পড়ে ভাঙে বলা মুশকিল। ঝড়ের মৌসুম এটা। হয়তো জানালা দিয়ে বাতাস এসে নাড়িয়ে দিয়েছে ছবিটা। ডাইনিং থেকে চেয়ার নিয়ে ছবিটা নিচে নামিয়ে আনে অরূপ। একটু ঝেড়ে মুছে রাখলে আবার নতুনের মত চকচকে হয়ে যাবে। মাত্র দু’বছর বয়স ছবিটার। নতুনই তো। স্মৃতিগুলোও নতুন।

ব্যালকনিতে একবার উঁকি মেরে দেখে নীলাকে। বেচারি আছে বাগান নিয়েই। ছবিটা হাতে নিয়েই নীলার পেছনে গিয়ে দাঁড়ায় সে। নীলা বুঝতে পারে না অরূপের চলাচল। বরাবরের মতই পেছন থেকে নীলার চুলে টান দেয় অরূপ। কিন্তু নীলার তেমন কোন সাড়া পাওয়া যায় না। একমনে কাজ করে চলে সে। অবাক হয় অরূপ। এমনতো হয়না কখনো। বাধ্য হয়ে বলে উঠে অরূপ, ‘আমি কোন হেল্প করবো?’ নীলা না তাকিয়েই বলে, ‘নাহ, লাগবে না।’ নীলার কণ্ঠ ভারী লাগে অরূপের। মানুষ কান্না করার আগে বা পরে যে কণ্ঠে কথা বলে এ কণ্ঠ তার সমকক্ষ। কিছু একটা গণ্ডগোল নিশ্চয়ই হয়েছে, বুঝতে পারে অরূপ। তাই একেবারে নীলার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। কাজ থামাতে বাধ্য হয় নীলা। অরূপ নীলার হাত ধরে বলে, ‘কি হইছে?’ - কিছুনা। -ওহ মাই গড! তুমি কাঁদতেছ! কি হইছে বল? অরূপ নীলাকে অনেকটা জড়িয়ে ধরে। এবার নীলার কান্নার বাঁধ ভাঙে। চোখের জলে অরূপের গেঞ্জির খানিকটা ভিজে যায়। নীলা একটু শান্ত হলে অরূপ বলে- - কি হইছে বলতো শুনি। কান্নার কারণ কী? - কিছু হয়নায়, এমনিই। - এমনি কেউ কাঁদে? - আমি কাঁদি। - আমারে বলবে না!

চুপ করে থাকে নীলা। অরূপের হাতে থাকা বিয়ের ছবিটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলে, তোমারে আমি কতদিন বলছি আমারে একটা বনসাই কিনে দাও। তুমি শুধু শুক্রবারের আশ্বাস দিয়ে যাও। সেই শুক্রবার আর কোনদিন আসে না। কান্নার রেশটা চলে গেছে। এখন চোখ ভরা অভিমান। কথাগুলো শুনে হো হো করে হেসে উঠে অরূপ। বলে, ‘আহারে বেচারি! এতক্ষণ ধরে অশ্রু বিসর্জন কি তাহলে একটি মাত্র বনসাই এর জন্যে?’

নীলা বিরক্ত হয়ে চলে যেতে লাগলে অরূপ বলে উঠে, ‘ঠিকাছে। আর কোন শুক্রবারের আশ্বাস নয়। তোমার বনসাই আসবে আজকেই। তৈরি হয়ে নাও। এক্ষণই যাব তোমার সাধের বনসাই কিনতে।’

নীলার মুখে রংধনুর মত এক ঝলক হাসি ফুঁটে। দ্রুত ঘরে যায় সে। অরূপ কিছুক্ষণ বাগানটার দিকে তাকিয়ে থাকে। গ্রিল বেয়ে ছেয়ে চলেছে একটি অপরাজিতা ফুলের গাছ। গাঢ় সবুজ পাতায় নীল নীল ফুল। অদ্ভুত নীরব সুন্দর। ঠিক যেন জীবনানন্দের ‘সবচেয়ে সুন্দর করুণ’। পাপড়িগুলোতে ফোঁটা ফোঁটা স্বচ্ছ জল। নীলা পানি দিয়েছে কিছুক্ষণ আগেই।

তবে নীলার কান্নার আসল কারণ কখনই শুধু একটি বনসাই ছিল না। আসল কষ্টটা সে চেপে গেছে মনে। ব্যলকুনিতে কাজ করার সময় সামনের বাসার দেড় বছরের বাচ্চাটিকে দেখা যাচ্ছিল। কি একটা খেলনা নিয়ে খেলতে খেলতে মুখে এমন একটা আওয়াজ করছিল, শুনে মনে হচ্ছিল যেন মা মা করে ডাকছে। আবুঝ শিশুর দুর্বোধ্য ভাষা নীলার মাতৃয়াশাতুর মনে অত্যন্ত করুণ এক তাচ্ছিল্য ছুঁড়ে দিচ্ছিল। বিয়ের দুই বছর পরেও আজ- চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি নীলা।

মিনিট দশেক পরেই দু’জনে বেরিয়ে পড়ে । প্রথমে যায় আগারগাঁও। রাস্তার পাশে থাকা নার্সারিগুলোতে তেমন পছন্দসই বনসাই পাওয়া যায় না। তাই প্ল্যান বদল করে সোজা চলে আসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা ইন্সটিটিউট এর সামনে। ফুটপাতের উপরে হাজারো গাছের ছড়াছড়ি। নীলা যেন স্বর্গ হাতে পায়। লম্বা যায়গা জুড়ে সাজিয়ে রাখা নানা জাতের ফুলের গাছগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকে সে। অনেক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর মাটির প্লেটে লাগানো একটা ছোট্ট বটগাছের বনসাই আবিষ্কার করে নীলা। গাছটা অদ্ভুত সুন্দর। পাতাগুলোর দিকে কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় যেন কিছু একটা বলতে চায়। কি করুণ চেহারা। যেন আর্তনাদ করছে প্রতি মুহুর্তে৷ একটি বটবৃক্ষের বৃক্ষ হয়ে উঠতে না পারার আক্ষেপ, মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে না পারার আক্ষেপ আর অভিযোগ করে চলেছে।

গাছটাকে পেয়ে নীলাকে খুব উৎফুল্ল প্রাণবন্ত দেখায়। মাটির ছোট্ট একটা টবে জন্মানো পাঁচ ছটা ছোট ছোট পাতাওয়ালা বনসাই যে কাউকে এতটা আনন্দ দিয়ে পারে ভাবতে পারেনি অরূপ। তাহলে হয়তো আরও অনেক আগেই নিয়ে আসতো নীলাকে। নীলা বাসায় ফিরে অত্যন্ত যত্নের সাথে ব্যালকুনির গ্রিলের কাছে রাখলো গাছটাকে। বটগাছ তো! এই ছোট বাগানের আধিপত্য তারই।

মাস দুয়েক পর নীলার হঠাৎ করেই অসুস্থতা দেখাদিলে সুখবরটা সবার সামনে আসে। নীলা নীলার মধ্যে অরূপকে বহন করেছে জেনে অরূপের বাঁধভাঙ্গা উল্লাস দেখে কে! অদ্ভুত পরিবর্তন আসে দুজনার মধ্যেই। অরূপের অফিস কামাই হয় অনেক দিন। শুক্রবারে বাগান পরিচর্যার ভার নিজের কাঁধে নেয়। প্রতিটা গাছে পানি দেয় যত্ন করে। বিশেষ করে বনসাইটাকে।

অরূপের দায়িত্ববোধ মুগ্ধকরে নীলাকে। পুরুষদের আসলেই বুঝে উঠা কঠিন। বাচ্চার জন্য কখনোই কোনরকম চাপ তৈরি করেনি অরূপ কিন্তু মনের মধ্যে কতটা হাহাকার চেপে রেখেছিল তা তৃতীয়জন আসার সংবাদ পাবার পর বোঝা যাচ্ছে। যেন প্রতিনিয়ত প্রখর রোদে শুকোতে থাকা একটা স্পঞ্জের উপরে হটাৎ বৃষ্টি পড়ছে আর সবটুকু জল শুষে নিচ্ছে ওটা।

কয়েক মাস গড়ালে অরূপের উদ্বিগ্নতা ক্রমেই বাড়ে। তাই গ্রাম থেকে মাকে নিয়ে আসা হয়। তিনিই দক্ষহাতে নীলার পরিচর্যা করতে থাকেন। এতে অনেকটা নিশ্চিন্তে অফিস করতে পারে অরূপ। মাসে একবার ডাক্তার এসে দেখে যায় ।যাবার সময় বলে যায় - চিন্তার কিছু নেই। আপনার স্ত্রী স্বাস্থ্যবতী৷ সবকিছু স্বাভাবিক আছে। কোন সমস্যা হবেনা ইনশাল্লাহ। ডাক্তারের কথাই সত্য প্রমাণিত হয়৷ নীলার কোনরকম সমস্যা হয়না।

প্রসবের দিন সকালটা অত্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল। নির্ধারিত তারিখের আগের রাতেই নীলাকে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। ভর্তির পর মা জোর করে অরূপকে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে বলেছিলেন- ‘চিন্তা নেই। আমি আছি। তুই এখন বাসায় যা। আগামীকাল একেবারে দুপুরের পরে আসবি। কেমন!’

অরূপ বাসায় এসেছিল ঠিকই কিন্তু মনের সেই উত্তাল অনুভূতিগুলোকে দুপুর পর্যন্ত সামলে রাখতে পারেনি৷ বারোটা বাজার ঘন্টাখানেক আগেই পৌঁছেগেল হাসপাতালে। ততক্ষণে অবশ্য সুখবর রেডি করেই রেখেছিল সবাই। বিয়ের প্রায় তিনবছরের মাথায়, কুয়াশায় ঢাকা একটি দিনে পৃথিবীর মুখ দেখে তাদের পুত্র সন্তান। জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি৷

মা তার নাতীকে অরূপের কোলে দিতে দিতে বললেন- ‘দ্যাখ, তুই আবার ফিরে এসেছিস।’

অরূপ ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকেই মুচকি হেসে বলে- ‘এভাবেই সবাই ফিরে আসে মা। আমরা আমাদের আবার নতুন করে তৈরি করি।’

নীলার জ্ঞান ফিরতে কিছুক্ষণ সময় লাগে৷ তবে ডাক্তার ঠিকই বলতেন। নীলা স্বাস্থ্যবতী। সবকছু খুব সহজেই সামলে নিল। পরের দিনই ডাক্তার রিলিজ দিলেন। নীলাকে বাসায় আনা হলে মা গ্রামে ফিরে যেতে চাইলেন। কিন্তু অরূপের চাপাচাপি আর নাতীর মুখের মিষ্টি হাসির টানে আর যেতে পারলেন না।

বাচ্চার নাম নীলার পছন্দেই রাখা হলো 'অনিন্দ্য'। অরূপের নামের সাথে মিলিয়ে প্রথমটা আর চেহারা রাজপুত্রের ন্যায় হওয়ায় অনিন্দ্য। অনিন্দ্যকে নিয়ে ভাল সময় কাটছিল সবার। কিন্তু মার অভিজ্ঞ চোখ বাচ্চার অস্বাভাবিকতা এড়ায় না। আট মাসের মাথায় তিনি বুঝতে পারলেন নাতীটা কেমন যেন স্বাভাবিক নেই। ওর কথা বললে কেন যেন শুনছে না বলে মনে হয়। মনে মনে শঙ্কিত হন তিনি। আর কিছুদিন গেলেই ব্যাপারটা সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অনিন্দ্য বধির। শুধু এটিই নয়। আরোও একটা সমস্যা সবাইকে ভারাক্রান্ত করে তুলে। সব কিছু স্বাভাবিক হলেও অনিন্দ্য বেড়ে উঠে না।

ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার ব্যপারটা সকলের কাছে পরিষ্কার করেন। এটা একটি রোগ। এতে মানুষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দৈহিক গঠন এবং বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়৷ অর্থাৎ বয়স বৃদ্ধি পেলেও শারীরিক উচ্চতার তেমন কোন পরিবর্তন ঘটে না৷ নীলা প্রথমে নিতে পারেনা ব্যপারটা৷ কিন্তু দিন আরোও পার হলে অনিন্দ্যের অস্বাভাবিকতা পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান হয়। শ্রবণ ইন্দ্রিয় বিকল হওয়ায় মুখেও কোন কথা ফুঁটে না। আর শারিরীক বৃদ্ধিতো ঘটেই না।

অনিন্দ্য হাঁটতে শিখলে মা গ্রামে ফিরে যান। অরূপের বাসায় আসা যাওয়ার টাইম টেবিলের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে৷ সব কাজে দায়সারা ভাব। নীলাও ব্যালকুনিতে আর আগের মত সময় ব্যয় করে না। অপরাজিতা ফুলগুলোর গাঢ় নীল পাপড়িগুলো করুণ আর্তনাদ করতে করতে একদময় নিস্তেজ হয়ে ঝড়ে পড়ে। নীলা মাঝে মাঝে ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে নিচটা। আর গ্রিলের কোণায় রেখে দেওয়া বনসাইটা এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে। এক রাতে হঠাৎ নীলার ঘুম ভাঙলে পাশে অরূপকে পাওয়া যায় না। বাথরুমেও না থাকায় কিছুটা কৌতূহল জন্মায় মনে। আস্তে আস্তে ব্যালকুনির দিকে এগিয়ে যেতেই দেখা যায় ব্যালকনির দরজা খোলা। বাইরে পূর্ণিমার চাঁদের আলো ঠিকরে ঢুকছে খোলা অংশ দিয়ে। আরেকটু এগুতেই অরূপকে চোখে পড়ে সেখানে ৷ নীরবে ছুরি দিয়ে একটা একটা করে বনসাইটার পাতা কাটছে সে। তারপর মাটির টব থেকে উপড়ে ফেলে। জ্যোৎস্নায় সব স্পষ্ট দেখা যায়৷ শুধু দুজনার বুকের রক্তক্ষরণ কারোও চোখে পড়েনা। নীলা আটকাতে যায়না অরূপকে। আটকাতে যায় না চোখের জল।

শুধু আকাশের চাঁদের মত বা কোটি কোটি নক্ষত্রের মত ধ্রুব সত্য ভাবনা বার বার মনে হানা দিতে থাকে, বনসাই যে নিজের পেটেই ধরেছে সে। সেটা এখন ঘুমন্ত। কি অপূর্ব বিষণ্ণ চেহারা সেটির। কিছুক্ষণ একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় যেন কিছু একটা বলতে চায়। কি করুণ চেহারা, ঠিক যেন জীবনানন্দের - ‘সবচেয়ে সুন্দর করুণ’

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড