আরিফ হোসাইন রুদ্র
বইয়ের নাম : যকের ধন লেখক : হেমেন্দ্রকুমার রায় পৃষ্ঠা সংখ্যা : ১৪৪
প্রথমেই বইয়ের নামটা সম্পর্কে বলি।
যক হলো এক ধরনের প্রেতযোনি যারা বহু বছর ধরে মহামূল্যবান ধন সম্পদ পাহারা দিয়ে আসছে। সুতরাং নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এখানে এমন গুপ্তধন সম্পর্কে বলা হয়েছে যেটা পাহারা দিচ্ছে স্বয়ং যক!
কুমারের ঠাকুরদাদার মৃত্যুর পর তার পুরোনো সিন্দুক ঘেটে একটা মড়ার খুলি আর একটা পুরোনো নোটবুক পাওয়া যায়।
নিতান্তই অদরকারি মনে করে মড়ার খুলিটা বাসার পাশে ফেলে দেওয়া হয়। বাক্সের ভেতর নোটবুকটা সেভাবেই রেখে দেয় কুমার।
কথায় কথায় নোটবুকটা সম্পর্কে জানতে পারে পাড়ার মুখুয্যে করালীবাবু। যে দিন করালী বাবুর কানে যায় নোটবুকের কথা ঠিক সেই রাতেই কুমারের বাড়িতে চুরি হয়।
চোর ঠাকুরদার পুরোনো সিন্দুকে রাখা নোটবুকটা ছাড়া আর কিছুই নেয়নি।
নোটবুক চুরি যাওয়ার সাথে সাথে পুরো ব্যাপারটায় খানিক রহস্য রহস্য গন্ধ পায় কুমার। বাসার পাশে ফেলে দেওয়া মড়ার খুলিটা কুড়িয়ে এনে পরিষ্কার করে ভালো করে খেয়াল করেই বুঝতে পারে এ কোনো সাধারণ খুলি নয়।
খুলির গায়ে খোদাই করা আছে এক অদ্ভুতদর্শন নকশা!
নকশার ব্যাপারটা সে জানায় বিমলকে।
বুদ্ধিমান বিমল নকশা দেখেই বুঝে ফেললো এ কোনো সাধারণ নকশা নয়!
এটা খোদ গুপ্তধনের নকশা।
আর গুপ্তধনের নকশা সম্পর্কে বিমল আর কুমার ছাড়াও আরেকজন ওয়াকিবহাল। সে হলো পাড়ার মুখুয্যে করালীবাবু। করালীবাবুর নির্দেশেই গতকাল রাতে চুরি হয়েছে নোটবুকটা। এবার নিশ্চয়ই তার উদ্দেশ্য হবে মড়ার খুলিটা হাতানো।
শুরু হলো চোর চোর খেলা।
বিমল আর কুমারের উদ্দেশ্য নোটবুকটা হাতানো আর করালীবাবুর উদ্দেশ্য মড়ার খুলি সরানো। কে জিতবে এই খেলায়?
এ দিকে মড়ার খুলির গায়ের অদ্ভুতদর্শন নকশা সমস্যা সমাধান করে বিমল বুঝতে পারলো এই গুপ্তধন হাতানো সহজসাধ্য ব্যাপার না। একে তো দুর্গম বন জঙ্গল পেরিয়ে যেতে হবে তার ওপর গুপ্তধন পাহারা দিচ্ছে স্বয়ং যক!
শুরু হলো অভিযান।
গুপ্তধনের পেছনে লেগেছে বিমল কুমার আর করালীবাবু।
বিমল আর কুমারের সম্বল বলতে একখানা পিস্তল আর বুদ্ধির জোর অন্যদিকে করালীবাবুর আয়ত্বে আছে সাত আটজন গুণ্ডাপাণ্ডা। কেমন হবে এই অভিযানের শেষ দৃশ্য?
বিমল-কুমার কি পারবে যকের ধন উদ্ধার করতে নাকি করালীবাবুর হাতে চলে যাবে এই গুপ্তধন? নাকি সবাই প্রাণ হারাবে যকের হাতে?
শেষটা জানতে হলে পড়তে হবে বইটা।
ব্যক্তিগত মতামত:
বইটা নিয়ে বড় রিভিউ লেখা যায় না। মনে হচ্ছিল এতোটুকুই বলি বাকিটা পাঠকেরা পড়ে নেবে, সেই ভালো।
হেমেন্দ্রকুমার রায়ের লেখা যারা পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন লেখকের লেখনী ভীষণ সাবলীল।
পুরো বইয়ে কোনো কঠিন শব্দের কচকচানি নেই, নেই কোনো অহেতুক অংশ। "যকের ধন" মূলত কিশোর ক্লাসিক বলেই এখানে কোনো উচ্চ ধরনের থ্রিল নেই। তবুও পুরো বইটা শেষ করে ওঠার পর একবারও মনে হবে না যে সময়ের অপচয় হয়েছে।
আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আশা করি আপনাদেরও খারাপ লাগবে না। আর হ্যাঁ এটা পড়ার পর অবশ্যই "আবার যখের ধন" বইটা পড়ে নিবেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড