সাহিত্য ডেস্ক
প্রেম
ক্লান্তি আমাদের বুকপকেটের নাম। জমিয়ে রাখছি বিষণ্ণ রোদ, বটবৃক্ষের ছায়া। লেবু পাতার ঘ্রাণ এবং হন্নালের খোসা কুচি কুচি করে। ভালোবাসা পৃথিবীর প্রাচীনতম ধর্মের নাম। তুমি তার প্রচার করেছো যেসব চিঠিতে; সেগুলো পুড়িয়ে শীতের সকালে রোদ পোহাবো। আঘাতে আঘাতে জেনেছি, পাপ বিশুদ্ধ হলে তা অবিশুদ্ধ পুণ্যের চেয়ে দামী হয়ে উঠে। পুকুরের ভেতরে কে সিদ্ধ করছে চাল; ঢাকনা অল্প টেনে দিয়ে চুলে তেল দিতে গেছে অন্দরমহলে। উপরে জমে আছে চালের দুঃখ-ধোয়া-কোয়াশা।
আলিফ লাম রঅ
স্বপ্ন তিন ধরনের- মনের সংলাপ, শয়তানের বিভ্রান্তি এবং এলহাম। - রাসূলে করীমের হাদিস অনুসারে কাজী সানাউল্লাহ
জগতে অস্তিত্ব পাওয়ার আগে প্রত্যেক বস্তুর আকৃতি আলমে মিশালে থাকে এবং মায়ানীরও বিশেষ আকৃতি থাকে। - সূফীতত্ত্ব
একদিন ভোরে ঘুম ভাঙার পর ইউসুফ তার পিতাকে বলে; আমি দেখেছি এগারোটি নক্ষত্র এবং সূর্য ও চন্দ্র আমাকে সিজদারত। ইউসুফ তিন নম্বর স্বপ্নই দেখেছিলো এই বিশ্বাস থেকে বলছি, সূর্যের ধারণা থেকে তৈরি হয় আমাদের পিতা আর চাঁদের মজ্জা থেকে বানানো হয় আমাদের মা।
অলকানন্দা
অলকানন্দা, তুমি ফুটে আছো মগজে
ঘুম থেকে উঠার পর ফের ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত অথবা বেঘোর ঘুমের ভিতরেও আমাকে মগ্ন রাখা হচ্ছে হলুদ রঙের ঘ্রাণে। গতরাত থেকে জানালার সব পর্দার লাল রঙ চাপিয়ে উঠেছে হলুদ। বিছানার চাদর কিংবা দেয়ালের রঙ সর্বত্র বেপরোয়া ভাবে জাগছো তুমি৷
আমাকে ভাঙা হচ্ছে; ভীষণও রোষে ছুঁড়ে দেয়া কাঁচের মতো আমি খণ্ডিত। আমার চুল ছিন্ন হয়ে উড়ে যাচ্ছে তোমার দিকে। আমার হাত পা ভাঙা; আঁকড়ে ধরছে তোমার ছায়া। আমার কর্তিত মস্তক জুড়ে লাল, লাল রক্ত৷ গর্দান জুড়ে অব্যবহৃত করাতের দুঃখ। আমার আত্মা; পলায়নরত; বাতাসের সাথে মিশে গেছে; সেও কি যাচ্ছে তোমার দিকে?
অলকানন্দা, শুনছো? মগজ; তোমার জন্মভূমি থেতলে গেছে অলকানন্দা। তুমি কি কাঁদছো?
তিমিরে বাজে যে সুর
প্রবীণ অন্ধকারের ভিতর আবিষ্কার করি প্রথম
শিশিরা ক্রান্ত মাকড়শার জালের মতো আয়ুরেখা ধরে ফুটিতেছিলো আলো- আমার চোখেজুড়ে বিষণ্ণতার সমারোহ ঠেলে জাগিতেছিলে তুমি - এক অনিন্দ্য সুন্দর মায়া।
মস্তিষ্ক জুড়ে রক্তক্ষরণ অদৃশ্য ছুঁয়াতে থামিয়ে জড়ালে অপ্রতুল করতালুর রেখার যৌবনে। অধর থেকে ঝরে পড়ছে আয়ুজল; আমার রূহ ফিরেছে প্রাঞ্জল প্রবাহে আর ধ্যানী হয়েছে মুগ্ধ চুম্বনে। থুতনিতে মরেছে অন্ধ সন্ন্যাসীর বিমুখতা ; খুন হয়েছে বহুবার দৃষ্টি।
রোদের ভিতর জড়ো হচ্ছে ঝিরঝিরে হাওয়া কোয়াশাতে ভিজে যাচ্ছে আকাঙ্ক্ষার অসুখ
কাঠের মতো শুষ্ক হৃদয় থেকে বের হয়ে এসে যে চোখ শান্তির পয়গাম এনেছে তোমার বুকে; তাকে পাহাড় ভ্রমণে সঙ্গে নিয়ো হাতের আঙুলে নিয়ো অন্ধকারের আগুন- তাকে দেখায়ো সুন্দরতম মিম্বরের ধ্বনিতে কিভাবে সৃজে অনন্য জীবনের রূহ।
দৃষ্টির গভীরতা
নমরুদের বিরুদ্ধে ধর্মপ্রচারের অপরাধে ইবরাহিম (আঃ) কে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করা হয়। শুকনো কাঠের ভিতরে ইবরাহিম। কাঠ জ্বলছে। আকাশ ছুঁইতেছিলো স্ফুলিঙ্গ, লাভা৷ মানুষের সে কি হাহাকার। কাফেরদের বীভৎস হাসি৷
সবাই সমানভাবে দেখছে ইবরাহিমের জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া।
দূরে দাঁড়িয়ে নমরুদের স্ত্রী। অবাক হচ্ছে। কাঁদছে অলৌকিক দৃশ্য দেখে৷ ইবরাহিম এক অদেখা বাগানে খেলছে। হাসছে। আনন্দ করছে।
দৃষ্টির প্রধান উপদেষ্টা হৃদয়, আত্মা। আত্মা যতো পরিষ্কার দৃষ্টি তার সমানুপাতে স্বচ্ছ এবং গভীর হয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড