• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অবশেষে প্রেম!

  এম.আজমানুর রহমান

১৫ জুন ২০২০, ১৫:২৬
অবশেষে প্রেম!
অবশেষে প্রেম!

আমি সবসময়ই একটু সাদাসিধা একটি ছেলে। ছোট বেলা থেকেই বড় হয়েছি সাদাসিধা ভাবেই। নষ্ট হয়ে যাবো, পরিবারের সম্মান নষ্ট হবে এই ভেবেই অনেক সময় নিজের ইচ্ছা থাকা স্বতেও অনেক কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখি। একটু আগে ভাগেই বলে রাখি আমি পরিবারের বড় ছেলে। বোধহয় এজন্যই পরিবারের কথাটা বেশি ভাবতাম।

আমি সাদাসিধা হলেও একটু মিসুক টাইপের। মানে সকলের সাথে অল্পতেই মিশে যেতে পারি। সকলকে আপন করে নিতে পারি এবং ভালোও বাসতে পারি।

আমি কখনো প্রেম করিনি। প্রেম আসলে কিভাবে করে তাও বুঝি না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছেলে-মেয়েরা কিভাবে যে গল্প করে কাটিয়ে দেয় সেটা আমার মাথাতেই আসে না! তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলার জন্য এতো কথা পায় কোথায়? একবার এলাকার এক বড় ভাইয়ের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উত্তরে বলেছিলো একবার তুই কর তখন বুঝবি এত কথা কোথায় পায় সকলে।

অবাক হয়ে বলেছিলাম, প্রেম! তাও আবার আমি !! এর থেকে হাসির আর কিছু হতে পারে না। তবে আমার সাথে কোনো মেয়ে নিজে থেকে কথা বললে তার সঙ্গে অবশ্যই আমি কথা বলি। পরিচয় হওয়ার পর মাঝে মাঝেই কথা হয় তাদের সাথে। হয়তো অল্পতেই তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে মিশে যেতে পারি। তবে অবশ্য ভালো বন্ধুত্ব হয় কিন্তু প্রেম আর হয় না। কেন হয় না কেইবা জানে সেটা? সকলের সাথে তো ভালোই ব্যবহার করি। কখনো তো বাজে কোনো ধরনের কথা বলি না বা প্রস্তাব রাখি না!

ওর সাথে প্রথম দেখা হয় আমাদের ক্যাম্পাসে। ঐদিন ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে ঐ নগরীর নগরপিতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছিল এবং আমাদের নবীশ বরণ অনুষ্ঠান ছিলো। যতদূর মনে পড়ছে তারিখটা ছিলো জুলাই মাসের ২৭ কিংবা ২৮। প্রধান অতিথির সঙ্গেই আমি ক্যাম্পাসের ভিতর ডুকেছিলাম। অতিথিরা মে উঠছিলো তাই পিছন দিক থেকে কয়েকটা ছবি তুলে স্টেজের শেষ সারিতে এসে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ চোখ পরে তার দিকে। ব্যাস, আমার সব কিছুই উলটপালট হয়ে গেলো। এখনো মনে পড়ছে তাঁর সেদিনের সেই মায়াবী চেহারাটা। বিশাল এক আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম তার দিকে। তবে সেদিন নিজের আবেগকে মটেও পাত্তা দিতে চাইনি। ভেবে ছিলাম হয়তো এটা একটা মোহ। কত মেয়ে দেখলেই তো ভালো লাগে, সেই রকমই কিছু হবে হয়তো। তাই অনুষ্টানচলাকালীনই চলে গেলাম বাসায়। তবে টের পেলাম কদিন বাদে। এই অনুভূতি তো বেশ অদ্ভুত! শরীরের ভিতর অস্থিরতা শুরু হয়েছিলো। তার কথা চিন্তা করলেই বুকের ভিতর এক অদ্ভুত চাপ অনুভূত হতো। তার কথা মনে পড়লেই নিজের অজান্তেই আমার মুখে হাসি চলে আসতো। আমার মন থেকে কোনো কিছুতেই তাকে ভুলতে পারছিলাম না। সবসময়ই কি রকম এক অস্থিরতায় যেন ভুগতে লাগলাম!

ক্যাম্পাসে এসেই দূর থেকে ওকে দেখতে শুরু করলাম। তবে কাছে গিয়ে কথা বলার সাহসটি পেতাম না। দেখতে না পারলেও ভালো লাগতো না। সেজন্য ওর চার পাশ দিয়ে ঘুরতাম। যখন বলার সাহস হয়ে উঠছিলো না তখন নিজেকে বুঝাতে শুরু করলাম হয়তো এটা আবেগ। মাস খানিক ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করে গ্রামের বাড়ীতে চলে যাই। আস্তে আস্তে ভুলতে চেষ্টা করতাম। তবে হাজারো চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ফিরে যাই ক্যাম্পাসে। দুইদিন ধরে তাকে খুঁজি তবে ক্যাম্পাসের কোথাও তাকে পাই না। তখন ক্যাম্পাসের কয়েকজন বন্ধুকে জানাই ওর কথা। ক্যাম্পাসে আমার প্রথম পরিচয় হওয়া বন্ধুকে ওর বর্ণনা দিয়ে ওর নামটা সবে মাত্র জানলাম। এতদিনে ওর নামটা পর্যন্তও জানতাম না। জানতাম না ও কাউকে ভালোবাসে কিনা। শুধুই চিনতাম ওর মায়াবী চেহারাটা। দুদিন পরে ক্যাম্পাসের ২নং গেইট দিয়ে ওর বান্দবীদের সাথে ক্যাম্পাসের ভিতরে আসতে দেখি। মনের ভিতর সাহস যুগিয়ে কথা বলার জন্য ওর সামনে যাই । সামনে গিয়ে কথা বলার আগেই সব কথা হারিয়ে যায়। পরে ও বান্ধবীদের নিয়ে মাঠের মাঝখানে বসে গল্প করতে থাকে আর আমি মাঠের একপাশে দাঁড়িয়ে ওকে দেখতে থাকি। তাকে যতবারই দেখি ,ওর ভঙ্গিমা লক্ষ্য করি ততবারই মনে হয় এই মেয়ের সাথে আমার মাঝে মাঝে স্বপ্নে আসা মেয়েটির সঙ্গে মিল রয়েছে। কারণ এতটা ভালো আর এতটা মেয়ে আল্লাহ পৃথিবীতে নামিয়েছে কিনা আমার যথেষ্ট সন্দেহ ছিলো।

কিন্তু আমার ধারণা পরিবর্তন করা শুরু হলো। আল্লাহর সকল বান্দাই সুন্দর আর তার ভিতরই হয়তো ও একটু বিশেষ সুন্দর।

দাঁড়িয়ে দাড়িয়ে অনেক কিছুই ভাবতে থাকি। ভাবতে শুরু করি একে ছাড়া আমার চলবেই না। এই মেয়েকে আমার চাই-ই চাই। তবে তা বাস্তবে কতটুকু সফল হবো চিন্তায় পরি। পরে ক্যাম্পাসের আরেকটা বন্ধুর মাধ্যমে ওর সম্পর্কে বিস্তারিত জানি। ঐ বন্ধুকে নিয়ে প্রতিদিন ক্যাম্পাস থেকে যাওয়ার সময় ওর গাড়ী সামনে গিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে থাকি। মাঝে মাঝে ওর চোখে চোখ পরে। আমি ভাবতে শুরু করি মনে হয় আমার এভাবে দাঁড়িয়ে থাকাটা ও বুঝতে পারে। আমি তাকে ভালোবাসি,পছন্দ করি এটা হয়তো ও আঁচ করতে পারছে। বন্ধুদের নিয়ে প্লান করি আজ ওরা গিয়ে আমার কথা ওকে বলবে । সে মুহূর্তে আসলেই ওরা আমাকে ঠেলা শুরু করে। এভাবে প্রতিদিন করতে করতে আজকে বলবো করে আর সেই বলা দিনটা আসে না। অবশেষে আমি আবারো ফিরে যাই গ্রামের বাড়ীতে। মাঝে মধ্যে বন্ধুদের ফোন করে ওর খোঁজ খবর নিতাম। আমার গ্রামের বাড়ী বহুদূর। আর তেমন আমার ক্যাম্পাসে যেতে লেখা-পড়া করতে ভালো লাগে না। মাঝে মধ্যে পরীক্ষা থাকলে, ক্যাম্পাসে জরুরি প্রয়োজন পরলে আবার তাকে খুব বেশি দেখতে ইচ্ছে হলেই ক্যাম্পাসে যাই। আর গেলে বেশ কিছুদিনই থাকি সেখানে। এভাবেই কাটতে থাকে ক্যাম্পাসে একটা ইয়ার। এবার ক্যাম্পাসের এয়ার ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সেখানে যাই । তার সাবজেক্ট আলাদা হওয়ায় প্রতিদিন দেখার সুযোগ পেতাম না। তবে যেদিনই দেখা হতো ও গাড়ীতে উঠে চলে যাওয়া না পর্যন্ত পর গাড়ীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। দুজনের চোখে চোখ পরতো আর আমি বোকার মতো ভাবতাম সেও আমাকে দেখে। পরীক্ষা শেষে ও ক্যাম্পাসের গেইটের সামনে থেকে বান্ধবীদের নিয়ে ঝালমুড়ি কিংবা আঁচার খেতো আর তখনই আমি এবং আমার বন্ধুরাও পাল্লা দিয়ে একই দোকানে গিয়ে ঝালমুড়ি,আঁচার খেতাম। প্রতিদিনই বাসাই গিয়ে ওর গল্প কম বেশি ভাবিকে বলতাম।

আমার শেষ পরীক্ষার দিনেও ওর পরীক্ষা ছিলো। আর কবে দেখা হবে জানি না। তাই আজ অনেক সাহস করে ওর বাসায় যাওয়ার গাড়ীতে আমার তিন বন্ধু উঠে পরি। আমি ভয়ে আর ভিতরের সিটে বসলাম না। আমার বন্ধুদের সাথে পরিচয় আছে তাই ওদের জোর করে ভিতরে বসতে পাঠায় আর আমার কথা বলার জন্য শিখিয়ে দেই এবং যেভাবে হোক ওর নাম্বার অথবা ফেসবুকের আইডিটা নিয়ে আসতে বলি। গাড়ী ওয়ালা জিজ্ঞেস করে ভাই আপনারা তিনজন কোথায় যাবেন? আমি তো নিজেও জানি না আসলে আমরা কোথায় যাবো। ও যতদূর যাবে আমরাও ততদূর যাবো। তারপরেও হতভম্ব হয়ে বুদ্ধিখাটিয়ে গাড়ীওয়ালাকে বললাম চলেন আমরা এই গাড়ীতে যারা আছি সকলেই এক জায়গার লোক, একই জায়গা গিয়ে নামবো। কিছুক্ষণ পর মনে মনে একটু হাসছিলাম এই ভেবে যে হতভম্ব হয়েও বেশ কাজে দিয়েছে। হঠাৎ রিমঝিম করে বৃষ্টি শুরু হলো। আমি গাড়ীর সামনে থাকায় ভিজতে শুরু করলাম। এরই ভিতর গাড়ীর ভিতর থেকে শুনতে পেলাম বন্ধু আমার কথা বলতে শুরু করেছে। আর সাধারণত বন্ধুদের নিয়ে পছন্দ করার মেয়ের কাছে প্রথম বার গেলে সবার বন্ধুরাই একটু বাড়িয়েই প্রশংসা করে আমার ক্ষেত্রেও তাই করে ছিলো। আমি ছোট একটা জব করি সেজন্য আমার ভিজিটিং কার্ড আছে। বন্ধুর কাছে আমার ভিজিটিং কার্ড থাকায় সে ঐ ভিজিটিং কার্ড ওর হাতে দিয়ে বলছে তোমার কোনো সমস্যা বা এলাকায় কোনো সমস্যা হলে ঐ নাম্বারে ফোন দিয়ে জানিও। এটা আমার বন্ধুর নাম্বার। ও খুব ভালো!!

ও কার্ড টি নিয়েছিলো তবে কোনো মন্তব্যই সে করে নায়। এর ভিতর বন্ধু বলে উঠলো তা আমরা একই জায়গায় পড়াশোনা করি আমরা তো বন্ধু হতেই পারি। ও উত্তর দিয়েছিলো আমরা তো এমনিতেই বন্ধু। নতুন করে আবার কি বন্ধু হবো? সবাই-ই উত্তর শোনে চুপ হয়ে গেলো।

কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর .. .. .. বন্ধু আবার বৃষ্টি হওয়াকে কেন্দ্র করে গল্প শুরু আরম্ভ করে। গল্পের মাঝেই ওর ফেসবুক আইডি চেয়ে বসে। ও দিতে রাজি হচ্ছিলো না। পরে ওকে বলে আমরা তো বন্ধু! বন্ধু কি বন্ধুর ফেসবুক আইডি নিতে পারে না? ইচ্ছে হলে আমরা মাঝে মধ্যে কথা বলতে পারি। অনেক কথার পরে দিতে রাজি হলো তবে কাউকে দিতে পারবে না সেই স্বত্বে। স্বত্বের কথা শুনেই আমি মনে করে ছিলাম হয়তো ও আবার কথা টের পেয়েছে। যাই হোক দীর্ঘ দিন পর যোগাযোগ করার একটা মাধ্যম পাওয়া গেলো। আগে ওর নাম দিয়ে ফেসবুকে সার্চ দিয়ে ঐ নামের বহু আইডিতে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলাম। এরই মধ্যে হঠাৎ ও গাড়ী থামাতে বলে, ও নামবে । ও নেমে যাওয়ার পর আমরা আবার চলে আসি ক্যাম্পাসে । ক্যাম্পাসে এসে বলি ফেন্ড রিকোয়েস্ট আগে তোরা দিয়ে আমার কথা বলবি। তোদের বলার পর আমি রিকোয়েস্ট পাঠাবো। কথা শেষে যে যার বাসায় চলে যাই।

বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফেরার পর ভাবি জিজ্ঞেস করল আজ এতো দেরি হলো কেন বাসায় আসতে, তাও আবার ভিজে? ভাবিকে বললাম এতদিন পর আজ ওর সঙ্গে একই গাড়ীতে গিয়েছিলাম। ওর সাথে যোগাযোগের একটা ব্যবস্থা হয়েছে। ভাবি বললো যাক অনেকদিন তো হলো এখন বলে দেও তাকে। আজকের ঘটনা ভাবিকে খুলে বললাম । পরে ভাবি ড্রেস চেঞ্জ করে খেয়ে নিতে বললো।

সন্ধ্যায় বন্ধুকে ফোন দিলাম। ওর সাথে কথা হয়েছে কিনা জিজ্ঞেস করলাম। বললো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টই একসেপ্ট করে নায় এখনো। রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করলেই আমাকে জানাস আর তাড়াতাড়িই আমার কথা বলিস ওরে। আর কত দিন এভাবে চলবে। কথা শেষে করে ফোন কেটে দিয়ে সারাদিনে ঘটে যাওয়া সৃতিগুলো নিয়ে ভাবছি।

ভাবতে ভাবতেই কেটে যায় দুদিন। দুদিন পর নিজেই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায়েই ম্যাসেজে আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন? লিখে ম্যাসেজ দেই। কিছুক্ষণ পর আবারো ম্যাসেজ দেই। কিন্তু কোনো রেসপন্সই নেই! আমি তো অবাক!! এতো ম্যাসেজ পেয়েও কোনো মানুষ চুপচাপ বসে থাকতে পারে বলে আমার ভাবার বাইরে ছিলো। তবে অবশ্য এই পৃথিবীতে মানুষকে কতটুকুই বা চেনা যায় আর আমরা কজনকেই বা চিনি!

হঠাৎ একদিন পর বন্ধু ম্যাসেজ দিছে ও তো আমাকে একসেপ্ট করছে। আমি জিজ্ঞেস করি আমার কথা বলসিস? উত্তরে.. ও তো ঘণ্টা খানিক আগে একসেপ্ট করছে। আমি তখন অনলাইনে ছিলাম না। এবার আসলেই বলবো।

পরেরদিন দুপুরের .. .. .. বন্ধু তোর ওর সাথে কথা আজ কথা হয়েছে। আমি: কেমন আছে রে.. বন্ধু: ভালোই আমি: আমার কথা কি বলছিস? বন্ধু: সেদিন পরীক্ষা শেষে আমাদের যাওয়ার কারণ বলছি কিন্তু ও তোকে দেখে নায় নাকি। আমি: ওহ, আমি পছন্দ করি বলছিস ? বন্ধু: হুম, তবে ওতো তোকে চেনেই না আর কখনো নাকি দেখে নায় বললো। আমি: ওহ আচ্ছা, আমি রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি। আমার আইডির নামটা বলিস তো ওরে.. বন্ধু: ওকে বন্ধু, বাই।

এতক্ষণে আমার ধারণা বদলাতে লাগলো। আমি এতো দিন ভাবতাম আমি ওর সামনে দিয়ে যখন থাকতাম হয়তো আমাকে ও দেখতো। ৩/৪ দিন পর পর বন্ধুকে ম্যাসেজ দিয়ে ফোন দিয়ে বিরক্ত করতাম। আমার কথা কি কিছু জিজ্ঞেস করে? তুই কি কিছু বলছিস? মাঝে মাঝে বলে আমার কথা ওর কথা এমনটাই তো আমাকে জানাতো। কিন্তু হয়তো বন্ধুও আমার উপর রাগ হতো, বিরক্ত বোদ হতো হয়তো। প্রায় মাস খানিক পর বন্ধুকে বার বার রিকোয়েস্ট এক স্টেপ করার কথা বলতে বলায় ও অনেক বার বলে ওরে রাজি করিয়ে এক স্টেপ করিয়েছে।

ও এক স্টেপ করেই পূরানো ম্যাসেজের উত্তর দিয়েছে। আমি: কেমন আছেন, বাসার সবাই কেমন আছে? ও: ভালো,আপনার? আমি: আলহামদুলিল্লাহ্‌, কি করেন? ও: কিছু না,আপনি? আমি: এইতো সুয়ে বসেই আছি। আচ্ছা , আমার বন্ধু কি আমার কোনো বিষয় আপনাকে বলেছে? ও: নাতো ,কোন বিষয়? আমি: ও আচ্ছা.. (বন্ধু বলে সে আমি জানতাম কারণ সে আমাকে তাদেও কথোপকথনের ছবি পাঠিয়েছে আগেই) ও: বলেন আমি: আসলে ঘুড়িয়ে পেঁচিয়ে আমি কথা বলতে জানি না। সত্য বলতে অনেক দিন যাবৎই আমি আপনাকে পছন্দ করি, ভালোবাসি। সামনে গিয়ে অনেকবারই বলতে গিয়েও বলতে পারি নাই। যদি আপনি অন্য কাউকে ভালোবেসে থাকেন তাহলে আর কখনো বিরক্ত করবো না। ও: আমার কোনো রিলেশন নাই। আর করতেও চাই না। আর আপনিই বা কে ? আমাদের কলেজেই কি পড়েন? আমি তো মনে হয় কখনো দেখি নাই।

এরপর দুই/এক কথা বলে ও বাই বলে চলে যায়।

চার অক্ষরের ভালোবাসা শুধুই কি চার অক্ষরে সীমাবদ্ধতা নিয়েই থাকে! ভালোবাসি বলা আর না বলায় প্রেম থেমে থাকে না!! আর সব ভালোবাসা পাওয়াতে প্রাপ্তি হয় না, কিছু কিছু না পাওয়া ভালোবাসাতে প্রাপ্তি হয়। না পাওয়া ভালোবাসাও দীর্ঘ হয়ে পরিণত হয় দীর্ঘ মেয়াদী ভালোবাসায় .. .. .. ..

হয়তো দেখা হবে, সৃতির এ্যালবামে আলোকিত হয়ে রবে ক্যাম্পাস-বৃষ্টির ভালোবাসাতে জন্ম-জন্মান্তরের অমরত্বেও মহিমায় মহিমান্বিত প্রেম উজ্জীবিত হবে বারংবার।

মাঝে মাঝে হাই/হ্যালো, কেমন আছেন, কি করেন এসব দিয়েই মাস খানিক পার হতে লাগে। আবার মাঝে মাঝে নিজের মনকে মানাতে না পেরে ভালোবাসি বলে ম্যাসেজ দেই। রিপ্লেও পাই বেশি বকবক করার পুরষ্কার সরূপ ব্লক পেতে পারে। আবার মাঝে মাঝে ও ম্যাসেজের রিপ্লেতে ভাইও বলে। তখন মজা করে বলি ভাই বললে তো তোমার বাবাকে বাবা বলে ডাকার অধিকার পেয়েও যাবো। অর্থাৎ শশুরবাবা হবে তিনি। এভাবে রাগাতাম।

মাঝে মাঝে আবার ক্যাম্পাসে গিয়েও সেই আগের মতোই পিছু ঘুরতাম। আর রাতে গিয়ে তার বর্ণনা দিতাম।আমার উপর রেগে থাকলেও এক পর্যায়ে টক-মিষ্টির মতো সম্পর্ক হয়ে উঠে। কয়েকদিন বাদে বাদে আমাকেও আর ওকে আমি কিপটুস বলে ডাকতাম। হ্যাঁ, ডাকাটা ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ফেসবুকের সুবাদে আমার গ্রামের বন্ধুটি বহুবার আমার কথাটি ওকে বলেছে। শতবারও বলা স্বত্বেও সে রাজি হয়নি। অবশেষে আমার গ্রামের বন্ধুটিও নিজেরই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসলো। তবে তাতেও রাজি হয়নি।

কয়েকবারই ১টি বার বাইরে কোথাও দেখার করার জন্য বলতাম। যখনই বলতাম হাজারটা কারণ সামনে এনে দাঁড় করাতো। বলতাম কিপটা মানুষের কাচ থেকে মাত্র ২টাকার বাদাম খাবো। শুধু বলতো পাওনা থাকলো। এতো দিনের মাঝে ২/১বার নাকি সে আমাকে দেখেছে। নিজেই একদিন ম্যাসেজ দিয়ে জানালো। আজ মনে পরছে সেই প্রথমে চারপাশ দিয়ে যখন ঘুরঘুর করতাম আর ভাবতাম হয়তো সেও আমায় দেখছে কিন্তু সেটা ভুল ভাবনা ছিলো যে.. তবে আজ ভালোই লাগলো চারপাশ দিয়ে না করাতেও সে আমায় দেখেছে। ক্যাম্পাসে নতুন করে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তাই সকলেই রেজিষ্ট্রেশন করতে আসছে। আমার পাশের লাইনে ও দাঁড়িয়ে আছে। আমি মাঝে মাঝে আড় চোখে ওর দিকে তাকাচ্ছি আরও বান্ধবীদের সাথে দুষ্টুমি করছে। আমি লাইনের সামনে থাকায় পিছন থেকে আমার বন্ধুরা বলছে বন্ধু ভাবির ফরম টা তুলে দে। ওদের বিরক্তে আমি আমার ফরম না তুলে ওরটাই আগে তুলে দেই। এতোও বিপদ বন্ধুরা ক্ষ্যাপাতে শুরু করলো ভালোবাসো না তাহলে আবার কেন দিছো? আরো কত কি.. ..

টক-মিষ্টির এই ঝাঁঝালো সম্পর্কেই মাঝে মাঝে রাত ১২ থেকে কথা বলতে বলতে রাত ৩/৪ টা ও বেজে যায়। এতো কথা বলার পরেও সে তো আমার সাথে সম্পর্ক করতে নাসরবান্দা। এই নাসারবান্দাকে বহুবারই বলেছি আমার ভালোবাসা সত্যি হয়ে থাকলে আর ভাগ্যে লেখা থাকলে ইনশাল্লাহ একদিন তুমিও আমায় ভালবাসবে। এবার এই কথাটি বলার সপ্তাহ খানিক পরে ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড আমাকে ম্যাসেজ দিলো। ওর বেষ্টু: কেমন আছেন? আমি: ভালো,আপনি? ওর বেষ্টু: আমিও,আমকে চিনছেন? আমি: হ্যাঁ,অবশ্যই! চিনবো না কেন? আমাদের সাথেই তো পড়েন! ওর বেষ্টু: জি ভাইয়া এভাবেই বেশ কিছুক্ষণ দুজনের অনেক ধরনের কথা হতে থাকে। হঠাৎ করে ও বলে উঠলো ভাইয়া আর কত দিন আমার বান্ধবীকে এভাবে পছন্দ করে বসে থাকবেন? আমি: মানে? ওর বেষ্টু: আর মানে মানে করতে হবে না দুলাভাই। এবার এসে সরাসরি তো বলেন। বেচারি আর কত দিন একা একা থাকবে। আমি: ও আচ্ছা , তাকে তো অনেক বারই বলেছি তবে সে রাজি হয় নাতো। আমাকে তার পছন্দই হয় না। ওর বেষ্টু: পছন্দ হয় না আর রাজি না তাতেই সে আপনার বউ কোচিংয়ের সবাই-ই সেটা জানে। সবাই আপনার নাম নিয়েই ওকে ক্ষ্যাপায়। এখন তো সে মেনেই নিছে। (কোচিং এর সবাই তাকে আমার নাম নিয়েই ক্ষ্যাপায় সেটা অবশ্য আমি জানি। কারণ এটা তো আমিই শিখিয়ে দিয়েছি আমার ক্যাম্পাসের সেই বন্ধুকে। ওরা সবাই একই কোচিংয়েই পড়ে।) আমি: কিন্তু আমি বললে তো ব্লক দেওয়ার ভয় দেখায়। ওর বেষ্টু: তাতো করবেই মেয়ে তো। আর আপনি সরাসরি তো কখনোই প্রস্তাব দেন নাই। আমি: ভয় করে তো! যনি মুখের উপর না বলে দেয়? ওর বেষ্টু: আহারে! এভাবে ভয়ে থাকলে তো আর পাবেন না আপনার ভালোবাসাকে। আমি: তাহলে কি করবো তুমিই বলো? ওর বেষ্টু: এখানে আসেন এবং সরাসরি প্রস্তাব দেন। আমি: রাজি হবে? ওর বেষ্টু: ইনশাল্লাহ! আমি: শিওর? ও কি কিছু বলেছে? ওর বেষ্টু: এতো শিওর শিওর করছেন কেন? ৭০% সে রাজি হবে। আমি: আর বাকি ৩০% এ যদি না হয় তখন? ওর বেষ্টু: হবে সমস্যা নাই আর আপনি যদি না পারেন তাহলে আর কি করার.. .. আমি: না তুমি ৯০% শিওর দেও বাকি ১০% আমি রিস্ক নিবো। ওর বেষ্টু: আচ্ছা ৮০% শিওর। এভাবেই বেশ কিছু দিন কথা চলতে থাকে ওর বেষ্টুর সাথে.. .. .. তবে আগের মতোই ওর সঙ্গে আমি ম্যাসেঞ্জারে মাঝে মাঝে কথা বলতে থাকি। ঐ কিপটুস টাকে এটাও বলি যে একদিন তোমার সামনে এসে তোমাকে ভালোবাসার প্রস্তাব দিবো এবং তুমি নিজেই তাতে রাজি হবে। ও আগের মতো রেগেই ম্যাসেজের উত্তর দেতো।

হঠাৎ করেই তার শহরে আমার আগমন ঘটাই। আগমনের সাথে সাথেই ওর বেষ্টুর সঙ্গে গোপন বৈঠক ও করে নেই দুজনে। ওরে না বলে ওর বেষ্টু নিয়ে আসবে আর আমি হঠাৎ করেই মুভির মতো সামনে গিয়ে দাঁড়াবো। দিন, তারিখ, সময় ও দেখার করার জায়গা ঠিক। কথা মতোই ওরা দুজনে জায়গা মতো চলে আসে আর আমি আমার গ্রামের বন্ধুকে নিয়ে লাল গোলাপ নিয়ে একটু দেরি করেই সেখানে পৌঁছাই । তবে দেখার করার জায়গাটা ছিলো রেল লাইন। তাই হঠাৎ করেই ওর সামনে গিয়ে দাঁড়াবো সেজন্য দূর থেকে ওদের দেখতেছিলাম কিছুক্ষণ আর সুযোগের অপেক্ষাতে ছিলাম। কথা মতো ওদের দুজনের আসার কথা ছিলো তবে সেখানে দুজনের জায়গা তিনজনকে দেখা যাচ্ছে। তিনজনের ভিতর ছিলো একটা ছেলে। তাহলে ঐ ছেলেটাই কি আমার পছন্দ করার ছেলেটার বয়ফ্রেন্ড? তাহলে এতো কিছু করে কি ওর বয়ফ্রেন্ডকে দেখাতে এনেছে আমায়? এসব ভাবতে ভাবতে অপেক্ষার প্রহর কেটেছে আর আমি প্লান মতোই ওর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি। ও তো সম্পূর্ণই অবাক! তাহলে এতক্ষণের ভাবনা কি আমার ভুল ছিলো? ও অবাক হয়ে আমার দিকে ধ্যান ধরে তাকিয়ে আছে আর একটা মায়াবী হাসি দিচ্ছে। আমি তো ঐ হাসি দেখে সম্পূর্ণই ক্রাশ!! ধ্যান ভেঙ্গেই সে তো ওর বেষ্টুর উপর একদ চ্যেঁতে গেছে। এরই ভিতর ওদের সাধে থাকা তৃতীয় ব্যক্তির বিদায় ঘটলো। আর আমরা চারজন চারজনের দিকেই তাকাচ্ছিলাম। তবে আমি স্পেশালভাবে তার দিকে। এতো দিনের পছন্দের পর আজই প্রথম এতো কাছ থেকে ওকে আমি দেখছি। আমি যে এই মেয়েকে ভালোবাসি তা ওর রূপের জন্য বা ওর গুনের জন্যও নয়। ওকে যে ভালো না বেসে থাকতে পারি না তাইতো বাসি ভালো!

ওর বেষ্টু ওকে বলছে কিরে দুলাভাই কে দেখে কি লজ্জা পাচ্ছিস? সেও বলে দূর আমার দুলাভাইও তো আসছে। ওর দুলাভাইও আসছে তার কারণটি ছিলো আমার সঙ্গে আসা আমার বন্ধুটি। ওদের পাল্লাপাল্লির অবসান ঘটিয়ে চারজনে মিলে রেললাইনের ব্রিজের উপরে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। সবাই কথা বললেও আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ওর কিছু ছবি তুলে নেই। পরে একটা কপি হাউজে গিয়ে গল্প করতে থাকি। তবে কপি হাউজে কি গল্প করা যাবে শুধু ? খেতেও তো কিছু! তাই ওকে কিপটুস বলেই আজ খাওয়ানোর সুযোগটা নিতে বলি। সাদওে তা গ্রহণ কওে তাদের পছন্দতে লাচ্ছির অর্ডার হয়। এতক্ষণে আমি তার আরো বেশ কিছু ছবি তুলে নেই। আর ওর বেষ্টুর সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে ওর গোপনে আবারো বৈঠক করি। ওর বেষ্টুও বেশ কিছু ছবি তুলেছে আমাদের দুজনের তবেও টের পেয়ে গেছে। তাই একটু সরে বসেছে আমার পাশ থেকে। টের পেয়েই বান্ধবীর ফোন চেক কওে কিন্তু বান্ধবী সব ছবি আমার ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়ে দিয়ে গ্যালারী থেকে ডিলিট করে দিয়েছে। এখন তো আমার ফোন চেকের পালা তবে পরিচয় বেশি না থাকায় সংকোচে ফোন নিয়েও চেক না করে ফিরিয়ে দিলো। ওর বেষ্ট ফ্রেন্ডর পছন্দতেই হাঁট গেড়ে গোলাপ ফুল দিয়ে প্রপোজ করতে হবে। অনেকবার হাঁটু গেড়ে পারবো না বলার পরেও বাধ্য হয়েই এক পর্যায়ে আই লাভ ইউ বলেই ফেলি। ও তো চেয়ার থেকে উঠেই দূরে চলে গেছে। সিনক্রেট করতে শুরু করলো। আমার থেকে ওর বেষ্টুরই বেশি রাগ লাগছিলো। একপর্যায়ে সে আমকে প্রত্যাখ্যানই করলো। আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পরে কপি হাউজের জানালা দিয়ে ফুলগুলো ফেলে দেই । এতে ও নিজেই আমাকে সরি বলে তবে আমার কি আর ঐ সরিতে হবে? সঙ্গে সঙ্গেই কথা শেষ করেই ঐখান থেকে আমরা বের হয়ে যাই। দ্বিতীয় বারের মতো আবারো দুজনে একই গাড়ীতে উঠি। কিছুদূরে যাওয়ার পরে ওরা নেমে যায় আর আমি এবং আমার বন্ধু চলে আসি। প্রত্যাখ্যান হওয়ার পরে আমি নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করলাম। এতো দিনের চেষ্টার পর আর কিইবা করার থাকে? কি লাভ নিজের না পাওয়া ভালোবাসাকে সামনে এনে বুকের ভিতর চাপা কষ্টটা বাড়াতে। এতে আরো দুঃখ বাড়বে। আমাদের সকলের জীবনেই কিছু প্রশ্ন থেকে যায় ,যা আমরা কখনোই মিলাতে পারি না । তেমনি কিছু চাওয়া হয়তো পাওয়া হয় না।

ওর কাছ থেকে চলে আসার পর আর ঐদিন নেটে আসি নাই। পরেরদিন গ্রামে চলে আসার জন্য দুপুর পর রওনা হই । তখন একটু নেটে আসি আর ফেসবুকের নিজের টাইম লাইনে পোষ্ট দেই তোমার শহরে এসেছিলাম তোমার ভালোবাসা নিয়ে ফিরতে তবে অনেককিছুই নিয়ে ফিরেও যাচ্ছি শুধুই তোমার ভালোবাসা ছাড়া। এর ভিতরই তার আইডি থেকে ম্যাসেঞ্জারে একটা ম্যাসেজ আসছে টুং করে শব্দ হয়ে। ম্যাসেজটি ছিলো: অনলাইনে আসলে একটু নক করেন তো। ম্যাসেজটি দেখে কোনো রিপ্লে দিলাম না। বাড়ীতে আসার পর রাত ১১টায় আবারো তার ম্যাসেজ। আমার হুম দিয়ে রিপ্লে দেওয়ার পরই গতকালের জন্য সরি বলে ম্যাসেজ। এরপরই টুকি টাকি কথা বলতে বলতে রাত ২টা গড়িয়ে গেলো। অনেক রাত হওয়ায় বাই বলে কথা শেষ করে দিয়ে অনলাইন থেকে চলে যাই। পরের দিন আবার নিজে থেকেই তার ম্যাসেজ... .. .. কথা বলতে বলতে রাতের প্রায় শেষ প্রহর। দুজনের দুজনকে সারাটিজিবন ভালোবেসে পাশে থাকার এবং একসাথে দুজনের পা ফেলে বাকিটা পথ চলার প্রতিশ্রুতি। দুজন দুজনকে বললো “ভালোবাসি”। এই শব্দটির সাক্ষী হয়ে রইলো ভোর আকাশের সূর্য। নতুন সূর্যের মিষ্টি আলোর সঙ্গে আমার মনকাড়া হাঁসি মিলিয়ে গেলো। তার মুখে “ ভালোবাসি তোমায় ভালোবাসি” শুনে প্রায় ১বছর ৮ মাসের অপেক্ষার প্রেমের অবশেষে প্রাপ্তি।

এভাবেই শুরু হলো এক নতুন প্রেমের কাহিনী.. .. ..

লেখক: এম.আজমানুর রহমান

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড