• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মেলায় হাফিজ পাশার নতুন উপন্যাস ‘প্রেমবিন্দু’

  সাহিত্য ডেস্ক

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:৫৩
হাফিজ পাশার উপন্যাস প্রেমবিন্দু
হাফিজ পাশার উপন্যাস প্রেমবিন্দুর প্রচ্ছদ

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এসেছে কথাশিল্পী হাফিজ পাশার উপন্যাস ‘প্রেমবিন্দু’। এ উপন্যাসে জাগতিক জীবনে মানুষে মানুষে সম্পর্কের টানাপোড়েন, সামাজিক প্রেমের চিত্র আঁকার চেষ্টা করেছেন লেখক।

উপন্যাস সম্পর্কে হাফিজ পাশা বলেন, পৃথিবীতে কত কত মানুষ। আসছে, যাচ্ছে। প্রতিটা মানুষই আলাদা। একেকজন একেকরকম। কারও সঙ্গে কারোর মিল নেই। তেমনি প্রতিটা মানুষের মতো মনও আলাদা, স্বতন্ত্র। জীবনে পথ চলতে গিয়ে মানুষজন পরস্পরের পরিচয় হয়, বন্ধুত্ব হয়, ঘনিষ্ঠতা হয়, এমনকি একসঙ্গে বাস করেও দুটো মনের মাঝে কতটা তফাৎ। একজন জানতে পারে না অন্যজনের মনে কী বইছে। হয়তো মনের আংশিক মিলে যায় বলে ঠুনকো মিলন হয়। কদাচিৎ সম্পর্কের পরিচয়ে বাঁচে।

তিনি বলেন, সম্পর্ক কখনো একক ইচ্ছেতে হয় না। যেখানে একক ইচ্ছের কোনো মুরোদ নেই সেখানে একক সিদ্ধান্তের কথা ভাবাই যায় না। পৃথিবীতে তাবৎ সম্পর্কই দুজনের ইচ্ছে বা সিদ্ধান্তে সম্পন্ন হয়ে থাকে। হোক সেটা বন্ধুত্ব, কিংবা প্রেম-ভালোবাসা।

‘মানুষ মাত্রই সামাজিক প্রাণী। সংঘবদ্ধভাবে চলতে গিয়ে কাউকে তার মনের অনুরূপ খুঁজে পায়, আর তখনই সম্পর্কের ধারণা আসে। ধারণা থেকে ইচ্ছে জাগে, তারপর ইচ্ছের প্রকাশ। কাঙ্ক্ষিত মানুষটি যখন ইচ্ছেকে সাবলীল গ্রহণ করে, ঠিক তখনই একটা সম্পর্ক সৃষ্টিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটা চিরন্তন রীতি। পৃথিবীর আদি লগ্ন থেকেই এমন রীতি চলে আসছে।’

ঔপন্যাসিক আরও বলেন, সম্পর্ক যখন গভীর থেকে গভীরতম সমুদ্রে পৌঁছে, তখন সম্পর্কের জোয়ারে থাকে বিশ্বাস, তার সাথে যোগ হয় প্রিয়জনের প্রতি আস্থা। বিশ্বাস আর আস্থা নামক জোয়ার যখন তীরবর্তী হয় তখন উত্তাল ঢেউয়ে পরিণত হয়। সেই উত্তাল তরঙ্গ সামলাতে অধিকাংশ সম্পর্ক হিমশিম খায়। কারণ, তাদের সম্পর্কের কোনো একজনের বিশ্বাস আর আস্থা একদম নড়বড়ে থাকে। তখন সম্পর্কটা তীরে এসে আছড়ে পড়ে।

প্রকাশিত উপন্যাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক বলেন, অনেকে সম্পর্ক করে স্বার্থ দেখে, আবার বিয়েও করে স্বার্থান্বেষে। স্বার্থ খোঁজা যেন তাদের প্রধান ধর্ম। তাদের কাছে সম্পর্কের কোনো দায়বদ্ধতা নেই। নেই কোনো হা-হুতাশ। যেন সম্পর্ক একটা নিছক তামাশা। তাসের খেলাঘর। মন চাইলে গড়বে, আবার ভাবলেশহীনভাবে গুঁড়িয়ে দিবে। হয়তো ভাবে কোনো রঙিন ফানুস। ক্ষণিকের জন্যে আদুরে রঙ ঢেলে-মেখে প্রজ্বলিত করবে, হাওসের তরে আকাশে উড়িয়ে দিবে। তখন মনে হয় এ কেমন বন্ধন, প্রেমের খেলা। যেন প্রেমবিন্দু হয়ে ধরা দেয়। প্রেম হয়, হারায়, আবার ফিরে পাবার সমূহ আশা জাগে। যেখানে দুটি আত্মা এক হয়ে প্রেমবিন্দুতে পরিণত হয়। মনে হচ্ছে এই প্রেমবিন্দু থেকে দুটি আত্মাকে কখনো ছিন্ন করা অসম্ভব।

কথাশিল্পী হাফিজ পাশা বলেন, সম্পর্কের বিষয়ে বিধাতার এ কেমন বিচিত্র খেলা, অথচ কত নিখুঁত। কতটা গোছানো, পরিপক্ব। পরমকর্তার স্ক্রিপ্টে কোনো প্রকার ত্রুটি নেই। নেই ভুল হবার সম্ভাবনা। এই নিখুঁত গল্পের অসাধ্যকে সাধন করবার ক্ষমতা পৃথিবীর কোনো স্ক্রিপ্টরাইটারের নেই।

বইটি পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলার গাজী প্রকাশনীতে। স্টল নম্বর : ২৮৭-২৮৮। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।

ওডি/এএস

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড