এম মুকুল
ক্ষমতা ও লোভের দৌরাত্ম্যে মানবতা যখন থিতিয়ে পড়ছে, বিপ্লবী ও সংগ্রামী চেতনা যখন অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বাসিন্দা হতে চলেছে ঠিক সে মুহূর্তে ‘ইতিহাস লিখছে অন্ধকারের গান’ কবিতার বইয়ের কবিতাগুলো নতুন মাত্রায় এই সব বিষয় ভাবাতে শুরু করছে অবচেতনে। মনুষ্যত্বে পচন ধরলে পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে সর্বোপরি পৃথিবীর সারা শরীরের যে যন্ত্রণা শুরু হয় সে ছবি এঁকেছেন কবি রাসেল আবদুর রহমান তার কবিতার জমিনে। কবি তার কবিতায় স্বদেশ দিয়ে শুরু করে বিশ্বে পরিভ্রমণ করে ঢুকেছেন মানুষের অন্তরে। প্রেমের ঘর আঁকতে গিয়ে তুলে ধরেছেন প্রেমের বিবর্তন। বেশ কিছু কবিতার শরীরে দিয়েছেন নতুন কাঠামো। ছোট শরীরে এই কবিতা দুই স্তবকে মাত্র পাঁচ লাইন। দুই স্তবকের ভাব দুই রকম কিন্তু সর্বোপরি একই মেকআপের কবিতা। কবিতায় ঘুরে আসলে বোঝা যাবে আসল মুগ্ধতা।
তরুণের বাণী
আমি লাল স্বপ্নের সবুজ পতাকা, জাগ্রত বাংলার প্রদীপ্ত অভিনেতা স্বপ্ন দেখবই দৃঢ় প্রত্যয়ে। শক্ত হাতে ছিঁড়ব প্রতিটি বাধার সকল শিকল আনব খুঁজে লালিত স্বপ্নের জঠর। আমি বীজপুরুষ!
ভয়ের বাতাসে নয় নত শির! সংগ্রামী বুকের প্রাচীরে বিঁধে না জুলুম বুলেট মানি না মানব না, কোনো অত্যাচারী রোজনামচা-খামছে ধরব প্রতারণার পতাকা।
এই হলো তার নতুন কাঠামোর একটি কবিতা। কবিতার এই শরীর সাহিত্যে নতুন। এই কবিতার বইয়ের কবিতায় উঠে আসছে নানাবিধ বিষয়। নামের বিশ্লেষণেও দেখা যাচ্ছে ভিন্নমাত্রা। কবি মানুষের মানবিক অবক্ষয়কে গুরুত্ব দিয়েছেন এভাবে- ‘দারুণ অকাল! খোঁজা সব জ্ঞানী তাই জারজ নেতৃত্বে- ইতিহাস লিখছে অন্ধকারের গান।’ আবার ‘মগ্নতার ঘুম’ কবিতায় দেখা যায়- ‘ছেলেদের খেলার মাঠ নেই, না থাকুক বন্ধুর ডুপ্লেক্স - এই হিংসা জামার নিচের হৃৎপিণ্ডের সাথে নাচছে আর উঠছে অবিরাম তাই সবুজ মাঠ কেনার তাড়া মগজের কোষে কোষে। পাখির বাগান গেলে তাতে কি? চোখ জুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ির নকশা’
এভাবেই মনের গভীরে আঁচড় দিয়ে যায় এই কাব্যের কবিতাসমূহ। কবি প্রেমের কথা বলছেন, অতীতের স্মৃতিতে ডুব দিয়ে দেখিয়েছেন অতীত ইতিহাস, সেই ইতিহাসের দুলুনি, মনের গভীরের অন্ধকার। এর সাথে আমাদের কর্তব্য সম্পর্কেও ইঙ্গিত করেছেন। বইয়ের কবিতাগুলো ভাবনায় পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
আরও পড়ুন : গ্রন্থমেলায় আসছে তাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’
কবিতা প্রেমীদের মনের ক্ষুধাকে আরও শাণিত করতে, কবিতার সৌন্দর্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে ‘ইতিহাস লিখছে অন্ধকারের গান’ কাব্যগ্রন্থ কবিতার ভুবনে এক অনন্য সংযোজন। অমর একুশে বইমেলায় বইটি প্রকাশ করছে দিকদর্শন পাবলিকেশন্সের ‘গ্রন্থ কুটির’ স্টল নম্বর ১৬৪, ১৬৫, ১৬৬। প্রচ্ছদ এঁকেছেন অরূপ মান্দী।
ওডি/এসএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড