• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নতুন বইয়ের বার্তা

সোহেল দ্বিরেফের গল্পগ্রন্থ ‘জীবনে যখন সন্ধ্যা নামে’

  সাহিত্য ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০৬
কবিতা
প্রচ্ছদ : গল্পগ্রন্থ ‘জীবনে যখন সন্ধ্যা নামে’

গ্রন্থমেলা উচ্ছ্বাস প্রকাশন থেকে আসছে সোহেল দ্বিরেফের গল্পগ্রন্থ ‘জীবনে যখন সন্ধ্যা নামে’। গ্রন্থটির প্রচ্ছদ করেছেন রুদ্র আকাশ

‘জীবনে যখন সন্ধ্যা নামে’ গল্পগ্রন্থের ভূমিকা কথন: একটা ভালো বই পারে আপনার খারাপ মুহূর্তটাকে আনন্দময় করতে, বন্ধ চোখজোড়া খুলে দিতে, অন্যায়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সত্যকে তুলে ধরতে। এজন্য অন্তত নিজেকে জানতে এবং সমাজে নিজের দায়বদ্ধতার অবস্থান বুঝতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। বই যেমন আপনাকে প্রতিবাদী হতে শেখাবে ঠিক তেমনি ডিমের কুসুমের মতো কোমল হতেও শেখাবে! তাই নিজেদের পাশাপাশি বর্তমান প্রজন্মকে বেশি বেশি বই পড়ায় আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে যাতে একটি আলোকিত সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব হয়। আশা করি, এই বইয়ের প্রত্যেকটি গল্প পাঠকের মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হবে।

১. জমিলার কাজল আঁকা চোখজোড়া যেন পানিতে একদম ভিজে গেছে! সে কী বলবে আর না বলবে কোনো কিছুই বুঝতে পারছে না। তখন সে মুখ ভার করে উত্তর দেয়, ‘এমন তো কথা ছিল না আর আমাদের বিয়ে হবে কখন? তাছাড়া তুমি চলে গেলে আমার থাকতে খুব কষ্ট হবে। তোমার কাজটি কাল করে নিও। আজ আর বাইরে যাওয়ার দরকার নেই। আমার কিন্তু খুব ভয় করছে। অনুরোধ রইল, তুমি যেও না। আমি একা একা এখানে কী করে থাকব!’

রিন্টু হেসে হেসে উত্তর দেয়, ‘একা তোমাকে বেশিক্ষণ থাকতে হবে না। আমি একজন রেখে যাচ্ছি, তোমার কোনোকিছু লাগলে তাকে বললেই হবে। ভালো থেক আবার দেখা হবে খুব দ্রুত।’

জমিলা রিন্টুর পা জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলে, ‘দয়া করে আমাকে একা ফেলে যেও না। আমি বাবা-মা ছেড়ে তোমার সাথে একত্রে থাকব বলে চলে এসেছি আর তুমি...’

জমিলা তো রিন্টু দর্জিকে বিশ্বাস করেই বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে। তাহলে রিন্টু দর্জি কেনই-বা তাকে এই মুহূর্তে ছেড়ে যেতে চাইছে? এক প্রহর অতিবাহিত হতে না হতেই হঠাৎ করে কী এমন ঘটল যা তাদের আলাদা করে দিল? জমিলার শেষ পরিণতি কী হয়েছিল? সেসব রহস্যের জট খুলতে পড়তে হবে 'রিন্টু দর্জি' গল্পটি।

২. ঈদের দিন সকালে সবাই নতুন নতুন জামাকাপড় পরে ঈদের মাঠে যাচ্ছে। হুমায়রা ঘরের বারান্দায় বসে শুধু চেয়ে চেয়ে দেখছে। একপর্যায়ে সে তার মাকে বলল, ‘মা, আমি কি ঈদের মাঠে যাব না? ঐ যে দেখ, সবাই তো যাচ্ছে।’

তখন সুফিয়া বেগম বলেন, ‘হ্যাঁ, মা। তোরে আমি একটু পরে নিয়ে যাব। তুই একা একা যাইতে পারবি না। আমরা এলাকায় আজ একসাথে ঘুরব । কতমজা করব! আরেকটু ধৈর্য ধরে থাক।’ - আচ্ছা, ঠিক আছে মা। তাইলে আমি গোসলটা করে নিই? - আচ্ছা, কর। - মা, ঘরে সাবান নাই? শুনছি, মাইনসে কয় ঈদের দিন সকালে সাবান দিয়ে গোসল করে বের হইতে হয়, সেমাই খাইতে হয়, কোলাকুলি করতে হয়, নতুন নতুন জামাকাপড় পরতে হয়, গোস্ত খাইতে হয়, আরও কত কী! - আরে না, এগুলো মিছা কথা। এমনি গোসল করলেই হলো। তুই এত কথা কার কাছে শুনছিস, মা? - বাইরে খেলতে গেলে অনেকেই এগুলো কথা কয়। মা, মেলা সময় তো হয়ে গেল কখন আমারে নিয়ে বাইরে যাবা? - এইতো, যাব। আরেকটু সময় গড়াক। তারপর যাব।

সময় গড়িয়ে যায় কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই মুহূর্তটি যেন আর আসে না! হুমায়রা কান খাড়া করে শুনছে ঈদের নামাজ পড়ার জন্যে সবাইকে ডাকছেন মুসল্লীরা। তখন সে তার মাকে গিয়ে আবারও বলে, ‘মা, ওমা আমারে নিয়া যাবা না? কত বেলা হয়ে গেল। তাইলে কি আমাগের ঈদ হবে না?’

হুমায়রা আসলেই কি ঈদের মাঠে যেতে পেরেছিল? তাকে তার মা কেন বারেবারে মিথ্যে সান্ত্বনা দিয়ে থামিয়ে রাখার চেষ্টা করছিল? তাছাড়া তার বাবা কোথায়? তার বাবা মারা গেছে নাকি অন্যকোথাও গিয়ে নিজের মতো করে ঘর বেঁধেছে? এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে পড়তে হবে ‘অদৃশ্য মহামানব’ গল্পটি।

আরও পড়ুন : গ্রন্থমেলায় আসছে তাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘গণমাধ্যমের গন্তব্য’

উল্লেখ্য, গল্পগ্রন্থটি পাওয়া যাবে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৪২ নম্বর স্টলে।

নবীন- প্রবীন লেখীয়োদের প্রতি আহ্বান: সাহিত্য সুহৃদ মানুষের কাছে ছড়া, কবিতা, গল্প, ছোট গল্প, রম্য রচনা সহ সাহিত্য নির্ভর আপনার যেকোন লেখা পৌঁছে দিতে আমাদেরকে ই-মেইল করুন [email protected]
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড