সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্যপ্রেমীদের প্রাণের গ্রন্থমেলার পর্দা উঠছে আগামীকাল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় তিন লাখ বর্গফুট জায়গায় জুড়ে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা-২০২০। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাসব্যাপী এ মেলার উদ্বোধন করবেন। এই সময় উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি শঙ্খ ঘোষ এবং মিসরের লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক মোহসেন আল-আরিশি।
উদ্বোধনী মঞ্চে প্রদান করা হবে ২০১৮ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ীদের। পুরস্কার প্রদান করবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিকেল পাঁচটার পর সাধারণ দর্শক-পাঠকের জন্য খুলা হবে গ্রন্থমেলার দরজা।
মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সাধারণ দর্শক-পাঠদের জন্য প্রতিদিন গ্রন্থমেলা খোলা থাকবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির দিন মেলা খোলা হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বায়ান্নর চেতনা থেকে একাত্তর। যার ভেতরে জড়িয়ে আছে ৫৪, ৬২, ৬৬ ও ৬৯। বাঙালির স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা অর্জনের এই পথচলাকে এবার উদ্যাপন করা হবে মেলাজুড়ে। এর জন্য এবারের মেলার প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিজয়: বায়ান্ন থেকে একাত্তর (নব পর্যায়)’। সেই সঙ্গে ২০২০ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের যাত্রাও শুরু হবে এ মেলা থেকে। নতুন অনেক কিছু সংযোজন করে অন্যবারের চেয়ে এবার আরও সুন্দর ও পরিশীলিতভাবে মেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশা করেন।’
গ্রন্থমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব জালাল আহমেদ মেলা সম্পর্কে বলেন, ‘বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমি সম্মুখস্থ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় তিন লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হবে। যা গতবারের চেয়ে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট বেশি। মেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণটির নামকরণ করা হয়েছে ভাষাশহীদ বরকতের নামে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণকে চারটি চত্বরে ভাগ করে উৎসর্গ করা হয়েছে ভাষাশহীদ সালাম, রফিক, জব্বার ও শফিউরের নামে। পাঁচ ভাষাশহীদের নামে উৎসর্গীকৃত এবারের মেলার দুই প্রাঙ্গণের পাঁচটি চত্বরের প্রতিটি চত্বরের সাজসজ্জায় থাকবে পৃথক রঙের ব্যবহার। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ ও ম্যাজেন্টা রঙের প্রাধান্যে সাজবে এ চত্বরগুলো।
তিনি আরও বলেন, ‘একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৪টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১৫০টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৯৫টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৬২০টি ইউনিট; মোট ৪৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৭০টি ইউনিট এবং বাংলা একাডেমিসহ ২৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৮০টি লিটলম্যাগকে ১৫৫টি স্টল দেওয়া হয়েছে। ২৫টি স্টলে ২টি করে লিটল ম্যাগাজিনকে স্থান দেওয়া হয়েছে। অন্য ১৩০টি প্রতিষ্ঠান পৃথক স্টল পেয়েছে। একক ছোট প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করেছেন, তাঁদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে। গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। এবারও শিশু চত্বর মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকবে। এই কর্নারকে শিশু–কিশোর বিনোদন ও শিক্ষামূলক অঙ্গসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। মাসব্যাপী গ্রন্থমেলায় এবারও ‘শিশুপ্রহর’ ঘোষণা করা হবে।’
ওডি/এসএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড