লাইফস্টাইল ডেস্ক
অন্দরমহলের পরিবেশের ওপর নির্ভর করে পরিবারের মানুষের সুস্বাস্থ্য। ধুলোবালি, ময়লা আর স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জন্ম নেয় ব্যাকটেরিয়া, রোগজীবাণু। যার ফলে অসুস্থ হতে পারেন ঘরের মানুষগুলো। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঘর পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
ঘরে ধুলোবালি জমা হলে তা থেকে অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি থেকে শুরু করে সর্দি-কাশির মতো শারীরিক সমস্যা হতে পারে। কিন্তু কী করে পরিষ্কার রাখবেন অন্দরমহল? সহজ পাঁচটি নিয়ম মানলে ঘরের ধুলোবালি প্রায় ৫০ শতাংশ দূর করা সম্ভব। সেগুলো সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-
কমিয়ে ফেলুন আসবাবপত্র-
ঘরে আসবাবপত্র যত কম থাকবে, ঘর তত পরিষ্কার থাকবে। ঘর গোছানোর আগে কোনো আসবাবের কোণায় ধুলো জমা আছে কি না দেখে পরিষ্কার করতে হবে। খুব একটা ব্যবহৃত হয় না এমন আসবাবপত্র ঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন। এতে একদিক থেকে ঘর যেমন বড় দেখাবে তেমনি ধুলোবালি জমার আশঙ্কাও কমবে।
কার্পেট না থাকাই ভালো-
কার্পেট মেঝের সৌন্দর্য বাড়ালেও এতে প্রচুর ধুলো জমে। ঘর ধুলোবালি মুক্ত রাখতে চাইলে কার্পেট ব্যবহার না করাই উত্তম। আর যদি ব্যবহার করতেই হয় তবে নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যে পরিষ্কার করুন।
পরিষ্কার রাখুন আলমারি-
আবদ্ধ থাকলেও কিন্তু আলমারিতে ধুলা প্রবেশ করে। খেয়াল করে দেখবেন, আলমারির ভেতরের তাকগুলো পরিষ্কার না করলে কাপড়ে ময়লা আবরণ পড়ে। তাই পোশাকগুলো জিপলক ব্যাগে রাখার চেষ্টা করুন।
সঠিক স্থানে জুতা রাখুন-
জুতার মাধ্যমে বাইরের ময়লা ঘরের ভেতর প্রবেশ করে। তাই জুতা রাখার জন্য নির্দিষ্ট তাক কিনে ফেলুন। এই তাকে জুতা রাখলে ঘর যেমন গোছানো থাকবে, তেমনি ক্ষতিকর জীবাণুও ঘরে প্রবেশ করবে না।
পর্দা ও পাটজাত দ্রব্য পরিষ্কার রাখুন-
ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে নিয়মিত পর্দা পরিষ্কার করুন। কারণ পর্দার ভাঁজে ভাঁজে ধুলো জমে ঘরের পরিবেশ নষ্ট করে দেয়। এর পাশাপাশি ঘরে যদি পাটজাত দ্রব্য ব্যবহার করা হয় তা নিয়মিত পরিষ্কার করুন। অন্তত মাসে ২/৩ বার এ কাজ করা জরুরি।
ঘরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন হোন আজই। নিশ্চিত করুন ঘরের মানুষের সুস্বাস্থ্য।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড