অধিকার ডেস্ক ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৩:১৩
শীতকাল মানেই পোশাকের আধিক্য। বাতাসে হিমেল হাওয়ার আনাগোনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাই তুলে রাখা জ্যাকেট, সুয়েটার, শাল নামিয়ে ফেলেছেন অনেকেই। আরেকটু শীত পড়লেই বিছানায় সঙ্গী হবে কাঁথা, কম্বল।
শীতের পোশাক গায়ে জড়ানোতে যত আনন্দ, ঠিক ততই ঝক্কি পোহাতে হয় শীতের পোশাকের যত্ন নিতে গিয়ে। ভারী আর ভিন্ন ভিন্ন উপাদানের হওয়ায় এসব পোশাকের যত্নও নিতে হয় ভিন্ন ভাবে। নাহয় দীর্ঘদিন অব্যবহারের ফলে গন্ধ কিংবা ধুলো জমতে পারে আবার ভুল পদ্ধতির কারণে কাপড় নষ্টও হতে পারে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতের পোশাকের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায়-
কাঁথার যত্ন-
কাঁথার ওয়াড় থাকলে তা আলাদা করে কাচুন। কাঁথা পরিষ্কার রাখা খুব একটা কষ্টকর কিছু নয়। সাধারণ ডিটারজেন্ট দিয়েই এটি পরিষ্কার করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে ভালো ময়লা পরিষ্কার হয়।
লেপ বা কম্বলের যত্ন-
লেপ যদি শিমুল তুলার হয় তবে তা কাচাকুচি কিংবা ড্রাই ওয়াশ করা যায় না। এক্ষেত্রে লেপ বের করার কয়েকবার রোদে দিন। তবে লেপের কভার আলাদা করে কেচে নিতে হবে।
কম্বলের ক্ষেত্রেও একই উপায়ে যত্ন নিন। শিমুল তুলার না হলে কাচতেও পারেন। এক্ষেত্রে পানিতে শ্যাম্পু গুলিয়ে তাতে কিছুক্ষণ কম্বল ভিজিয়ে ধুয়ে নিন। তবে কম্বল ওজনে ভারী হয় খুব। সেক্ষেত্রে লন্ড্রিতে দিতে পারেন।
সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলারের যত্ন-
উলের তৈরি যেকোনো কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে পারেন। তবে একটানা তিন-চার দিন একই পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ করে একটানা কয়েকদিন উলের পোশাক পরলে ত্বকে নানা ধরণের অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয়।
শীতবস্ত্র পরিষ্কার করার বিশেষ ডিটারজেন্ট পাওয়া যায় বাজারে। সেগুলো ব্যবহার করুন। এ উপায়ে ফোমের জ্যাকেটও কেচে ফেলতে পারেন।
কড়া রোদে কখনো উলের জামাকাপড় দেবেন না। কম রোদে শুকাতে দিন। এতে পোশাকের রং জ্বলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড