লাইফস্টাইল ডেস্ক
আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ ব্যথা শুরু হয়। কখনো কখনো এসব ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবে মনে রাখবেন ব্যথা হলো ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় উপসর্গ। তাই ধরন অনুসারে বুঝে নিতে হবে কোনটি কেমন ব্যথা।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে বর্তমানে মরণঘাতী ক্যান্সার থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লেই কেবল সেরে ওঠা সম্ভব। লক্ষণ টের পেতে দেরি হয়ে গেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর কিছু করার থাকে না। অসুখটি ছড়িয়ে পড়লে রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমতে শুরু করে।
ক্যান্সারের ধরন নির্ভর করে রোগীর ব্যথা অনুভব করার ওপর। শরীরের কোন জায়গায় ব্যথা করছে, সেই ব্যথা কতটা ছড়িয়ে পড়েছে, ব্যথার তীব্রতা দেখে তা বোঝা যায়। দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র ক্যান্সারের ব্যথা সম্পর্কে বেশিরভাগই সচেতন থাকেন, তবে আরও কয়েক ধরনের ব্যথা আছে যেগুলো আমরা ভালো করে খেয়াল করি না।
তাহলে চলুন জেনে নেই ক্যান্সারের ব্যথাগুলো কোথায় এবং কীভাবে হয়ে থাকে...
ভিসারাল
ভিসেরা বলতে বোঝায় শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোকে। যেমন- বুক, পেট বা পেলভিস। এসব জায়গায় যেকোনো ব্যথা হলে তাকে ভিসারাল পেইন বলা হয়। এতে আক্রান্ত স্থান থর থর করে কাঁপার মতো অনুভূতি হয়।
নিউরোপ্যাথিক
ক্যান্সার থেকে নার্ভের ক্ষতি হলে এই ধরনের ব্যথা হয়। অনেক সময় কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি বা সার্জারির পরেও এইরকম ব্যথা দেখা যায়। নিউরোপ্যাথিকে আক্রান্ত স্থানটা জ্বলে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়।
সোমাটিক
ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে এই ব্যথা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। আক্রান্ত স্থান মোচড় দিয়ে ওঠে এবং দীর্ঘক্ষণ চলতে থাকে।
দীর্ঘস্থায়ী তীব্র ব্যথা
সাধারণত আঘাতের কারণে স্বল্পমেয়াদী ব্যথা হয়। যার মানে এটা সময়ে সময়ে আসতে পারে এবং যেতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কয়েক মাস ধরে চলতে পারে।
ক্যান্সারের ব্যথার লক্ষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যান্সারের ব্যথা নিস্তেজ, তীক্ষ্ণ এবং জ্বলন্ত হতে পারে। এই ব্যথা চলতে পারে একনাগাড়ে। ব্যথার তীব্রতা মাঝারি এবং গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ক্যান্সার কোনো কোষে বৃদ্ধি পেলে বা কোষকে ধ্বংস করে দিলে ব্যথা শুরু হয়।
ব্যথা যদি তীক্ষ্ণ এবং অবিরাম হয় তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। চিকিৎসককে ব্যথার তীব্রতা, ব্যথার অবস্থান, কী ধরনের ব্যথা হচ্ছে, ব্যথা বাড়ায় এমন কিছু আছে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে হবে।
ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। যেমন-
১. চরম ক্লান্তি
২. হঠাৎ রক্তপাত
৩. আচমকা ওজন হ্রাস
৪. ত্বকের পরিবর্তন
৫. চামড়া বা ত্বকে আচমকা গজিয়ে ওঠা মাংসপিণ্ড
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড