অধিকার ডেস্ক ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১১:৪১
যারা নতুন কিছু এক্সপ্লোর করতে চান, নতুন জায়গা ঘুরে বেড়াতে চান, কিন্তু ট্রেকিং করার মতো শারীরিক সক্ষমতা নেই বা বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ট্রেকিংয়ে যেতে পারছেন না, তারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন রেমাক্রি থেকে।
বান্দরবান শহর থেকে বাসে যেতে পারেন থানচি পর্যন্ত। প্রায় চার ঘণ্টার পথ। সকাল সাতটায় বাস আছে। জনপ্রতি ১৫০ টাকা করে। পাহাড়িকা কাউন্টারে গেলেই চলবে। অথবা যেতে পারেন চান্দের গাড়িতে। সিজন-অফ সিজনে দাম আপ-ডাউন করে।
এগারোটার ভেতরে থানচি বাজারে পৌঁছে গেলে এরপর বাজারের শেষ মাথা থেকে উঠবেন বোটে। বোটে রেমাক্রি যেতে প্রায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টা লাগে। বোট আপ-ডাউনে চার হাজারের মত নেয়, এটা দামাদামী করে নিতে হবে।
থানচি থেকে রেমাক্রি পর্যন্ত যাওয়ার নদী পথটুকু আমার দেখা এখন পর্যন্ত বেস্ট! একদম অগভীর পানিতে হাত বাড়ালেই নদীর তলদেশ ছুঁতে পারবেন, স্বচ্ছ পানি কেটে কিভাবে যে ইঞ্জিনচালিত বোটগুলো ভেসে যায়, তা না দেখলে বুঝবেন না৷
নদীর দুই পাশ জুড়ে পাহাড়ের সারি। আর মাঝে মাঝে টিলার মত৷ সেই টিলা জুড়ে বিস্তৃত জুমক্ষেতে বাদাম আর আলু গাছের ঘনঘটা। চোখ জুড়ানো সবুজে যে কারোই মন আনচান করে উঠবে। অপার্থিব এই সৌন্দর্যটাকে আরও প্রানবন্ত করেছে সরু নদীর মাঝ বরাবর জেগে ওঠা চোরাপাথরগুলো। কিছুদূর পার হলে দেখবেন আপনার আশেপাশে শত শত বোল্ডার পাথরের চাঁই! পাথরের মাঝ দিয়ে যখন বোটওয়ালে তার বোট নিয়ে পার হবে তখন এটাকে বাংলাদেশ বলে মনে হবে না৷ মনে হবে ইউরোপের কোনো চোখ ধাঁধানো জায়গা৷
সবচেয়ে বড় পাথরটাকে স্থানীয়রা রাজা পাথর বলে। সেটাকে পূজো দেয় তারা। বিভিন্ন মানত করে রাজা পাথরের কাছে এটা ওটা চায়। তারা মনে করে রাজা পাথরকে সন্তুষ্ট রাখলে এই নদীতে কোনো দুর্ঘটনা হবে না।
চোখ ধাঁধানো সব সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাবেন রেমাক্রি বাজারে। চাইলে সেখানে খেয়ে নিতে পারেন দুপুরের খাবার। খেয়েই আবার ব্যাক করতে পারেন থানচিতে। সেখান থেকে শেষ বাসটা ছাড়ে বিকাল তিনটায়। আর যদি চান্দের গাড়িতে ব্যাক করতে চান, থানচি থেকে অন্তত পাঁচটার ভেতরে রওনা দিতে হবে৷ নাহলে বান্দরবানে ঢোকার আগে "ওয়াই জাংশনে" গাড়ি আটকে দেবে আর্মিরা। রাত আটটার পর ওই পথে চলাচল নিষিদ্ধ।
থেকে যেতে পারেন রেমাক্রির "নাফাকুম রেস্ট হাউজে" কিংবা থানচির "সীমান্ত অবকাশে".. এমনকি থানচি বাজারে কিছু বোর্ডিংও আছে, চাইলে সেখানেও থাকতে পারেন টাকায় টান পড়লে।
জীবনে একবার হলেও ঘুরে আসুন রেমাক্রি। নাহলে আফসোস থেকে যাবে।
ছবি ও লেখা : আসিফ আহমদ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড