লাইফস্টাইল ডেস্ক
বাংলাদেশের এক অদ্ভুত দ্বীপের নাম শাহপরীর দ্বীপ। এর একপাশে রয়েছে নাফ নদী আর একপাশে বঙ্গোপসাগর। তাই দ্বীপের একপাশে রয়েছে নদীর কর্দমাক্ত বালুচর আর অপর পাশে নীল পানি এসে মিশেছে স্বচ্ছ সাদা বীচে। দ্বীপের মাঝ বরাবর দাঁড়ালে এক পাশে যতদূর দৃষ্টি যায় ততদূর সমুদ্রের পানিতে আকাশের মিতালী দেখা যায়। আর অপর পাশে দেখা যায় নাফ নদীর পরেই বার্মিজ পাহাড়ের সারি।
এর নামকরণ সম্পর্কে কেউ বলেন সম্রাট শাহ সুজার ‘শাহ’ আর তার স্ত্রী পরীবানুর ‘পরী’ মিলিয়ে নামকরণ হয়েছিল এই দ্বীপের। কারও মতে ‘শাহ ফরিদ’ আউলিয়ার নামে দ্বীপের নাম করণ হয়েছে। অপর দিকে অষ্টাদশ শতাব্দীর কবি সা’বারিদ খাঁ’র ‘হানিফা ও কয়রাপরী’ কাব্য গ্রন্থের অন্যতম চরিত্র ‘শাহপরী’। রোখাম রাজ্যের রাণী কয়রাপরীর মেয়ে শাহপরীর নামেই দ্বীপের নামকরণ হয়েছে বলেও অনেকে বলেন। (নামকরণের তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া)
টেকনাফ জেটি থেকে শিপে চড়ে সব পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে চলে যায় বলে অনেকটাই অবহেলিত পড়ে থাকে অদ্ভুত সৌন্দর্যের এই লীলাভূমি। তবে এবার হয়তো সময় বদলাতে চলেছে। কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের শেষ মাথাটা চলে আসছে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত৷ মেরিন ড্রাইভের সবচেয়ে সুন্দর অংশটুকুই হয়তো দেখা যাবে কাজ শেষের পর৷ এতে যেমন দ্বীপের মানুষদের জীবনযাত্রার মান পাল্টাবে, তেমনি হয়তো অত্যধিক মানুষের চাপে কুৎসিত বাজারেও রূপ নিতে পারে সৌন্দর্যের এই প্রতিরূপটি।
এখন এই অফ সিজনেও চাইলে ঘুরে আসতে পারেন সুন্দর এই দ্বীপটি থেকে৷ টেকনাফ থেকে জনপ্রতি ১৫০ টাকার চুক্তিতে লোকাল সিএনজিতে করে ঘুরে আসা যায় সহজেই। তবে বৃষ্টির সময় রাস্তার বেহাল দশার জন্য বেশ অনেকখানি পথ শুধু হাঁটতেই হবে না, সেই সাথে হয়তো সিএনজি ধাক্কাও দিতে হতে পারে৷ তবে বৃষ্টি না থাকলে ভোগান্তি অনেকটাই কমে যায়৷
আর যারা সেন্টমার্টিন ঘুরতে যাচ্ছেন, তারা চাইলে ফেরার পথে নেমে যেতে পারেন এই দ্বীপে। টেকনাফ থেকে শুরু করে যতগুলো জেটি পড়ে তার মাঝে সবচেয়ে দীর্ঘ আর সবচেয়ে সুন্দর জেটিটাই আছে এখানে। জেটিতে নেমে পুরো জেটি হেঁটে পার হলেই দেখবেন সিএনজি দাঁড়িয়ে আছে।
সিএনজি ঠিক করে কিছুদূর এগুলেই দেখতে পাবেন ছোট্ট একটা বাজার। চাইলে হালকা নাস্তাও সেরে নিতে পারেন। বাজারের মাঝ বরাবর দোকানটার পুয়া পিঠা আর এক টাকা দামের পেঁয়াজুর টেস্ট এখনো মুখে লেগে আছে।
সিএনজিতে করে মেরিন ড্রাইভে ওঠার পর শুরু হবে সৌন্দর্যের অত্যাচার। সৌন্দর্যে চোখ ধাঁধিয়ে নিতে আমি দেশেই ঘুরি। আপনারাও দেশেই ঘুরুন।
বিঃদ্রঃ- অপচনশীল দ্রব্যাদি ফেলে জায়গাটা নোংরা করবেন না। পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না।
লেখক- আসিফ আহমদ
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড