• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ময়না তদন্ত : কেন আর কীভাবে করা হয়?

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৩:০৩
পোস্টমর্টেম
(ছবি : প্রতীকী)

কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটলে ওই মরদেহের বিশ্লেষণ করে জানা চেষ্টা করা হয় মৃত্যুর কারণ, তাকেই পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত বলা হয়। জেনে রাখা ভালো যে, পোস্টমর্টেম শব্দটি অটোপসি, নিক্রোপসি ইত্যাদি দ্বারাও বোঝানো হয়।

আমাদের দেশে প্রত্যেক বছর কয়েকশ ময়না তদন্ত হয়ে থাকে। কিন্তু, সেটা বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে আলাদা আলাদাভাবে করা হয় বলে মোট ময়না তদন্তের সংখ্যাটি কারও জানা নেই।

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত কেন করা হয় এবং কীভাবে করা হয় সে ব্যাপার জানার আগ্রহ রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এ বিষয়ে।

পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত কেন করা হয়?

ময়না তদন্ত প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে একজন ফরেনসিক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বলছেন, ময়না তদন্ত বা পোস্টমর্টেম করা হয় মৃত্যুর কারণ জানার জন্য।

তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে কোনো সন্দেহ তৈরি হলে বা তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানার জন্য মরদেহের ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে। যার মাধ্যমে মরদেহ বিশ্লেষণ করে বোঝার চেষ্টা করা হয়, ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় শরীরের ভেতরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। যেমন ধর্ষণের অভিযোগে সিমেন সংগ্রহ করে ডিএনএ ম্যাচ করা হতে পারে। আবার আত্মহত্যার মতো অভিযোগে ভিসেরা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বোঝা যায় যে বিষপ্রয়োগের কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না।

আবার অনেক সময় কোনো ব্যক্তি অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হলে যদি ওই মৃত্যুবরণ নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক তৈরি হয়, তাহলে তখন যে ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে, তাকে বলা হয় ক্লিনিক্যাল পোস্টমর্টেম বা ময়নাতদন্ত।

কীভাবে পোস্টমর্টেম বা ময়না তদন্ত করা হয়?

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আত্মহত্যা, হত্যা, দুর্ঘটনার মতো যেকোনো অস্বাভাবিক কিংবা অপমৃত্যু মৃত্যুর ঘটনায় ময়না তদন্ত করা হয়ে থাকে।

যদি এ ধরনের কোনো ঘটনায় মৃত্যুর হয় তাহলে প্রথমে পুলিশ একটি সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। অর্থাৎ মরদেহ কী অবস্থায় পাওয়া গেছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এরপর মৃত্যু সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানার জন্য ময়না তদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হযয়ে থাকে।

মর্গে ময়না তদন্তকারী চিকিৎসকরা সেই সুরতহাল প্রতিবেদন দেখে, প্রথমে মরদেহের বাহ্যিক অবস্থার বিশ্লেষণ করেন। সেখানে কোন আঘাত বা ক্ষত আছে কি না, ত্বক ও জিহ্বার রঙ ইত্যাদি দেখে প্রথম প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়ে থাকে। এরপর মরদেহ ব্যবচ্ছেদ করে মস্তিষ্ক, ফুসফুস, লিভারসহ শরীরের ভেতরটা যাচাই করে দেখা হয়। ফলে শরীরের ভেতরে কোন আঘাত থাকলে, রক্তক্ষরণ বা বিষক্রিয়া থাকলে, সেটি চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন। কোথাও আঘাতের চিহ্ন থাকলে সেটি কীভাবে হয়েছে, তা ভালো করে যাচাই করা হয়।

চিকিৎসকরা এই কাজটি করতে গিয়ে মরদেহের নানা অংশ কেটে দেখতে বাধ্য হন। এ সময় শরীরের নানা প্রত্যঙ্গও সংগ্রহ করে ল্যাবে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়ে থাকে।

পোস্টমর্টেম শেষে মরদেহ আবার সেলাই করে আগের মতো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনো কোনো অংশ কেটে আরও পরীক্ষার জন্য গবেষণাগারে পাঠানো হতে পারে বলে জানানো হয়।

ওডি/টিএএফ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড