• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শোবার ঘর ভরে থাকুক প্রশান্তিতে

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

২০ আগস্ট ২০১৯, ১০:০৮
ঘর
রঙের সামঞ্জস্যতা ঠিক রাখুন; (ছবি- ইন্টারনেট)

আপনাকে যদি বলা হয় একটি সুন্দর ছিমছাম শোবার ঘর বলতে কী বোঝান, আপনার উত্তর কী হবে? সুন্দর একটি খাট, ওয়্যারড্রোব, লকার। খাটের পাশে থাকতে পারে ছোট্ট একটা টেবিল। কিন্তু একটি ঘরের প্রশান্তির জন্য কি কেবল আসবাবপত্র যথেষ্ট?

না, একটি ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে আসবাবপত্র সাহায্য করলেও ঘরকে প্রশান্তিময় করতে প্রয়োজন অন্য কিছু। কিছু জিনিস রয়েছে যার ব্যবহারে আপনার শোবার ঘর হবে প্রশান্তিময়, সেসঙ্গে ঘরের সৌন্দর্যও থাকে ঠিকঠাক। চলুন এই জিনিসগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-

ঘরজুড়ে থাকুক স্নিগ্ধতা-

সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একটু বিশ্রাম নেওয়ার জন্যই শোবার ঘরে প্রবেশ করেন আপনি। আর তাই সেখানে প্রশান্তিময় পরিবেশ থাকা খুব জরুরি। একই রঙের চাদর, পর্দা ব্যবহার করে যাচ্ছেন অনেকদিন ধরে? এমনটা করলে একঘেয়েমি সৃষ্টি হয়। ঋতুর সঙ্গে মিলিয়ে ঘরের রঙে বৈচিত্র আনতে চেষ্টা করুন।

যেই ঋতুতে প্রকৃতিতে যে রঙের আধিক্য বেশি দেখা যায় তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জিনিস বা রঙে ঘর সাজান। এই ধরুন, এখন চলছে শরৎ কাল। প্রকৃতিতে সাদা, আকাশি আর নীল রং আধিক্য সবচেয়ে বেশি। এই রঙগুলো দিয়েই সাজান ঘর। চাইলে ঘরে দেওয়া লাগিয়ে নিতে পারেন কাশফুলের কোনো ওয়ালপেপার।

শীতকালে ঘরের আসবাবপত্র বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের রং গাঢ় রাখুন। গরমের সময় যত হালকা রঙের উপস্থিতি থাকবে, ততই ভালো। গরমের সময় প্রাধান্য দিন সাদা, হালকা গোলাপি, ধূসর, লেমন, হালকা হলুদ এই রংগুলোকে আর শীতকালে ঘর সাজান নীল, কালো, খয়েরি, বেগুনি এসব রঙে।

নরম তুলতুলে কুশন-

আপনার শোবার ঘরটি প্রশান্তিময় করে তুলতে কুশনের গুরুত্ব রয়েছে অনেকখানি। বিশেষত একটি বা দুটি নরম কুশন থাকলে ঘর থাকে প্রশান্তিময়। খাটে বসার সময় পিঠে সাপোর্ট হিসেবে কুশন ব্যবহার করতে পারেন। আবার ধরুন খানিকটা সময়ের জন্য হালকা কাত হতে চাইছেন, তখন এই কুশন ব্যবহার করতে পারবেন। শোবার ঘরে যদি ছোট সোফা থাকে তাতে দু চারটি কুশন রেখে দিন।

কুশন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। তা হলো ঘরের রঙের সঙ্গে কুশনের রঙের ভারসাম্য রক্ষা করা। ধরুন, আপনার বিছানার চাদর আর পর্দার রং লেমন কালারের হলে হালকা হলুদ রঙের কুশন ব্যবহার করতে পারেন। আবার, ঘরের পর্দা আর চাদর যদি সাদা বা ধূসর রঙের হয়, তবে কুশনের রং হালকা গোলাপি রাখুন।

এভাবে কুশন ব্যবহারে আপনার প্রশান্তি যেমন বাড়বে তেমনি ঘরের সৌন্দর্যেও যোগ হবে নতুন মাত্রা।

ঘরে রাখুন বাহারি মোমবাতি-

ঘরকে প্রশান্তিময় করে তোলে মোমবাতি। বাজারে নানা ঢংয়ের, নানা আকৃতির মোমবাতি পাওয়া যায়। ড্রেসিং টেবিলের সেলফে কিংবা কেবিনেটে রাখুন কয়েকটি কারুকাজ করা মোমবাতি। অতিরিক্ত কাজের চাপের বিধ্বস্ত হলে মাঝে মধ্যে ঘরের বাতি নিভিয়ে দু চারটে মোমবাতি জ্বালান। দেখবেন, মাথা থেকে বাড়তি চাপ কমে গেছে অনেকখানি।

সতেজতা আর সবুজের ছোঁয়ায় ঘর হোক জীবন্ত-

ভাবছেন এ আবার কেমন কথা। ঘরের জীবন না থাকলেও তাতে জীবন্তভাব এনে দেয় সবুজের উপস্থিতি। একইসঙ্গে ঘরকে করে তোলে প্রশান্তির জায়গা। আর এই সবুজের ছোঁয়া পেতে গাছ হলো আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু। বাজারে ঘরের ভেতরে রাখার মতো ছোটখাটো অনেক গাছ পাওয়া যায়। জানালার কার্নিশ ঘেঁষে রাখুন কয়েকটি পাতাবাহার কিংবা ঘাসফুলের গাছ।

আর যদি সম্ভব হয় তবে খাটের পাশে থাকে টেবিলে ফুলদানিতে রাখুন একগুচ্ছ ফুল। হোক তা রজনীগন্ধা কিংবা দোলনচাঁপা। ঘরে ঢুকলেই যদি নাকে কোনো ফুলে সুবাস ভেসে আসে, তবে নিশ্চিত আপনার মন ভরে উঠবে প্রশান্তিতে।

ঘরটা কেবল নিজের-

শোবার ঘর মানেই নিজের ভুবন। আর তাই এই ভুবনকে সাজান একেবারে নিজের মনের মতন করে। প্রিয়জনের ছবি ফ্রেমবন্দি করে রাখতে পারেন টেবিলের কোণায়। প্রকৃতিপ্রেমী হলে প্রাকৃতিক দৃশ্যের দেয়ালসজ্জায় সাজাতে পারেন ঘর। আর যদি নিজে আঁকতে জানেন, তবে নিজের আঁকা ছবিই ঝুলিয়ে দিন দেয়ালে। মন ভরে উঠবে আনন্দে।

শোবার ঘরে সেলফ থাকলে তা সাজান প্রিয় মানুষ থেকে পাওয়া উপহারগুলো দিয়ে। রাখতে পারেন প্রিয় লেখকের বই, ভ্রমণের স্মৃতিও। ঘরে ঢুকলে মন ভরে উঠবে প্রশান্তিতে।

একজন মানুষের কাছে অন্দরমহলের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা শোবার ঘর। সেই ঘরটা হোক প্রশান্তিতে ভরপুর।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড