• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এক বছরের কম বয়সী শিশুকে এসব খাবার একদম দেবেন না!

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৫ জুলাই ২০১৯, ০৯:১৮
শিশু
ছবি : প্রতীকী

একটি শিশুর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে খাবার গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনেক। বিশেষ করে সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। শিশুর জন্য কি সব খারাবই উপকারী? না, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমন কিছু খাবার রয়েছে তা শিশুর উপকার তো করেই না, বরং শিশুর জন্য বিপদজনক।

তাদের মতে, এমন কিছু খাবার রয়েছে যা খেতে মজাদার কিন্তু শিশুরা সেগুলো সহজে হজম করতে পারে না। ফলে, এসব খাবার শিশুর বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে। এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে কী কী খাবার বিপদজনক, চলুন জেনে নেওয়া যাক-

গরুর দুধ-

এক বছরের কম বয়সী শিশুদের গরম দুধ না দেওয়াই ভালো। গরম দুধে থাকে বেশি প্রোটিন ও সোডিয়াম। এ দুটি উপাদান শিশুর পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটায়। কিন্তু শিশুর বৃদ্ধির জন্য আয়রন ও ফ্যাটি অ্যাসিড অত্যাবশ্যক। তাই শিশুকে হালকা গরম দুধ দেন। অনেক সময় শিশুদের গরুর দুধ দেওয়া হলে তা অ্যাসিডিটি ও অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে। পাস্তুরাইজেশন ছাড়া দুধে অনেক ধরনের বিপদজনক ব্যাকটেরিয়া থাকে। পাস্তুরাইজেশন ছাড়া দুধ তাই ছোট শিশুদের দেয়া উচিত না।

সামুদ্রিক মাছ-

বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ অর্থাৎ টুনা, কোরাল, স্যামন ইত্যাদি মাছে উচ্চ পরিমাণে পারদ থাকে। তাই এমন মাছগুলো শিশুকে না দেওয়াই ভালো।

টুনা, স্যামন, কোরাল ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছে উচ্চ পরিমাণে পারদ থাকে তাই এগুলো শিশুদের দেয়া ঠিক নয়।

মধু-

শিশুকে অনেকে মধু দিয়ে থাকেন তবে এক বছরের কম শিশুকে মধু দেওয়া উচিত নয়। কারণ এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত শিশুর বটুলিজম হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আর এই ছত্রাক বহন করে মধু।

কিশমিশ-

ছোট শিশুকে কিশমিশ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কিশমিশে প্রচুর ভিটামিন থাকে যা এক বছরের কম শিশুদের সহজে গ্রহণ করতে সক্ষম হয় না।

চকলেট-

শিশুদের প্রিয় খাদ্য চকলেট। তবে একদম কম বয়সে এটি না দেওয়াই উত্তম। চকলেটে থাকা কোকো বাচ্চাদের হজম শক্তি নষ্ট করে দেয় এবং দাঁতের ক্ষতি করে। এর ফলে অনেক শিশুর অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয়। তাই, এক বছরের কম শিশুকে চকলেট দেবেন না।

ডিম-

ডিম কিছুটা অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। ডিম খেলে যদি শিশুর অ্যালার্জি সমস্যা দেখা দেয় তবে কিছুদিন ডিম খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।

বড় ফল বা সবজির টুকরো-

শিশুকে কখনোই গাজর, শশা কিংবা অ্যাপেল, নাশপাতির বড় টুকরো খেতে দেবেন না। ওরা বড় খাবার চিবুতে পারে না। হজমেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই শিশুকে ভালোভাবে সেদ্ধ করা এবং ছোট টুকরা বা পিষে নেওয়া খাবার দিতে হবে।

বাদাম-

শিশুকে চিনাবাদাম ও এ জাতীয় খাবার না দেওয়াই ভালো। কারণ এসব খাবার অ্যালার্জির সৃষ্টি হয়। সেসঙ্গে হজম সমস্যাসহ পেট ফাঁপা ধরা সমস্যাও সৃষ্টি করে এটি।

লবণ-

শিশুদের কিডনি লবণ ও সোডিয়াম গ্রহণের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই শিশুর খাবারে লবণ না মেশানোই ভালো। অন্তত এক বছরের কম বয়সী শিশুদের লবণ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন।

এ খাবারগুলো এড়িয়ে চললেই শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হবে সঠিকভাবে।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড