• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ওকে এখনও ভালোবাসি, তবুও...

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১০:১৪
সম্পর্ক
ছবি : প্রতীকী

সম্পর্কের একটা সময় এসে এই তবুও বা কিন্তুর গণ্ডিতে বাঁধা পড়তে হয় সবাইকেই। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকা, সঙ্গীর ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে অনেক ব্যাপারই চোখের আড়ালে থাকলেও, সময়ের সাথে সাথে এই ছোট্ট ব্যাপারগুলোই হয়ে পড়ে প্রকট। সম্পর্কের শুরুতে ভালোবাসার গাঢ় একটা প্রলেপ প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিজেদের ত্রুটি আর অপছন্দের বিষয়গুলোকে ঢেকে দেয়।

সময় যত যেতে থাকে, ততো নিজেদের মধ্যকার পার্থক্য, পছন-অপছন্দ প্রকাশ পেতে শুরু করে। এমন সময় বারবার মনে হয় যে, সঙ্গীকে এখনো অনেক ভালোবাসেন আপনি। ঠিক আগের মতো। তবুও তার অনেক ব্যাপার, আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি এখন আর সহ্য করা যাচ্ছে না। কী করবেন এক্ষেত্রে?

অনেকেই এই সমস্যাগুলোর সমাধান সময়ের হাতে ছেড়ে দেন। ভাবেন- সময় গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে বাস্তবে এমনটা মোটেও হয় না। সময় যতো যায়, ততোই সমস্যা বাড়তে থাকে। সঠিক সময়ে এ নিয়ে খোলাখুলিভাবে কথা না বললে সম্পর্কের শেষও হয়ে যেতে পারে এই ছোট ছোট কারণেই।

কখনো কি নিজেদের এই ভালোলাগা আর খারাপ লাগা নিয়ে কথা বলেছেন আপনারা একে অপরের সাথে? এটি আসলেই কার্যকর একটি পদ্ধতি। কিন্তু তারমানে এই নয় যে, আপনি হুট করে আপনার সঙ্গীকে তার ত্রুটির কথা বলে দিলেন। এতে করে ইতিবাচক নয়, নেতিবাচক ফলাফল বেশি আসতে পারে। তাহলে কীভাবে কথা বলবেন নিজেদের সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে? চলুন, দেখে নেওয়া যাক-

প্রশংসা করুন এবং ইতিবাচক দিক তুলে ধরুন-

আপনি আপনার সঙ্গীকে কেন ভালোবাসেন? নিশ্চয় অনেক খারাপ লাগার ভিড়েও এমন হাজারটা কারণ আছে যেগুলো আপনার সঙ্গীকে আপনার কাছে সেরা করে তুলেছে। সেই ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই প্রথমে কথা বলুন। প্রয়োজন পড়লে আপনার সঙ্গীর ভালো দিকগুলোর কথা লিখে নিন। একবারে না বললেও, একটু একটু করে সেই তালিকা থেকে তাকে তার ভালো দিকগুলোর ব্যাপারে জানান। আপনি তার ইতিবাচক দিক নিয়ে ভাবেন এবং সেটা তাকে জানানোর জন্য এই কষ্টটুকু করেছেন- সেটা আপনার সঙ্গীকে অবশ্যই আনন্দ দেবে।

নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে বলুন-

এবার চলে আসে নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে কথা বলার পালা। সঙ্গীকে এই ব্যাপারগুলো বলার আগে নেতিবাচক ব্যাপারগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করুন। সেগুলো হচ্ছে-

১। বিরক্তিকর ব্যাপার

এমন অনেক আচরণ থাকতে পারে আপনার সঙ্গীর মধ্যে, যেগুলো অল্প একটু বিরক্তি দেয় আপনাকে। তবে হ্যাঁ, এই ছোট্ট বিরক্তিকর আচরণ, এই যেমন- পানি পান করে বোতলের মুখ না লাগানো, লাইট বা ফ্যান বন্ধ না করা ইত্যাদি খুব বেশি হয়তো প্রভাবিত করে না আপনাকে। তাই এই ব্যাপারগুলো নিয়ে সেভাবেই কথা বলুন।

২। অতিরিক্ত বিরক্তিকর ব্যাপার

এমন যদি কিছু আচরণ থেকে থাকে যেগুলো আপনাকে অনেকটা সময়ের জন্য বিরক্ত করে, এই যেমন- পরীক্ষার আগে ঝগড়া করা, বন্ধুদের সাথে অতিরিক্ত সময় কাটানো ইত্যাদি তাহলে সেগুলো নিয়ে একটু বুঝিয়ে বলুন। কারণ এই বিরক্তিগুলো হয়তো আপনাকে বেশিই প্রভাবিত করছে।

৩। মেনে নেওয়া যায় না এমন ব্যাপার

এই ধরণের আচরণের মধ্যে থাকতে পারে- ধূমপান না ছাড়া, আপনি অনুরোধ করার পরেও কারও সাথে কথা বলা, আপনার পরিবার সম্পর্কে বাজে কথা বলা ইত্যাদি। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে সঙ্গীকে খোলাখুলিভাবে বুঝিয়ে বলুন যে, আপনার পক্ষে এই আচরণগুলো ভালোভাবে নেওয়া অসম্ভব কঠিন হয়ে পড়ছে।

তবে হ্যাঁ, এই খোলাখুলি আলাপের ক্ষেত্রে খুব কোমলভাবে কথা বলুন। এমন যেন না হয় যে, আপনার কথা বলার ভঙ্গী আক্রমণাত্মক হয়ে গেল। সঙ্গীকে বুঝিয়ে বলুন আপনার সমস্যা সম্পর্কে। একইসাথে, আপনার যে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তিনি বলবেন, সেগুলোও মন দিয়ে শুনুন। একে অন্যের সাথে আলাপ করে সমস্যাগুলো ঠিক করে ফেলার চেষ্টা করুন। সম্পর্ক তো সুন্দর থাকবে এভাবেই!

সূত্র : সাইকোলজি টুডে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড