অধিকার ডেস্ক ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৪:২৪
কারও সঙ্গে খুব একটা কথা বলে না সায়েম। আজকাল মা-বাবাকেও এড়িয়ে চলে। এমনকি স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলেও না খুব একটা। সন্তানের এমন চুপসে যাওয়ায় চিন্তিত মা-বাবা। ডাক্তার জানিয়েছেন একা একা থাকার ফলে মানসিক সমস্যা হচ্ছে সায়েমের।
আমরা অনেকেই ভাবি মানসিক অসুস্থতা কেবল বড়দের হয়। কিন্তু শিশু কিশোরদের এ সমস্যা হতে পারে। তাদের মনেও দেখা দিতে পারে উদ্বিগ্নতা। বিশেষজ্ঞদের মতে শিশুদের এমন মানসিক অসুস্থতা কাটিয়ে তুলতে বড় ধরণের ভূমিকা রাখতে পারে দাদা-দাদী, নানা-নানী কিংবা পরিবারের প্রবীণরা। শিশু বা অল্পবয়সীদের মধ্যে এমন কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাদের পরিবারের প্রবীণদের সংস্পর্শে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
টেলিফোন হেল্প-লাইন পরিষেবা চাইল্ড-লাইনের প্রতিষ্ঠাতা ডেইম এস্থার রান্টজেন বলেছেন, যৌথ পরিবারের ভাঙনের ফলে এবং নিকটবর্তী আত্মীয় স্বজনের সাহচর্যের অভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের বেড়ে ওঠা। অনেক অভিভাবকই ব্যস্ততার কারণে শিশুদের মানসিক চাহিদা পূরণ করতে পারেন না।
চাইল্ড-লাইন পরিচালনাকারী দাতব্য সংস্থা এনএসপিসিসি টেলিফোনের মাধ্যমে আক্রান্তের সঙ্গে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করে যা অনেককেই আত্মহত্যা থেকেও ফিরিয়ে আনতে পেরেছে। আর এ থেকেই আন্দাজ করা যায়, একজন পরিচিত মানুষের সঙ্গে মন খুলে কথা বলতে পারার সুযোগ শিশুর জন্য কতটা সহায়ক।
ডেইম এস্থারের মতে, বর্তমানে বড় পরিবারগুলো ভেঙে যাচ্ছে। যৌথভাবে থাকাকে কেউ তেমন একটা গুরুত্বও দিচ্ছেন না। ফলে একা একা বড় হওয়া শিশু মানসিক উদ্বিগ্নতায় ভোগে। দ্রুত যদি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বাড়তে পারে। পাশাপাশি দেখা দিতে পারে নানা রকম দীর্ঘস্থায়ী মানসিক সমস্যা।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড