ইশরা-তুজ-জোহরা মারুফা
আমাদের চারপাশে অতি সাধারণ অনেক কিছুর মাঝেই যে অসাধারণ অনেক কিছু লুকিয়ে আছে তা হয়ত আমরা ভেবে দেখি না। দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক মজার মজার ঘটনা আছে যা সম্পর্কে আমরা অবগত নই। তেমনি জীবনধারা সম্পর্কেও এমন কিছু মজার মজার তথ্য আছে যা আমরা অনেকেই জানি না। তাহলে চলুন তেমন কিছু তথ্য জেনে যাক-
১। ওষুধের কৌটায় থাকা তুলা ফেলে দেওয়া উচিত
বিশ্বাস করুন আর না করুন, ওষুধের কৌটায় যে তুলোর বল থাকে তা ফেলে দেওয়া উচিত। এই তুলো ওষুধ থেকে আর্দ্রতা শুষে নেয়। ফলে ওষুধ দ্রুত ক্ষয় হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।
২। আপনি সকালে একটু বেশি লম্বা থাকেন
আপনার উচ্চতা কত? সকালে ঘুম থেকে উঠে একটি ফিতার সাহায্যে আপনার উচ্চতা পরিমাপ করুন। দেখতে পাবেন যে আপনার উচ্চতা স্বাভাবিক থেকে কিছুটা বেশি আছে। জ্যামাইকা হসপিটাল মেডিক্যাল সেন্টারের মতে, আমাদের মেরুদণ্ডে ও শরীরের অন্যান্য অংশে তরুণাস্থির সংকোচনের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। আমরা যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের মেরুদণ্ড প্রসারিত হয়, তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের শারীরিক উচ্চতা স্বাভাবিকের চাইতে কিছুটা বেশি থাকে।
৩। ঠান্ডা ঘরে ঘুম আপনাকে পাতলা হতে সাহায্য করে
কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির গবেষণা অনুসারে, একটি ৬৬-ডিগ্রি তাপমাত্রার ঘরে মাত্র এক মাস ঘুমানোর ফলে আপনার চর্বি পোড়ানোর ক্ষমতা ১০ শতাংশের মতো বেড়ে যায়। তাই ঠান্ডা ঘরে ঘুমালে আপনি পাতলা হতে পারবেন।
৪। সকালের নাস্তা করার চেয়ে বেশি হাই তুলেন আপনি
বিশেষজ্ঞদের মতে সারাজীবন ধরে মানুষ প্রায় ২৫০,০০০ বার হাই তুলে থাকেন। আপনি যদি ৭০ বছর বেঁচে থাকেন তবে প্রতিদিন গড়ে ১০ বার হাই তুলে থাকেন। যা আপনার সারাজীবনে করা সকালের নাস্তার থেকেও বেশি।
৫। আপনি একসাথে শ্বাসগ্রহণ ও পান করতে পারবেন না
শ্বাসের সঙ্গে কিন্তু খাদ্য বা পানি গ্রহণের সম্পর্ক রয়েছে। নার্স জেমস স্টেইনমেটজের মতে, এর কারণ হলো আমরা যে খাবার বা তরলগুলো খাই এবং যে বাতাসে শ্বাস নিই তা উভয়ই আমাদের গলার একই অংশের সাথে সংযুক্ত। তাই একসাথে শ্বাস নেওয়া ও খাওয়া বা পান করা যায় না।
৬। জোর করে হাসি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে
২০১১ সালে বাস চালকদের ওপর করা একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে তারা তাদের পেশার খাতিরে যাত্রীদের সাথে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে থাকে। মন না চাইলেও সবসময় মুখে হাসি রাখতে হয় যা চালকদের স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। অর্থাৎ, মন থেকে হাসুন, জোর করে নয়।
৭। অন্ধকারে আপনি যে রঙটি দেখতে পান তারও একটি নাম রয়েছে
সম্পূর্ণ অন্ধকার ঘরে চোখ বন্ধ করে যখন আপনি চোখ খুলবেন তখন যে রঙটি দেখতে পাবেন তাকে ইজেনগ্রাউ বলা হয়, যার অর্থ অন্তর্নিহিত ধূসর। এই গাঢ় ধূসর রংটি মানুষ চোখ খুললে তখনই দেখতে পায় যখন সেখানে কোন আলো থাকে না।
সূত্র : বেস্ট লাইফ অনলাইন
ওডি/নিমি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড