করোনায় যেসব অভ্যাস বদলে গেছে

এইতো ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মানুষ সুন্দর পোশাক পরে বিয়ের দাওয়াত কিংবা পার্টিতে যেত। এরপরই বিশ্বে হানা দেয় মহামারি করোনা। এই মহামারি আমাদের একদিকে দিয়েছে জীবন শিক্ষা অন্যদিকে পরিবর্তন করে দিয়েছে আমাদের নিত্যজীবনের কিছু অভ্যাস।

মাস্ক পরা, হাত ধোয়া, সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলো অনুসরণ করা এবং সমাবেশ এড়ানো আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচার সেরা উপায়। টাইমস অব ইন্ডিয়া প্রকাশ করেছে এমন কিছু অভ্যাসের কথা, যা করোনার কারণে আমূল বদলে গেছে।

জমকালো বিয়ের আয়োজন করোনার কারণে জমকালো উপায়ে বিয়ের আয়োজন অনেকটাই বদলে গেছে। এখন বিয়ে হলেও মানুষেরা ঘরোয়াভাবে স্বল্প পরিসরে আয়োজন করছেন।বিহারের একটি বিয়ের জমকালো আয়োজনের ফলে কয়েকশ লোক সংক্রামিত হয়েছিল এবং সংক্রমণের কারণে বিয়ের দু'দিন পর বর মারা গেছে।

শুধু এটিই নয়, রাজস্থানের আরেকটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ২০০ জনের সমাগম হয়েছিল। সেখানে তিনজন করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে, সংখ্যাটি আরও বাড়বে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এখনও এমন কিছু অসতর্ক মানুষ রয়েছেন, যারা এমন খবরের পরেও আতঙ্কিত বোধ না করে জমকালোভাবে বিয়ের আয়োজন করে যাচ্ছেন। আশার কথা হলো, এরকম মানুষের সংখ্যা খুব বেশি নয়।

জন্মদিন উদযাপন হায়দরাবাদের এক জহুরি ১০০ জন অতিথি নিয়ে একটি জন্মদিনের আয়োজন করেন এবং এক সপ্তাহ পরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের শিকার হন। জন্মদিনের পার্টিতে মন্ত্রী, বিধায়ক এবং অন্যান্য অভিজাতরা উপস্থিত ছিলেন।

ধর্মীয় ঘটনা মারকাজে অংশ নেয়া প্রায় ৪,২৯১ জন লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদেরকে ভারতের ২৩ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সনাক্ত করা হয়েছিল। এটি তখনকার বৃহত্তম সংক্রমণ চেইন ছিল। এরপরে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তবে লোকেরা এখনও উচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সম্প্রতি ভারতে পুরীর রথযাত্রায় প্রায় ৫০০ জনের ভিড় দেখা গেছে।

আরও পড়ুন : সহজেই বানিয়ে ফেলুন মেজবানি মাংসের মশলা

জানাজায় বিশাল সমাবেশ প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোক হবেই। তবে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জানাজায় অংশ নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয়। মহামারীর কারণে, মাত্র ২০ জনকে একটি জানাজায় অংশ নিতে দেয়া হয়েছিল। তবে ভারতের আসামে এক ধর্ম প্রচারকের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ১০,০০০ লোক অংশ নিয়েছিল, যা পুরো লকডাউনের দিকে পরিচালিত করে।

হাঁটাচলা এবং জগিং সুস্থ থাকার জন্য ফিট থাকা জরুরি। তবে এই মুহূর্তে নিজেকে এবং অন্যদের ঝুঁকিতে না ফেলতে চাইলে হাঁটাচলা বা জগিং করতে বের হওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। এমনটা ভেবে অনেকেই হাঁটা বা জগিংয়ের জন্য বাড়ির বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকছেন।