• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হার্ট অ্যাটাক : যেসব লক্ষণে সতর্ক হবেন

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

৩০ মে ২০২০, ২২:১৯
হৃদযন্ত্র
ছবি : সংগৃহীত

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে নানারকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন, পাশাপাশি শরীরের বাকিসব অসুখের দিকে খেয়াল রাখছেন তো? সামান্য অবহেলায় চেপে বসতে পারে বড় কোনো সমস্যা। বিশেষ করে হৃদযন্ত্রের সমস্যা। কোথাও আবার ভিতরে ভিতরে এই হৃদযন্ত্রের সমস্যা এতটাই জোরদার হচ্ছে যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগটুকুও পাওয়া যাচ্ছে না। সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ভয় মাথাচাড়া দিচ্ছে।

শুধুই যে বয়স্ক বা ডায়বিটিস ও হাইপ্রেশারের রোগীদেরই আচমকা মৃত্যু এসে গ্রাস করছে তা নয়, ২৫-৩০ বছরের তরুণ-তরুণীরাও হঠাৎ বিপদে পড়ছেন। প্রাণহানিও ঘটছে।

সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের পিছনে নানা কারণ থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর জন্য দায়ী হৃদপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দন। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘অ্যারিদমিয়া’। একে অবহেলা করলে আচমকা ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা।

কম বয়সে এরকম হলে বেশির ভাগ মানুষই গ্রাহ্য করেন না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩০-৪০ বছর বয়সীদের সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি বেশি। মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের সমস্যা প্রায় দ্বিগুণ। তবে যাদের হার্টের অসুখ আছে তারা যদি নিয়মিত ওষুধ না খান, প্রেশার, সুগার নিয়ন্ত্রণ না করেন তাদের এই সমস্যার ঝুঁকি অনেক বেশি।

যাদের ইতিমধ্যে এক বার হার্ট অ্যাটাক হয়ে গিয়েছে, কিন্তু লকডাউনের কারণে চেক আপ করাতে পারছেন না বা দীর্ঘ দিন চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ নেই তাদেরও সাডেন কার্ডিয়াক ডেথের ঝুঁকি থাকে। এছাড়া যাদের করোনারি আর্টারি ডিজিজ আছে, পরিবারে আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ইতিহাস আছে বা আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন (সিনকোপ) বা হৃদস্পন্দনের সমস্যা আছে তাদেরও আচমকা মৃত্যুর হার বেশি, জানালেন তিনি। এছাড়া ধূমপান, মাদক সেবন ও অতিরিক্ত মদ্যপান আচমকা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।

যেসব সমস্যা থাকলে সাবধান হবেন: শ্বাসকষ্ট হার্টের অসুখের অন্যতম লক্ষণ। হাঁটাচলা বা অল্প পরিশ্রমে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে।

পায়ের পাতা, গোড়ালি ও পা ফুলে যাওয়া হার্ট ফেলিওরের কারণেও হতে পারে। এরকম হলে দ্রুত ডাক্তার দেখানো দরকার।

হার্টের সমস্যা থাকলেও দিনভর ক্লান্ত লাগে, কোনো কাজ করতে ইচ্ছে করে না। কাজেই অবহেলা করবেন না।

দ্রুত পায়ে হাঁটাচলা ও এক্সারসাইজ করার ক্ষমতা ক্রমশ কমতে শুরু করে। অল্প হাটলেই হাঁপিয়ে উঠতে হয়।

কাশি ও বুকের মধ্যে সাঁই সাঁই শব্দ হলে সচেতন হতে হবে।

শরীরে পানি জমে ওজন বাড়তে শুরু করে।

ক্ষুধা কমে যায় ও বমি বমি ভাব থাকে।

আরও পড়ুন : যে কারণে দুধ পান করবেন

বদলাতে হবে জীবনযাপনও: বাড়িতে থাকলেও হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি, সামগ্রিকভাবে ভালো থাকতে নিয়মিত ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে হবে। ছাদে বা বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করলে ভালো হয়।

সিগারেট ছেড়ে দেয়ার কথা শুধু ভাবলে চলবে না, ছেড়েই দিতে হবে।

প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত শাকসবজি ও ফল। ভাত, রুটি অর্থাৎ কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমাতে হবে।

লবণ খাওয়ায় মাত্রা রাখা জরুরি। লবণে থাকা সোডিয়াম হার্ট ফেলিওরের সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর করে তোলে। লবণের বাড়তি সোডিয়ামের জন্য হার্ট ফেলিওর ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বেড়ে যায়। লবণের সোডিয়াম রক্তবাহী ধমনীতে পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলস্বরূপ আর্টারিতে বাড়তি চাপ পড়ে এক দিকে ব্লাডপ্রেশার বেড়ে যায়, অন্য দিকে হৃদপিণ্ডের পেশী বাড়তি চাপের ফলে আরও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। অন্যান্য নিয়ম মেনে চলার পাশাপাশি লবণ খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।

মন ভালো রাখতে নিয়ম করে মেডিটেশন বা প্রাণায়াম করা উচিত। এছাড়া ভালো গান শোনা আর বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুললে ভালো হয়।

অকারণে দুশ্চিন্তা করবেন না। কোনোরকম সমস্যা বুঝলে ভয় না পেয়ে অবশ্যই হাসপাতালে ডাক্তার দেখান।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড