• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চরম বিরক্তিকর মানুষের স্বভাব যেমন (পর্ব-১)

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

০২ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৩৩
বিরক্তিকর মানুষ
ছবি : সংগৃহীত

জীবনসঙ্গীর সাথে কিংবা কর্মস্থলে সহকর্মীর সাথে অথবা বন্ধুদের আড্ডায় কথা বলতে বলতে হঠাৎ করেই কথা যেন শেষ হয়ে যায়। চারিদিকে সুনসান নীরবতা। হঠাৎই সবাই চুপ হয়ে যাওয়ার এই অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই আছে। যে অনেক কথা বলেন তারও এমন সমস্যা হয়ে থাকে। কিন্তু কেন এমন হয়?

কিছু বিভ্রান্তির কারণে এমনটা হয়ে থাকে। হঠাৎই মনে হতে পারে যে আমি আসলে ততটা আকর্ষণীয় না যতটা আসলে আমি ভাবি। কিংবা আমি কি খুব বেশী বিরক্তিকর? আমার কথা কি খুব তেতো?

না আপনাকে তেতোমনের মানুষের আখ্যা দেওয়া হচ্ছেনা। সবারই আকর্ষণীয় হওয়ার যোগ্যতা বা গুণ আছে। কিন্তু নিজেকে বিরক্তিকর কিংবা তেতো ভাবাটা যদি আপনার মনে ভয়ের সঞ্চার ঘটায় তাহলে নীচের টিপসগুলো আপনার জন্য।

১. অসঙ্গতিপূর্ণ কথোপকথন: কথা শুধু বলে গেলেই চলবেনা, সেই সাথে অপর বক্তার বক্তব্যও শুনতে হবে। তাহলেই একটি কথোপকথন স্বার্থকতা লাভ করবে। কিন্তু একজন বিরক্তিকর মানুষ এই দুটির তাল ঠিক রাখতে পারেন না। হয় তিনি কথা বলতেই থাকেন কিংবা একেবারেই চুপ হয়ে যান। কোরা ব্যবহারকারী জ্যাক বেনেট এই অসঙ্গতিকে ‘কথোপকথনের অসমতা’ বলে অভিহিত করেছেন।

২. অন্যের অংশগ্রহণে ব্যাপারে অসচেতন: আপনি যদি অতিমাত্রায় বিরক্তিকর হন তাহলে কথোপকথনের সময় অপর ব্যক্তির শারীরিক উপস্থিতি বুঝতে পারবেন না। গ্যারিক সাইটো এর মতে, ‘যদি আপনার শারীরিক ভাষায় প্রকাশ পায় যে আপনি শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে বা ভদ্রতার খাতিরে নড়াচড়া করছেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি ব্যক্তি হিসেবে খুবই বিরক্তিকর।’

৩. বিরক্তিকর লোকেরা অন্যকে হাসাতে পারেনা: কথোপকথনে হাসিখুশি থাকলে সেটি অনেকটাই ফলপ্রসু হয়। সেই সাথে আলোচনায় কোন বিষয়ের সিদ্ধান্তের ব্যাপারেও সবার মতামতের উল্লেখযীগ্য পরিবর্তন দেখা যায়। কিন্তু কাঠখোট্টা বা বিরক্তিকর মানুষদের মধ্যে এই গুণটি নেই।

৪. আমার কিছু বলার নেই: কোন কথোপকথন কিংবা আলোচনায় বিরক্তিকর মানুষদের কিছুই বলার থাকেনা। বুর হচ্ছেন তারা যারা নিজেদেরকে সবার মাঝে আকর্ষণীয় মনে করেন। কিন্তু এদের ছাড়াও আরেক দল বিরক্তিকর মানুষ আছে যারা ভাবেন আমাদের আর কিই বা বলার আছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাদের উত্তর থাকে, আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছু জানিনা। বা আমার এ ব্যাপারে কোন মতামত নেই।

৫. বিরক্তিকর ব্যক্তিরা সবসময় একি কাজ করে: বিরক্তিকর ব্যক্তিরা সবসময় একি ধরণের কাজ করে থাকেন। অর্থাৎ তাদের কথোপকথন বা চালচলনে কোন পরিবর্তন দেখা যায়না। বন্ধুদের সাথে ক্লাবে গেলে তারা শেষ পর্যন্ত আর তাদের সাথে মিলতে পারেনা। দেখা যায় তার পাহাড়ে হাইকিং এ যাওয়া, কিংবা লাইব্রেরীতে বই পড়া এই কাজগুলাই তার সাথে জড়িত।

ওয়ারউইক বলেন, ‘ আমার কাছে তখনি একজন ব্যক্তিকে বিরক্তিকর মনে হয় যখন সে একি রকম জীবনযাপন করে। জীবনযাপনে ব্যতিক্রমতা আসলেই আপনার কথোপকথনের পর্যায় পরিবর্তিত হবে। ক্লাবে যেয়েও আপনিক নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন।

৬. নিজস্ব মতামত বলে কিছু নেই: বিরক্তিকর মানুষদের নিজেদের মতামত বলতে কিছু নেই। বলা হয়ে থাকে, যদি আপনি আপনার আশেপাশে পরিবেশ প্রকৃতি ও এই পৃথিবীকে নিয়ে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা করতে না পারেন তাহলে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণে আপনার জানানোর মত কিছুই থাকবেনা।

মারান্দা মার্ভিন বলেন, ‘ যেসকল মানুষ অতীত থেকে গৃহীত শিক্ষাকে গ্রহণ করেনা তারাই আসলে বিরক্তিকর মানুষ হিসেবে পরিচিত হয়। তারা কোন বিষয়ে তাদের স্বল্প জ্ঞানের আলোকে মতামত দিতে পারে।

৭. ভালো গল্প বলার অক্ষমতা: ডেভ চেং এর মতে, ‘কাউকে কোন কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে চাইলে বা তাকে সাহস দিতে চাইলে তাকে কোন গল্প বা সফলতার ঘটনা শোনাতে হবে। যাতে করে সে তার কাজটি করার সাহস সঞ্চয় করতে পারে। আর অবশ্যই সে গল্প ঘটনার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।’

২০১৬ সালের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ‘ যারা ভালো গল্প বলতে পারে তারা নারীদের কাছে অতিমাত্রায় আকর্ষণীয়। ডেভ চেং বলেন, ‘আপনাকে অন্যদের জীবনের গল্পকেও তুলে ধরতে হবে। এবং সে সকল গল্প বলার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড