লাইফস্টাইল ডেস্ক
ওজন কমানো কিংবা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ—যে কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় বিশেষজ্ঞরা হাঁটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে নিয়মিত হাঁটার পরও ওজন কমে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কতটা হাঁটছেন তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে হাঁটছেন।
সুস্থ থাকতে দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। এই ৩০ মিনিট মানে কয়েক ধাপে নয়, বরং একটানা হাঁটতে হবে। এছাড়াও হাঁটার সময় ছোটখাটো কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত।
একটানা অনেক সময় হাঁটবেন না। চেষ্টা করুন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটার। এতে হৃদপিণ্ড যে গতিশীল অবস্থায় পৌঁছায়, তার স্থায়িত্ব থাকে বেশ কিছুক্ষণ। যা মেদ কমাতে ও নানা রোগের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।
খুব ধীরে ধীরে হাঁটা উচিত নয়। আবার খুব বেশি দ্রুত গতিতেও হাঁটার দরকার নেই। ঘণ্টায় আড়াই থেকে ৩ কিলোমিটার গতিতে হাঁটুন।
অনেকে বাড়ির ছাদ, ঘর কিংবা ছোট করিডোরের এ মাথা- ও মাথা হাঁটেন। এতে কিন্তু খুব একটা উপকার হয় না। বার বার বাঁক বদল করায় হাঁটার গতি কমে যায়। তাই চেষ্টা করুন, লম্বা পথ ধরে হাঁটতে। পার্কের সোজা রাস্তা ধরে হাঁটলে এ ক্ষেত্রে বেশি উপকার মিলবে।
হাঁটার জন্য নির্দিষ্ট সময় বের করার চেষ্টা করুন। ঘড়ি ধরে না পারলেও রোজ কাছাকাছি সময়ে হাঁটুন। এতে শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিক থাকবে, আর ওজনও দ্রুত কমবে।
অনেকেই সকালে হাঁটার পর চা বা কফিতে চুমুক দেন। কেউবা একটু ঘুমিয়ে নেন। এই কাজগুলো একদম করবেন না। এ ধরনের কাজে ঝরিয়ে ফেলা মেদ আবার শরীরে জমা হয়।
আরও পড়ুন : ধীরে হাঁটলে চেহারায় দ্রুত বয়সের ছাপ পড়ে
হাঁটার সময় নিজের পোষ্য প্রাণীকে সঙ্গে রাখবেন না। এতে হাঁটার গতি ঠিক থাকে না আবার বাধাও আসে। একা হাঁটতে চেষ্টা করুন। মোবাইল বা বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করতে করতেও হাঁটবেন না।
হাঁটার সময় স্বাভাবিক পোশাক পরুন। খুব খোলামেলা কিংবা আঁটসাঁট পোশাক না পরাই ভালো। এতে শরীরের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে না।
নিজের মতো করে তো এতদিন হাঁটলেন। আজ থেকে বরং এই নিয়মগুলো মেনে হাঁটার চেষ্টা করুন, উপকার মিলবে নিশ্চয়ই।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড