লাইফস্টাইল ডেস্ক
সারা দিন কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেই অনেকে অফিস থেকে বেরিয়ে নিরাপদ স্মোকিং জোন খোঁজেন। অথবা রাতের খাবার খেয়ে সুখটান দেন। কেউ কেউ দিনে চার-পাঁচ টা সিগারেট খান। অনেকে আবার পুরো একটা সিগারেটের প্যাকেট শেষ করে ফেলেন। ফলে ক্যানসারের থেকেও বেশি মানুষ মারা যান শুধুমাত্র সিগারেট ও বিড়ির নেশার কারণে।
তবে, আপনি কি জানেন কিছু কিছু খাবার আছে যা সিগারেট খাওয়ার থেকেও বেশি ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই না জেনে সেসব খাবার খায়।
চলুন জেনে নেয়া যাক, সেই খাবারগুলো কী কী...
ফলের রস : স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য সব ক্ষেত্রে ফল উপকারি খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। ফল পুষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক কথায় ফল সুষম খাবার। কিন্তু, এই সুষম খাবার আবার ক্ষতিকারক হতে পারে। এমন অনেকেই আছেন যারা ফলের রস খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু বাজারে এখন যেসব ফলের রস পাওয়া যায় তাতে সুফলের থেকে কুফলই বেশি। কারণ বাজারে এখন যে সমস্ত ফলের রস পাওয়া যায় তার মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় চিনি থাকে। ফলে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও স্থূলতা বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণে। তাই ফলের রসের পরিবর্তে ফল খেতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
গ্রানোলা বার : গ্রানোলা বার পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। তবে কিছু গ্রানোলা বারে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। নিউট্রিশনিস্টদের মতে, গ্রানোলা বার গুলোতে ১৫-৩০ গ্রাম পর্যন্ত চিনি থাকে। যদিও অনেকের মতে এই বারগুলো ক্ষুধা নিরসন বা অত্যাধিক খাওয়ার প্রবণতাকে কমাতে সাহায্য করে। একটি গ্রানোলা বারে কমপক্ষে ৩ গ্রাম ফাইবার, ৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ১০ গ্রাম কম চিনি থাকা উচিত।
মাছ : স্বাস্থ্যের জন্য মাছ একটি ভালো খাবার। কেননা, মাছের মধ্যে ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ ফ্যাটি আ্যাসিড থাকে। যা স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে অবদান রাখে। বাজার থেকে যেসব মাছগুলো যার বেশির ভাগই চাষ করা হয়। দ্রুত বৃদ্ধির জন্য তাদের মধ্যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় যা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক।
ফ্যাট ফ্রি খাবার : গত বেশকিছু দিন ধরে ফ্যাট ফ্রি খাবার ডায়েট চলছে। স্বাদ বজায় রাখার জন্য এই ফ্যাট ফ্রি খাবারের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছিল চিনি। বিশেষজ্ঞরা এখন প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ ডিয়ারি আইটেমগুলো বেছে নেয়ার পরামর্শ দেন। যেখানে কোনো প্রক্রিয়াজাত চিনি থাকে না।
ব্রেড : সাদা ব্রেড তৈরি হয় মিহি শস্য থেকে। যার মধ্যে ফাইবার এবং পুষ্টির মাত্রা কম থাকে। ফলে এটি কার্ডিওভাসকুলার, রক্তচাপ, সুগার এবং ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সয়াবিন : সয়াবিন সাধারণত থাইরয়েড হরমোনের ক্রমবর্ধমান ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। যা কি না অপ্রত্যাশিত ওজন কম, ঘাম হতে পারে। এছাড়া স্বাস্থ্যের জন্য সয়াবিন ক্ষতিকারক। বেশিরভাগ সয়াবিন জিনগত ভাবে পরিবর্তিত হয়।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড