লাইফস্টাইল ডেস্ক
স্কুলপড়ুয়া রাহাতের বেশ কিছুদিন ধরেই খাবারের প্রতি অরুচি চলে এসেছে। বলতে গেলে কিছুই খেতে চায় না সে। কিছুদিন আগে জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পরই এমনটা হচ্ছে বলে ভাবছেন রাহাতের মা। ছেলে যখন যা খেতে চাচ্ছে তাই বানিয়ে দিচ্ছেন তবু যেন ছেলের মুখে রুচছে না কিছুই। এদিকে বেশ দুর্বলও হয়ে পড়েছে সে।
ভার্সিটি থেকে এসে প্রায় সময়ই বেশ মনমরা হয়ে থাকে নীরা। খাবার খেতে ডাকলেই নানা বাহানা শুরু হয় তার। ক্ষুধা নেই, মাথা ধরেছে এইসব বলেই খাবার থেকে দূরে থাকে সে। বড় বোন নীলা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না কেন এমন আচরণ তার। এদিকে খাবার নিয়মিত না খাবার কারণে নীরা দিনদিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। চেহারাতেও দুর্বলতার ছাপ স্পষ্ট।
খাওয়ায় এমন অরুচি নতুন স্বাস্থ্য সমস্যা নয়। এমন অভিযোগ প্রায় সব বয়সী মানুষের মাঝেই আছে। খাবারে অরুচি হলে যে ক্ষুধা লাগে না তা কিন্তু নয়। অনেকের ক্ষুধা লাগলেও খেতে পারেন না। এর মূলত কিছু কারণ রয়েছে। গ্যাস্ট্রিক বা কিডনিতে কোনো সমস্যা থাকলে, বেশ কিছুদিন জ্বরে ভুগলে, কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা মানসিক চাপ বেড়ে গেলে খাওয়ায় অরুচি আসতে পারে। আর এই সমস্যার সময় যদি বাড়তে থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক। তবে চিকিৎসক পর্যন্ত যাওয়ার আগে খাবারে রুচি ফিরিয়ে আনতে মেনে চলতে পারেন কিছু উপায়:
খাবার তালিকায় প্রাধান্য দেবেন যাতে
খাবারে অরুচি দূর করতে সহায়ক কিছু খাবার রয়েছে। দুধ, টকদই, কমলা, মালটা, ধনেপাতা, টমেটো যুক্ত করতে পারেন খাবার তালিকায়। এগুলো রুচি ফেরাতে সহায়ক। এছাড়াও প্রতি বেলার খাবারে এক বা দুই টুকরো লেবু রাখুন অবশ্যই। রুচি বাড়াতে লেবুর বিকল্প খুব কমই আছে। জ্বরে যদি খাবারে অরুচি আসে তবে মালটা রস করে খেতে পারেন।
দূরে থাকুক ক্যাফেইন
সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে ক্যাফেইনকে আপন করে নেন অনেকে। আর খাবারে রুচি নষ্ট করতে এই অভ্যাসটাই যথেষ্ট। এছাড়াও ঘনঘন চা, কফিও ক্ষুধা নষ্ট করে দেয়, কমিয়ে দেয় রুচি। সারাদিনে ২ কাপের বেশি কফি গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
টকজাতীয় ফল
বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকলে খাবারে দেখা দেয় অরুচি। এটা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়ে যায় তবে এ সময় টক জাতীয় ফল, বিভিন্ন ফলের রস, স্যুপ খেতে হবে বেশি করে। এছাড়াও সালাদ বানানো যায় টকজাতীয় ফল মিলিয়ে। খাবারে রুচি আনতে এগুলো বেশ উপকারী।
ফাস্টফুড নয়
খাদ্যতালিকা থেকে যতখানি সম্ভব দূরে রাখুন ফাস্টফুড জাতীয় খাবারকে। ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার, চিপস, কোমল পানীয় এগুলো খাবারের রুচি কমিয়ে দেয় ক্রমাগত হারে। এই সকল খাবারে পানির পিপাসা বেড়ে যায়। আর এ কারণে বারবার পানি পানের তৃষ্ণা হয়, ক্ষুধা অনুভূত হয় কম। তাই এগুলোকে খাবার তালিকা থেকে পরিহার করা জরুরি। শিশুরা প্রায় সময়ই এগুলো খাবার বায়না ধরলেও যতটা সম্ভব এগুলো থেকে দূরে রাখতে হবে তাদের।
হাঁটাহাঁটি এবং হালকা ব্যায়াম
খাওয়ার রুচি ফিরিয়ে আনতে প্রথমেই চেষ্টা করতে হবে পছন্দের খাবার খেতে। জোর করে অপছন্দের খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ধীরে ধীরে যেন ক্ষুধার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে সে ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য সারাদিনে অন্তত ২০ মিনিট হাঁটার পাশাপাশি হালকা ঘরোয়া ব্যায়াম বা ইয়োগা করতে হবে। এতে বিপাকের সাথে সাথে ক্ষুধাও বৃদ্ধি পাবে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড