• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিশুর আঁকানো ছবি যখন 'ফ্রেমবন্দি' হয়ে যায়

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

১৯ জুন ২০১৯, ১৪:০৯
ফ্রেমবন্দি ছবি
শিশুর এলোমেলো আঁকিবুঁকিগুলোও বন্দি হোক ফ্রেমের মাঝে (ছবি: আর্টফুল প্যারেন্ট)

শিশুর অভিব্যক্তিগুলো তারা বেশি করে বুঝায় রঙের সাহায্যে। তাদের হাতে খুব অল্প বয়সেই আমরা তুলে দেই রং-পেন্সিল, খাতা। তাদের বলি তোমাদের যা ভালো লাগে তোমরা আঁকাও। আর শিশুরাও এতে বেশ খুশি হয়। ছোট বয়স থেকেই রঙ নিয়ে খেলতেই যেন তাদের সকল আনন্দ। কিন্তু তাদের আঁকানো সেইসব ছবিগুলো কয়জন বাবা মা আগ্রহ ভরে যত্নে রেখে দেন? শিশুর ছোটবেলার এই স্মৃতিগুলো কীভাবে কীভাবে যেন এক সময় হারিয়ে যায়। কিন্তু চাইলেই আপনি খুব সহজে যেমন ছবিগুলো যত্নে রাখতে পারবেন তেমনি আপনার সন্তানও নিজের আঁকানো ছবির সুন্দর প্রকাশ দেখে খুশি হবে। সে নিজের কাজকে গুরুত্ব দিতে শিখবে।

শিশুর আঁকানো ছবিগুলো যত্নে রাখার খুব বড় একটা সুবিধা হচ্ছে সেগুলোকে ফ্রেমবন্দি করে ফেলা। আমাদের ছোট বেলা জুড়েও কিন্তু অনেক ফ্রেমবন্দি ছবি আছে। কিন্তু পার্থক্য হলো সেগুলো তোলা হতো ক্যামেরায় আর এগুলো শিশুর হাতে আঁকানো। আপনি যখন কিছু ছবি ফ্রেমবন্দি করবেন তখন সেই ছবিগুলো হবে সব ছবির মাঝ থেকে বাছাই করা। তাই সেগুলো যেমন সংগ্রহ করা সহজ হবে, তেমনি শিশুকেও আনন্দ দেবে। কিন্তু সব ছবি তো আবার ফ্রেমে তুলে রাখা যাবে না। সেক্ষেত্রেও রয়েছে সহজ কিছু উপায়। চলুন জেনে নিই কী সেগুলো-

শিশুদের আঁকানো ছবিকে প্রদর্শন করা

আপনার শিশু যে ছবিটি আগ্রহ নিয়ে আঁকাচ্ছে সেটি বাঁধাই করে রাখুন। প্রতিটা ফ্রেমই শিশুর ছবিকে দেবে ভিন্ন মাত্রা। আর এতে শিশুও আরও দারুণ দারুণ কাজ করতে উৎসাহী হবে।

ছবি যখন পোস্টার হয়ে যায়

হুটহাট করে আঁকানো শিশুর যে কোনো ছবিকে আপনি চাইলে পোস্টার বানিয়ে ফেলতে পারেন। নিজের এলোমেলো ছবিগুলো যখন আপনার সন্তান পোস্টারের মতো করে নিজের ওয়ালেই সাজানো দেখবে তখন তার আনন্দ ভরা দুচোখের দৃষ্টি নিশ্চয়ই আপনি এড়াতে চাইবেন না!

ব্যবহার করুন 'মিতব্যয়ী' ফ্রেম

'মিতব্যয়ী' ফ্রেম শুনে অবাক হচ্ছেন? শব্দটা শুধু খরচের বেলায় সহজে মানালেও এর অর্থ কিন্তু আসলে ওই বুঝেশুনে খরচ করাই। এক্ষেত্রেও এটাই বুঝাতে চাচ্ছি। শিশুর ছবি আপনি দেয়ালে টানাতে চাচ্ছেন ঠিকই কিন্তু ভাবছেন ছোট্ট এই দুষ্টু বাচ্চা তো আর একটা ছবি আঁকায় না! দিনেই তার ছবি হয়ত দাঁড়ায় শ' খানেক! তাহলে? এত ফ্রেম তো আর বারবার করা যায় না। এখানেই আসলে 'মিতব্যয়ী' শব্দটার ব্যবহার। এমন ফ্রেম বেছে নিন যেটি পিছন থেকে সহজেই খুলে ফেলা যায়। তাই যতবার চান শিশুর ছবি বদলে দিতে পারেন। বারবার ছবি বদলে নতুন ছবি দিলে সন্তানের মুখেও হাসি লেগে থাকবে।

ফ্রেম

শিশুর আঁকানো ছবিকে করে ফেলুন ফ্রেমবন্দি (ছবি: আর্টফুল প্যারেন্ট)

কর্ক বোর্ডের ফ্রেম

স্কুলের খাতায়, বাড়ির খাতায়, ঘরের প্রয়োজনীয় কাগজে- কোথায় শিশুর ছবি আঁকানো বাদ যায়! পুরো বাড়িটাই যেন তার জন্য ক্যানভাস। তার এই এলোমেলো ক্যানভাসগুলোকে বন্দি করে ফেলুন ফ্রেমে। কিন্তু এত যে ছবি তারও তো একটা হিসাব থাকা চাই! এইজন্য ফ্রেমটাকে কাঁচ দিয়ে বন্দি না করে কর্ক বোর্ডটাকে যেন দেখা যায় এমনভাবে তৈরি করুন। তাতে শুধু ছবিটা পিন দিয়ে আটকে দিলেই হয়ে যাবে ছোট্ট ফ্রেম। বারবার কাঁচ বদলে দেয়ার ঝামেলা থাকবে না। চাইলে শিশুকেও ছবি কীভাবে আটকে রাখতে হয় শিখিয়ে দিতে পারেন। ছবি আঁকানো শেষে সে নিজেই সেটা ফ্রেম করে ফেলতে পারবে।

ঝুলন্ত ফ্রেম

যদি দেয়ালে লাগানোর জন্য যথেষ্ট জায়গা না থাকে তবে আপনি সন্তানের জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন 'ঝুলন্ত ফ্রেম'। ঘরের দেয়ালের এক কোণায় তার দিয়ে বেঁধে দিন। এবার তারগুলোতে শিশুর আঁকানো ছবিগুলো ক্লিপ দিয়ে ঝুলিয়ে দিন। ব্যস, হয়ে গেলো শিশুর ছবি জমানোর ফ্রেম!

ফ্রেম

ঝুলন্ত ফ্রেমে বন্দি হোক শিশুর আঁকানো ছবি (ছবি: আর্টফুল প্যারেন্ট)

ফ্রেম হয়ে উঠবে 'হ্যাঙ্গার'

ঘর বারান্দা যেখানে খুশি আপনি চাইলে রাখতে পারেন শিশুর আঁকানো ছবির ফ্রেম। বাঁধাই করা ছবি না চাইলে সহজেই ফ্রেম হয়ে উঠতে পারে ঘরে কাপড় রাখা হ্যাঙ্গার। হ্যাঙ্গার দেয়ালে ঝুলিয়ে তাতে ক্লিপ দিয়ে ছবি আটকে দিন।

ফ্রেম

কাপড় ঝুলানো হ্যাঙ্গারও হয়ে উঠতে পারে শিশুর আঁকানো ছবির ফ্রেম (ছবি: আর্টফুল প্যারেন্ট)

শিশুর ছবি আঁকানো মানে তার প্রতিভার বিকাশকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তাই শিশুর খামখেয়ালিতে আঁকা ছবিগুলোকে অযত্নে না রেখে তাতে ভিন্ন রূপ দিয়ে করে তুলতে পারেন আকর্ষণীয়। এতে শিশু যেমন খুশি হবে, তেমনি বাড়বে মনোযোগ। সে যে আপনাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এটা বুঝতে শিখবে। তাই তার ছোট ছোট কাজগুলোকে প্রশংসা করুন। তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এতে।

তথ্যসূত্র: আর্টফুল প্যারেন্ট

ওডি/এএন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড