• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৩০ মিনিটেই মিলবে ভারতীয় ভিসা!

  অধিকার ডেস্ক    ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:২৬

ভিসা
ভারতীয় ভিসা

বর্তমানে বাংলাদেশিদের কাছে ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। শুধু ভ্রমণই নয় অনেকে চিকিৎসাসহ নানান কাজে নিয়মিতভাবে ভারতে যান। তবে অনেকেই ভারতের ভিসা প্রাপ্তির জটিল বিষয়ে আটকে যাওয়ার চিন্তায় পড়ে যান।

পূর্বে ভারতের ভিসা আবেদনের পর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের সিরিয়ালের প্রয়োজন হতো। অনেকেই এটি পেতে বেশ হিমশিম খেতেন। তবে বর্তমানে এটি আর জটিল কোনো প্রক্রিয়া নয়। আগের চেয়ে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়েছে।

ভারতীয় দূতাবাস সম্প্রতি বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে ভিসা প্রাপ্তি সহজ করতে ঢাকার জন্য মাত্র একটি ভিসাকেন্দ্র নির্ধারণ করেছে। ফলে এখন ঢাকায় একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকেই ভিসা সংক্রান্ত সব কাজ করা যায়। ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে ১৮ হাজার ৫০০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে এই ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র। প্রায় ৬ হাজার গ্রাহক প্রতিদিন এখান থেকে সেবা নিতে পারছেন।

এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভারতীয় ভিসাকেন্দ্র বলা দাবি করা হচ্ছে। এখানে রয়েছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত টোকেন ভেন্ডিং মেশিন (প্রত্যাশিত প্রতীক্ষা সময় নির্দেশিত হবে), আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অপেক্ষা করার স্থান, কফি ও কোমল পানীয় ভেন্ডিং মেশিন, খাবার দোকান ও আবেদন জমা দেওয়ার জন্য ৪৮টি কাউন্টার।

একই সাথে নারী, জ্যেষ্ঠ নাগরিক, মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যবসায় ভিসা আবেদনের জন্য রয়েছে আলাদা কাউন্টার। আর বিশেষ সহায়তার জন্য ডেস্ক ও প্রিন্টিং, ফটোকপি ইত্যাদি সুবিধাও রয়েছে। এসব সেবা মূল্য পরিশোধ করেই পাওয়া যাবে। ভারতীয় ভিসা প্রাপ্তির জন্য প্রথম অনলাইনে গিয়ে ভারতীয় ভিসার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। তার পূর্বে সদ্য তোলা সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের ২ ইঞ্চি বাই ২ ইঞ্চি ছবি সংগ্রহ করে সেটিকে স্ক্যান করে নিতে হবে। কেননা অনলাইনে পূরণকৃত ফরমের সঙ্গে স্ক্যানকৃত ছবি যুক্ত করতে হবে। আর ছবির সাইজ হতে হবে ১০-৩০০ কিলোবাইট। ফরম পূরণ হয়ে গেলে সেটি প্রিন্ট করে তার সাথে সদ্য তোলা ছবি যুক্ত করে নিতে হবে। এবার ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কের প্রবেশমুখে গিয়ে ভিসা ফি ৮০০ টাকা জমা দিতে হবে। সংশ্লিষ্টরা সেখানে আবেদনপত্র চেক করে ভিসা ফি নিয়ে ‘পেইড’ সিল দিয়ে দেবে। ভিসা ফি জমা হওয়ার পরেই আবেদনপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল ফোনে নিশ্চয়তার ম্যাসেজ চলে আসবে।

ভিসা জমা দিতে এবার যমুনা ফিউচার পার্কে প্রবেশ করে ভিসা জমাদান কেন্দ্রে যেতে হবে। সেখানে একটি সিরিয়াল নম্বরযুক্ত টোকেন দেওয়া হবে। টোকেনে থাকা নম্বরটি ভিসাকেন্দ্রে থাকা বোর্ডের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে হবে। ফলে ভিসার আবেদনপত্র কোন বুথে জমা দিতে হবে সেটি জানা যাবে।

নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে এখন ফরম জমা দিতে হবে। তখন আবেদনপত্রে উল্লেখ করা মোবাইল ফোনে ভিসা জমা হওয়ার বার্তা আসবে। এই প্রক্রিয়া শেষ করার পর আরেকটি টোকেন দেওয়া হবে। পাসপোর্ট সংগ্রহের বেলায় এটি লাগবে। এজন্য সেটিও সংরক্ষণ করা জরুরি। দূতাবাস থেকে পাসপোর্ট যখন ভিসাকেন্দ্রে আসবে তখনও মোবাইল ফোনে একটি পাঠানো হবে। সেখানে পাসপোর্ট সংগ্রহের নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা থাকবে। ওই দিনে টোকেন দেখিয়ে পাসপোর্ট নিতে হয়।

পাসপোর্ট জমা দেওয়ার পর পাসপোর্টের অবস্থান জানতে চাইলে এই ঠিকানায় গিয়ে টোকেনে থাকা অ্যাপ্লিকেশন আইডি, পাসপোর্ট নম্বর ও স্ক্রিনে দেখানো অ্যাকসেস কোড লিখে জমা দিলেই ভিসা স্ট্যাটাস বা আবেদনপত্রের স্ট্যাটাস সামনে আসবে।

তবে এই ফরম নিয়ে ভিসাকেন্দ্রে জমা দেওয়াসহ পুরো কাজটি করতে লাগবে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট! আর পাসপোর্ট সংগ্রহ করতেও এর চেয়ে বেশি সময় লাগবে না।

রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভিসাকেন্দ্র চালু থাকে। আর প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড