• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মা-মেয়ের সাজানো বুনন ঘর 'টাগই'

  অধিকার ডেস্ক    ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:১১

'টাগই'
মা-মেয়ের হাতে বানানো 'টাগই'

একজন গল্পকার কবি আমি। কাগজ কলমে লিখি জীবনের গল্প। কলম কাগজে আর রঙে আমি আমার অনুভূতি আঁকি। আর গল্পগুলো ফুটে ওঠার ক্যানভাস হয় শাড়ির আঁচল আর কামিজ। রঙ ছাড়াও সুঁই-সুতো আর প্রিন্টিং এ চলতো আঁকাআঁকি। সুতার বদলে কখনো নকশা করতে থাকলাম বিটস পাট আর ফিতা দিয়ে। ভালো লাগা থেকেই এক সময় ভাবলাম নিজের করা ডিজাইনগুলো যদি সবার সাথে শেয়ার করা যায় তাহলে আনন্দটা বেড়ে যায় আরও অনেকখানি। এ ভাবনা থেকে 'টাগই' গড়ে তোলা। শুরু থেকেই আমার এ পথচলায় সাথে ছিল আমার মেয়ে ইশরাক- বলছিলেন 'টাগই' এর কর্ণধার নাসরিন রশীদ। মেয়ে নাফিসা তাসনীম ইশরাককে নিয়ে আজ থেকে প্রায় দুই বছর আগে শুরু করেছিলেন 'টাগই'।

Tagoi

'টাগই' এর কর্ণধার নাসরিন রশীদ এবং মেয়ে নাফিসা তাসনীম ইশরাক

'টাগই' এর কাজ মূলত কাপড় নিয়ে। বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, কুর্তি, টিউনিক, থ্রি পিস, শাল, মেয়েদের শার্ট নিয়ে কাজ করেন নাসরিন। এগুলোতে গামছা দিয়ে শার্ট, কিংবা তাঁতে বোনা কাপড় দিয়ে কোল্ড শোল্ডার টপস দিয়ে ফিউশন করতে ভালো লাগে।

টাগই

টাগইয়ের পোশাকে বেশ কিছু সুপরিচিত ছবি উঠে এসেছে। যেমন, স্টারি নাইট, ফ্রিদা কালহো, অদ্রে হেপবার্ন, নেফারতিতি, হ্যারি পটারসহ আরও অনেককিছু। প্রকৃতির ছবির পাশাপাশি উঠে এসেছে ভালো লাগার কথার ছবিগুলোও। আছে অল্প কিছু হাতে বানানো গয়নাও।

টাগই

এই যে পোশাকে এত ভিন্নতা এগুলো গ্রাহকেরা কীভাবে নিচ্ছে জানতে চাইলে নাসরিন বলেন, গ্রাহকদের সাড়া বেশ আশাপদ। আমাদের ডিজাইন করা পোশাকগুলো সবাই আগ্রহের সাথেই কিনছে। কিছু পোশাকের চাহিদা মাঝে মাঝে এত বেশি হয় যে চাওয়ার সাথে সাথেই দেওয়া সম্ভব হয় না।

অফলাইনে কাজ করার ইচ্ছা আছে কি না সে বিষয়ে নাসরিন বলেন, জি ইচ্ছে আছে। আমার শপ থাকবে একপাশে শাড়ি, একপাশে কুর্তি, তারপাশে থাকবে ছোট্ট লাইব্রেরির মতন। আর থাকবে ছোট্ট কফি শপ। যেখানে সবাই কফি খেতে খেতে বই পড়বে। শাড়ি, কাঠের গহনা কিনবে। কুর্তি কিনবে। আর তাদের হাতে থাকবে এক কাপ ধোঁয়াউঠা এক্সপ্রেসো কফি।

নাসরিন ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। আর কাজের শুরুতে একমাত্র সহযোগী কন্যা ইশরাক পড়ছে হলিক্রস কলেজে একাদশ শ্রেণিতে। শুরুতে মা-মেয়ে মিলে শুরু করলেও এখন তাদের কাজে সহযোগী আছেন ৪-৫ জন।

বিস্তৃতি বাড়িয়ে 'টাগই' একদিন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পাবে এমন স্বপ্ন দেখেন 'টাগই' এর কর্ণধার।

দৈনিক অধিকারের পক্ষ থেকে 'টাগই' এর জন্য রইল শুভকামনা।

'টাগই' এর লিংক: https://www.facebook.com/Tagoibd/

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড