• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সম্পর্কটা অনেকদিনের, সরে আসবেন কীভাবে?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

১২ ডিসেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৭
সম্পর্ক
ছবি : প্রতীকী

ভালোবাসার সম্পর্ক অসম্ভব সুন্দর একটি ব্যাপার, সুন্দর একটি অনুভূতি। কিন্তু, এই সম্পর্ক যত পুরোনো হয়, ততই গভীর ও জটিল হয়ে পড়ে। তাই খুব কঠিন সময়ে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে, সেটার একপাশে স্বস্তি থাকলেও অন্যপাশে থাকে কষ্ট, হতাশা আর অভিমান।

সম্পর্ক কয়েকদিনের হলে তার ডালপালাও থাকে কম। দীর্ঘসময়ের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা তাই তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি কঠিন একটি ব্যাপার। তবে হ্যাঁ, কিছু উপায় কৌশল ব্যবহার করে এই প্রক্রিয়াটিকে হয়তো একটু সহজ করতে পারবেন আপনি। চলুন জেনে আসা যাক কৌশল গুলোকে।

পরিষ্কারভাবে নিজের বক্তব্য তুলে ধরুন-

সম্পর্কচ্ছেদ করা বড় একটি পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে আপনি যদি পরিষ্কারভাবে আপনার না থাকার কারণগুলো সঙ্গীকে না বোঝাতে পারেন, তাহলে সে আপনাকে পালটা যুক্তি দিয়ে থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে। হয়তো তার মনে আশা থাকবে ভবিষ্যতে সব ঠিক হয়ে যাওয়ার। তাই, কোনকিছু করার আগে পরিষ্কারভাবে নিজেকে বুঝে নিন, নিশ্চিত হোন এবং সঙ্গিকে বুঝিয়ে বলুন। খেয়াল রাখুন অন্যপক্ষ যেন ভুল কোনো ইঙ্গিত না পায়।

নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশ্চিত হোন-

এমনটা হতেই পারে যে, আপনি নিজেই এখনও নিশ্চিত না যে, ঠিক কী করবেন। সেক্ষেত্রে কিছুদিনের একটা দূরত্ব নিন। সময় নিয়ে নিজে আগে নিশ্চিত হোন যে, আপনি এই সম্পর্কের সমাপ্তি চান কি না। নিশ্চিত হলে এ ব্যাপারে কোনো দ্বিধা না রেখেই সরাসরি কথা বলুন।

পরবর্তী সম্পর্ক নিয়ে কথা বলুন-

আপনাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এরপর? এরপর কী হবে? যদি আপনাদের কোথাও দেখা হয়ে যায়, তাহলে? কতটা ফোন করবেন আপনারা একে অন্যকে? এসব ব্যাপারে আগে থেকেই কথা বলে নিন সঙ্গীর সাথে।

devorce

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন-

দীর্ঘ সময়ের একটা সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা খুব একটা সহজ কাজ নয়। হতেই পারে যে, আপনার খুব ইচ্ছে করছে প্রাক্তনের সাথে কথা বলতে। হয়তো তাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। হয়তো আপনার প্রাক্তন আপনাকে বারবার যোগাযোগ করার জন্য তাগাদা দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া না করে থাকার চেষ্টা করুন। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন।

সহানুভূতিশীল হোন-

আপনি একজন মানুষকে কষ্ট দিয়েছেন। আপনি নিজেও হয়তো কিছুটা কষ্ট পাচ্ছেন। তাই আপনার প্রাক্তনের কষ্টকে বুঝুন। তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠুন। তাকে বোঝান যে, তার খারাপ লাগাটা আপনি বুঝতে পারছেন, তবে এটাই আপনাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। আপনার নিজের মানসিক অবস্থান সম্পর্কে তাকে পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে বলুন।

বাড়তি পরিকল্পনা করে রাখুন-

যদি কোনো কারণে মানসিকভাবে খুব অস্থির হয়ে পড়েন তাহলে কী করবেন? এই সময়ের জন্য আগে থেকেই কিছু পরিকল্পনা করে রাখুন।

শিশুদের সাথে কথা বলুন-

শিশুদের সাথে কথা বললে মানসিক অনেক অস্থিরতা ও আবেগকে এড়িয়ে চলা যায়। তাই খুব বেশি খারাপ লাগলে শিশুদের সাথে কথা বলুন। মানসিকভাবে শান্তি পাবেন। কী কথা বলবেন শিশুদের সাথে? যা ইচ্ছে তাই! আর এজন্যেই এই কথোপকথন অনেক বেশি প্রশান্তির।

devorce1

প্রশ্নের উত্তর তৈরি রাখুন-

আপনাদের সম্পর্ক সম্পর্কে নিশ্চয় অনেকেই জানে। বন্ধু, পরিবার, প্রতিবেশী। সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু অন্যদের প্রশ্ন? সেগুলো থেকে যাবে। তাই আগে থেকেই ভেবে রাখুন যে, অন্যরা জিজ্ঞেস করলে নিজেদের সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ নিয়ে কী বলবেন।

নিজের আবেগকে মেনে নিন-

হয়তো আপনিই বিচ্ছেদের কথা বলেছেন এবং এটা নিয়ে নিশ্চিতও। কিন্তু তারপরেও, খারাপ লাগা কাজ করতেই পারে ব্যাপারটি নিয়ে। নিজের এই অনুভূতি নিয়ে লজ্জা পাওয়ার বা কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই। নিজের অনুভূতিকে স্বাগতম জানান।

আর এসবের কোনোটাতেই কাজ না হলে, তেমনটা দরকার পড়লে চিকিৎসক বা বন্ধুদের সাথে কথা বলুন। তাদের সাহায্য নিন। যদি আপনি আপনার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে নিশ্চিত হোন, তাহলে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করতে যাওয়াটা বোকামি। এতে কেবল আপনি নন, কষ্ট পাবে আপনার সঙ্গীও। তাই যে সিদ্ধান্তই নিন না কেন, তার আগে নিজেকে যথেষ্ট সময় দিন।

সূত্র : সাইকোলজি টুডে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড