লাইফস্টাইল ডেস্ক
স্বাস্থ্য ডেস্ক
সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে চলছে কাজে ফেরার প্রস্তুতি। এখন সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে করোনার ভয়াল গ্রাস থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করা, নিরাপদে রাখা।
মহামারি করোনার ভাইরাসের মোকাবিলা করতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটি ভালো মাস্ক। যে মাস্ক ব্যবহার করলে, বাইরের জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারবে না। আর তাই কোন মাস্ক ব্যবহার করবেন, এটা নিয়ে ভাবছেন অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা মিলবে এন ৯৫ মাস্ক থেকে, তবে তার সংখ্যা যেহেতু কম এবং চাহিদা বেশি তাই নকল মাস্কও বের হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। অনলাইন থেকে নিলে এন ৯৫ মাস্ক কেনার সময় নিশ্চিত হয়ে নিন। এই মাস্ক বার বার ব্যবহার করা যায়।
এছাড়া বাড়ির তৈরি কাপড়ের মাস্ক ঠেকাবে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সংক্রমণ। কাপড়ের মাস্ক জীবাণুমুক্ত করে বার বার ব্যবহার করবেন। বাড়ি ফিরে দড়ি, ফিতে বা রাবার ব্যান্ডের অংশ ধরে মাস্ক খুলুন। মাস্কে সরাসরি হাত দেবেন না। এবার সাবান পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে নিন। সম্ভব হলে রোদে শুকাতে দিন, শুকিয়ে যাওয়ার পর ইস্ত্রি করুন। তাতে মাস্ক জীবাণুমুক্ত হবে।
সার্জিক্যাল মাস্কের ক্ষমতা তার চেয়েও অনেকটাই বেশি। চাইলে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হয়।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় থেকে ফেরা পর্যন্ত চেষ্টা করুন মাস্ক পরে থাকতে। অনেকেই ভাবছেন অফিসেও মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন আছে, কারণ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে কোভিড-১৯ ছড়াচ্ছে। অফিসের কারো শরীরের ভেতরে যে এরই মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে কিনা, এটা কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে জানার কোনো সুযোগ নেই। আর করোনা আক্রান্তের উপসর্গগুলো সংক্রমণের অন্তত চার পাঁচ দিন পরে প্রকাশ পেতে শুরু করে।
আরও পড়ুন : হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পাতে রাখুন গ্রীষ্মের এই ফলগুলো
বাইরে বেরনোর সময় দু’টি মাস্ক ব্যাগে রাখুন। একটি কোনো কারণে ভিজে গেলে বা নষ্ট হলে অন্যটি কাজে দেবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড