• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হোম অফিস করছেন? মেনে চলুন এসব নিয়ম

  লাইফস্টাইল ডেস্ক

০৬ এপ্রিল ২০২০, ২৩:৫৬
হোম অফিস
হোম অফিস (প্রতীকী ছবি)

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রায় সব অফিসই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই বলে কাজ কিন্তু থেমে নেই। সকলকেই নিজ নিজ বাসা থেকে নিয়ম ও সময় মেনে অফিসের যাবতীয় কাজ করছেন। বাসায় বসে অফিস করার ক্ষেত্রে প্রথম প্রভাবটা মানসিক ক্ষেত্রে পড়ে। আর অফিসের পরিচিত ও অফিসিয়াল পরিবেশ ছেড়ে নিজ বাসার আরামদায়ক পরিবেশে কাজ করার জন্য নিজেকে মানিয়ে নিতেও বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায়। সঙ্গে প্রয়োজন হয় মানসিক প্রস্তুতিরও।

তবে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে এর প্রভাব পড়তে পারে শারীরের ওপর। তাই হোম অফিসকালীন সময়টায় সুস্থ ও মানসিক চাপমুক্ত থাকতে এসব নিয়ম মেনে চলুন।

নির্দিষ্ট চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করুন

প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা অফিসের কাজ করার জন্য অবশ্যই নির্দিষ্ট চেয়ার-টেবিল ঠিক করে নিতে হবে। দৈনিক এতোগুলো সময় বিছানায় কিংবা সোফায় আধশোয়া হয়ে কিংবা ঝুঁকে কাজ করা হলে, পুরো মেরুদণ্ডের ওপর চাপ পড়বে। যা থেকে ঘাড়, পিঠ ও কোমরে ব্যথাভাব দেখা দেবে।

স্ক্রিনের উচ্চতা ও দূরত্ব বজায় রাখুন

প্রতিটি অফিসেই ডেস্কটপের স্ক্রিন থেকে চেয়ারের দূরত্ব এবং স্ক্রিনের উচ্চতা নির্দিষ্ট করা থাকে। লম্বা সময় অফিসে কাজ করার ফলে যার সঙ্গে অভ্যস্ততা গড়ে ওঠে। বাসায় বসে অফিস করার ক্ষেত্রে তাই নিজের জন্য নির্দিষ্ট করা চেয়ার-টেবিলে ল্যাপটপের উচ্চতা ও দূরত্ব নিজের বসার স্থান থেকে অ্যাডজাস্ট করে নিতে হবে। যদি ডেস্কটপ হয় তবে মনিটর সঠিক উচ্চতায় ও দূরত্বে আছে কিনা সেটাও দেখতে হবে। নয়তো কাজের সময় বাড়তি চাপ পড়া থেকে চোখ ও ঘাড়ে ব্যথার সমস্যা দেখা দেবে।

স্ট্রেচিং করুন নিয়ম মেনে

যতই বাসায় বসে কাজ করা হোক না কেন, কাজের ব্যস্ততা সময়কে পার করে দেয় চোখের পলকে। অনেক সময় খেয়ালও থাকে না যেন একই ভঙ্গিতে কয়েক ঘণ্টা বসে কাজ করা হয়েছে। এতে করে মাসলের ওপর চাপ তৈরি হয় এবং মাসল স্ট্রেইনিং হয়। যা থেকে পেশিতে চিনচিনে ও সুঁই বেঁধার মতো অনুভূতি দেখা দেয়। তাই কাজের ফাঁকে শরীরকে ঝরঝরে রাখতে কিছুক্ষণ পরপর হাঁটাচলা করতে হবে। পাশাপাশি হাত ওপরের দিকে টানটান করে রেখে স্ট্রেচিং করতে হবে। একই সঙ্গে পিঠ বাঁকিয়ে পেছনের দিকে নিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে সামনের দিকে ঝুঁকতে হবে। এতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হবে এবং মাসল স্ট্রেইনের সমস্যা দেখা দেবে না।

সময় মতো খাওয়াদাওয়া করুন

বাসায় বসে অফিসের কাজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে খাওয়ার সময়ে। বাসাতেই আছি, খেয়ে নেব একটা সময়ে- এই মনোভাব থেকে সকালের নাশতা দুপুরে ও দুপুরের খাবার বিকালে খান অনেকেই। খাওয়ার এই অনিয়মে আপনার শরীর কিন্তু অভ্যস্ত নয়। তাই হুট করে খাওয়ার সময়ের এই পরিবর্তন শরীরের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। কাজেই কাজ ও ব্যস্ততার সঙ্গেই সঠিক সময়ে খাবারের কাজটি সেরে নিতে হবে। নাহলে ক্লান্তিভাব, পেটের সমস্যা, ক্ষুধামন্দসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু করতে পারে।

আরও পড়ুন : সাবধান! স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর আগুনের কাছে গেলেই বিপদ

কাজের জিনিসগুলো রাখুন নির্দিষ্ট স্থানে

চেয়ার-টেবিলে প্রতিদিনের কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখুন, যেন কাজ শুরু করার পর হাতের কাছেই সবকিছু পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় ফাইল, ডায়েরি, কলম, ক্যালকুলেটর, মার্কার, নোটপ্যাড প্রভৃতি যেন কাজের সময় চট করে পাওয়া যায়- এমনভাবে রাখতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে ওইসব ছোটখাটো জিনিস খোঁজাখুঁজি করা মানসিক চাপ তৈরি করে।

ওডি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড