• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ব্রেস্ট বায়োপসি : যে তথ্যগুলো আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন!

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:০৯
স্তন বায়োপসি
ছবি : প্রতীকী

স্তনে খানিকটা অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে বা বাড়তি মাংসপিণ্ড ধরা পড়লেই বেশিরভাগ নারী চিন্তিত হয়ে পড়েন। বাস্তবে, স্তনের এমন সমস্যার ফলাফল যে ক্যানসার হবে তা নয়। বেশিরভাগ স্তনের বাড়তি মাংসপিণ্ড বা টিউমারই পরবর্তীতে ক্যানসারে পরিণত হয় না। আর এজন্যই প্রয়োজন পড়ে স্তনের বায়োপসি করার। চলুন, স্তনের এমন সমস্যা সংক্রান্ত বায়োপসি ও এর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-

আমার চিকিৎসক কেন স্তনের বায়োপসি করতে চাইছেন?

চিকিৎসকেরা আপনার স্তনের বায়োপসি নানারকম কারণেই করতে পারেন। ম্যামোগ্রামস বা আলট্রাসাউন্ডের মতো ব্যাপারগুলোর মাধ্যমেই চিকিৎসক আপনার স্তনের যে বাড়তি মাংসপিণ্ড রয়েছে সেটা ক্যানসার হওয়ার মতো না নয়, সেটা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেন। আপনার স্তনের যদি-

রক্ত পড়তে দেখা যায় রং বদলে যায় ব্যথা বোধ হয় বা বাড়তি মাংসপিণ্ড জন্ম নেয়

সেক্ষেত্রে দেরি না করে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। এক্ষেত্রে, ভালোভাবে ব্যাপারটি বোঝার জন্য চিকিৎসক ব্রেস্ট বায়োপসি করতে পারেন।

বায়োপসির জন্য সাধারণ প্রস্তুতি-

আর দশটা সাধারণ বায়োপসির মতোই স্তনের বায়োপসির ক্ষেত্রেও চিকিৎসক আপনাকে কিছু নির্দেশনা দেবেন। সেগুলো মেনে চলুন। নির্দিষ্ট কোনো অসুখ বা মেডিকেশনে থাকলে সেটা নিয়ে নির্দেশনা থাকতে পারে। এছাড়া, বায়োপসির পর আপনার সাথে থাকার জন্য কোনো বন্ধু বা সহযোগীকে রাখুন।

স্তনের বায়োপসি কত রকম?

আপনার স্তনের সমস্যার ওপরে ভিত্তি করে নানারকম বায়োপসি করার প্রয়োজন হতে পারে। এক্ষেত্রে বায়োপসি করার পরই আপনি বাসায় ফিরে যেতে পারবেন। স্তনের বায়োপসিগুলো হলো-

১। ফাইন নিডল অ্যাসপিরেশন বায়োপসি-

আপনার স্তনের কোনো নির্দিষ্ট স্থানে বাড়তি মাংসপিণ্ড বা ফোলাভাব দেখা দিলে চিকিৎসকেরা সাধারণ অ্যানেস্থেশিয়া ব্যবহার করে, একটি সুচের মাধ্যমে পরীক্ষা করার জন্য ভেতরের কিছু অংশ নিতে পারেন। এতে করে সহজেই বোঝা সম্ভব হয় যে, আপনার বুকের এই বাড়তি মাংসপিণ্ডের স্থানটি আসলে কতটা ক্ষতিকারক।

কোর নিডল বায়োপসি-

এক্ষেত্রে ফোলা অংশের অবস্থান ঠিক করে সেখান থেকে টিস্যু নিয়ে আসা হয় বড় একটি সুচের মাধ্যমে।

ভ্যাকুয়াম অ্যাসিস্টেড নিডল বায়োপসি-

এই বায়োপসি সবচাইতে কার্যকরী ফলাফল প্রদান করে। এক্ষেত্রে, খুব অল্প ছিদ্রের মাধ্যমে অনেকটা অংশকে বের করে আনা যায় এবং ভালোভাবে পরীক্ষা করা যায়। অনেক সময়, এই প্রক্রিয়াটিকে আরও কার্যকরী করতে ম্যামোগ্রাম এবং এমআরআই ব্যবহার করা হয়।

২। সার্জিকাল বায়োপসি-

জেনারেল অ্যানেস্থেশিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে এই বায়োপসি চালানো হয়। এটি অনেক বেশি কার্যকরী এবং চিকিৎসক কোনোভাবে আপনার সমস্যার কারণ ক্যানসারের দিকে মোড় নিতে পারে ভাবলে এই বায়োপসি করতে পারেন।

এক্ষেত্রে, রোগী একদিনের মধ্যেই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন। তবে, কিছুটা ব্যথা ৪-৫ দিন থাকতে পারে। সাধারণত, অন্যান্য প্রক্রিয়ার চাইতে এই প্রক্রিয়াই সবচাইতে কম ঝুঁকিপূর্ণ। তবে, এর ফলে তৈরি হওয়া অস্বস্তি আরও অনেকদিন ধরে চলতে পারে।

প্রথমে এই টিস্যু ল্যাবে যাবে। এরপর পরীক্ষার মাধ্যমে ফলাফল জানা গেলে সেই অনুসারে চিকিৎসক আপনার চিকিৎসা প্রদান করবেন। যদি নন-ক্যানসারাস কিছু হয়, সেক্ষেত্রে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। কিছুদিন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চললেই সুস্থ হয়ে যাবেন আপনি। আর ক্যানসার হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন।

বর্তমানে, স্তন ক্যানসার খুব একটা ভয়াবহ কিছু নয়। তাই, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। ব্যাপারটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই একেবারেই দেরি না করে চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।

সূত্র- মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটাল।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড