অধিকার ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপ–প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুর্নীতি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ স্ট্যাটাসটি দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর উপ–প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের স্ট্যাটাসটি অধিকার নিউজের পাঠকদের উদ্দেশে হুবহু তুলে ধরা হলো-
খোকন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কমবেশি দুর্নীতি সব দেশেই আছে। দুর্নীতির প্রতিকার হয় কিনা সেটাই মুখ্য বিষয়। কিছু দুর্নীতি তৃণমূল লেভেলে হয়, কিছু দুর্নীতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহলে হয়। আমাদের দেশেও সিমেন্স কেলেঙ্কারি, নাইকো কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রমাণিত এবং সবার জানা । ইদানিং শুনছি বালিশ এবং হাসপাতালের পর্দা কেলেঙ্কারির কথা।
তবে দুর্নীতির এই বিষয়গুলোর মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। যেমন সিমেন্স কেলেঙ্কারিতে তারেক রহমান- কোকো রহমানদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সিঙ্গাপুর- যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ইতিমধ্যে প্রমাণিত। দুর্নীতি প্রমান করতে এফবিআইকেও সম্পৃক্ত হতে হয়েছিল। নাইকোর কেলেঙ্কারিতে বেগম জিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কানাডার আদালত। সেখানে আপিল করেও তারা হেরেছেন।
আর বালিশ কিংবা পর্দা কেলেঙ্কারির বিষয়টি সংগঠিত হবার অপচেষ্টা হয়েছে নিচের দিকে অর্থাৎ প্রশাসনিক কর্মকর্তা লেভেলে। যখন শেখ হাসিনা সরকারের মন্ত্রী ও সচিবদের কাছে বিষয়টি ধরা খেয়েছে তখনই তারা আটকে দিয়েছেন। তারা দুর্নীতি সংঘঠিত হতে দেননি। তারা চেয়েছেন বলেই জাতি এটা জানতে পেরেছেন। মন্ত্রী-সচিবরা দুর্নীতিবাজ হলেই ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চুপ থাকতে পারতেন।
যদি মন্ত্রী- সচিবরা না চাইতেন তাহলে দেশবাসী তা জানতেও পারতো না, সিমেন্স- নাইকো কেলেঙ্কারির মতো বিদেশের আদালতে গিয়ে দুর্নীতি খুঁজতে হতো। আর এখন দেশের মাটিতেই তা ধরা পরছে।
দুর্নীতিবাজদের ধরা পরার বিষয়টিই প্রমান করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের যে জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছে।’
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড