আলেয়া আক্তার আঁখি
‘পাহাড় ভ্রমণ’- নাম শুনলেই ভয়ে হাত-পা কেঁপে ওঠে অনেকের। আর তা যদি হয় বাইক নিয়ে তো কথাই নেই! তবে সাজিব হোসেনের কাছে এই ব্যাপারটি বেশ আনন্দের। আর তাইতো বাইকে চড়ে দিব্যি দাপিয়ে বেড়ান সাজেক ভ্যালি, খাগড়াছড়ির মতো জায়গা। এ যেন এক বিস্ময়!
"সাভার বাইক রাইডারস" নামক একটি সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকা সাজিবের সঙ্গে কথা হয় তার ভ্রমণ এবং সে বিষয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে-
আলেয়া আক্তার আঁখি : জনাব সাজিব হোসেন শুভ, কেমন আছেন আপনি?
সাজিব : জ্বি ভালো আছি এবং সর্বদাই নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করছি। আপনি কেমন আছেন?
আঁখি : আমিও ভালো আছি। নিজেকে কিভাবে ভালো রাখার চেষ্টা করেন আপনি?
সাজিব : ব্যস্ত এ জীবনে বিষণ্ণতা আসবেই। আর একে কাটাতে পারলেই নিজেকে ভালো রাখা যায়।এ বিষণ্ণতা কাটানোর উপায় হিসেবে আমি ভ্রমণকেই বেছে নিই।
আঁখি : বর্তমানে আপনি কোন পেশায় আছেন?
সাজিব : বর্তমানে একটি প্রাইভেট ব্যাংকে কর্মরত আছি।
আঁখি : আমি যতদূর জানতে পেরেছি আপনি নাকি আপনার বন্ধুদের সাথে বাইকে করে দূরদূরান্তে ভ্রমণ করেছেন?
সাজিব : জ্বী, আপনি ঠিক শুনেছেন। "সাভার বাইক রাইডারস" নামক একটি বাইক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি। তারা প্রতি বছর বাইক নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করে থাকে।
আঁখি : কোথায় কোথায় গিয়েছেন এবং কিভাবে যদি বলতেন।
সাজিব : ঢাকার আশেপাশে বহুবার ঘুরতে যাওয়া হয়েছে, তবে ঢাকার বাহিরে গিয়েছি কুয়াকাটা, সাজেক ভ্যালি, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার...তবে এখন এভাবে যাওয়ার মতো সময় বের করতে পারি না। যদিও সংঘটি প্রতি বছরই কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আঁখি : এটাতো ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ, অনুপ্রেরণা পেলেন কিভাবে?
সাজিব : বাইক ও ঘুরার প্রতি সব সময়ই একটা ভালোলাগা কাজ করে, দুটোই খুব পছন্দের। অনুপ্রেরণাটা আসলে সেখান থেকেই। আর ঝুঁকির কথা বলতে গেলে যেটা হচ্ছে আমরা সব সময় চালকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি যেমন- অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র চালক না হলে নেওয়া হয় না, বাইকের ভালো কন্ডিশন, সেফটি গার্ডস, জ্যাকেট, চলাচলের নিয়ম কানুন ইত্যাদি বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়ে থাকি।
আঁখি : এই ভ্রমণে আপনাদের অর্জন ছিল কী কী?
সাজিব : একজন ভ্রমণ পিপাসু হিসেবে আমার ভ্রমণে কাটানো মুহূর্ত আর সেই সময়টাকেই আমি আমার অর্জন বলব।
আঁখি : সবার নিকটে ভ্রমণই আনন্দদায়ক। আপনার কাছে ভ্রমণ কি শুধুই আনন্দদায়ক? আপনার কাছে কোন ভ্রমণ আনন্দদায়ক?
সাজিব : অবশ্যই ভ্রমণ আনন্দদায়ক তবে আমার কাছে প্রতিটি ভ্রমণ এক নতুন অভিজ্ঞতা। বাইক ভ্রমণটা বেশি আনন্দদায়ক সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না তবে নৌকা ভ্রমণও বেশ উপভোগ করি আমি।
আঁখি : পাহাড়ে ভ্রমণ ভালো লাগে নাকি সমুদ্রে?
সাজিব : সমুদ্রের বিশালতা আর পাহাড়ের উচ্চতা সব সময়ই আমার মন কেড়েছে সমানভাবে। পাহাড় আর নদী দুটোর প্রতিই দুর্বলতা কাজ করে।
আঁখি : বর্তমানে কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা আছে কি?
সাজিব : এখন তো আর সেভাবে সময় দিতে পারি না তবে সময় পেলে এবার দার্জিলিং এবং সিকিমের দিকে যাওয়ার ইচ্ছে আছে, প্রস্তুতি অনেকটাই শেষ।
আঁখি : তখন তো ছাত্র ছিলেন। এখন পাশাপাশি চাকরিও করছেন। এটা আপনার ভ্রমণের জন্য কি সহায়ক নাকি বিঘ্ন ঘটাবে?
সাজিব : বিঘ্ন বলতে আগের মতো সময় মেলাতে পারি না। আবার যেহেতু চাকরি কিছুটা অর্থের জোগান দিচ্ছে সেক্ষেত্রে সহায়ক বলা যায়।
আঁখি : একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষে কাছে ভ্রমণ আসলে কী? আপনি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
সাজিব : আমার মতে একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে ভ্রমণ আত্মতৃপ্তির জোগান দেয়।
আঁখি : বর্তমান প্রজন্ম ঘরে বসেই তাদের সময়ের সমাপ্তি দিচ্ছে। যদি তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতেন।
সাজিব : কিছু অভ্যাস বাবা মাকেই গড়ে তুলতে হয় ছোটবেলা থেকে। ভ্রমণ শুধুই আনন্দ দেয় না বরং জ্ঞানের পরিধিও বৃদ্ধি করে। তাদের মাঝে ভ্রমণের আগ্রহটা বৃদ্ধি করা উচিত।
আঁখি : ভ্রমণ নিয়ে দারুণ সব অভিজ্ঞতা আমাদের জানানোর জন্য এবং সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার ভ্রমণ আনন্দদায়ক হোক। শুভকামনা।
সাজিব : আপনাকেও ধন্যবাদ।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড