• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ

  দিনাজপুর প্রতিনিধি

০১ জুন ২০১৯, ১১:৩৯
দিনাজপুর
পুকুরে চাষ করা মাছ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দিনাজপুর জেলার খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্তের জেলা হিসাবে পরিচিতি থাকলেও সেখানে বাৎসরিক মাছের ঘাটতি রয়েছে ১০ হাজার মেট্রিক টন। আর বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ। মাছের ঘাটতি পূরণ ও দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় নেই কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ। তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার দাবি আগামী ৩ বছরে মধ্যে পূরণ হবে মাছের ঘাটতি।

জেলায় ৫৩ হাজার ৮৭৫ টি পুকুর ও ডোবা, ১৩টি নদী, ৫৮টি বিল, ৫শত ৩৩টি প্লাবন ভূমি মিলে মোট মাছ চাষের উপযোগী এলাকার পরিমাণ ৩৭ হাজার ৩৭০ হেক্টর। একজন মানুষের প্রতিদিন ৬০ গ্রাম মাছের চাহিদা অনুযায়ী এই জেলায় বছরে মাছের চাহিদা ৬৫ হাজার মেট্রিক টন, যার বিপরীতে এখানে মাছ উৎপাদিত হয় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন। এ হিসেবে এখানে বছরে মাছের ঘাটতি ১০ হাজার মেট্রিক টন। এই ঘারতি পূরনে নেই কোন দৃশ্যমান উদ্যোগ। দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় ১৩টি অভয়াশ্রম তৈরি করা হলে মাছের বাজারে এর নেই কোন প্রভাব।

মাছ চাষি মোজাম্মেল হক জানান, আমরা পুরাতন পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে আসছি। এর ফলে কাঙ্ক্ষিত মাছ উৎপাদনে ব্যর্থ হচ্ছি। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ আর্থিক সহায়তার দাবি জানান।

বাজারে মাছ কিনতে আসা আব্দুস সবুর জানান, বাজারে হাইব্রিড মাছে সরবরাহ বেশি। দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া গেলেও দাম অনেক চড়া। সরকারকে দেশীয় মাছ রক্ষায় যথাযথা পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

আড়ৎদাররা জানালেন, বাজারে দেশী মাছের সরবরাহ কম, বিদেশী মাছের সরবরাহ বেশি। বেশি দাম দিয়ে অধিকাংশ মানুষ দেশী মাছ কিনতে পারে না। তারা বিদেশী মাছ আমদানি কম করে দেশী মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য দাবি জানান।

জেলা মৎস্য জরীপ কর্মকর্তা মো। ফয়জার রহমান বলেন, এ জেলায় অধিকাংশ নদ-নদীতে পানি না থাকার কারণে মাছের আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে গেছে। এ কারনে দেশী অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যা রক্ষায় আমরা মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টির মাধ্যমে দেশী মাছ রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এদিকে জেলা মৎস্য অফিসার শাহ ইমাম জাফর সাদেক জানান, জেলার চাহিদা অনুযায়ী মাছের ঘাটতি ১০ হাজার মেট্রিক টন। জেলায় মাছের উৎপাদন রেট ৫ শতাংশের অনেক কম, যা বাড়াতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সকল মাছ চাষিকে মাছ উৎপাদন হার বাড়াতে পাড়লে আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে দিনাজপুরের মাছের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

মাছে-ভাতে বাঙ্গালী এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে দেশীয় মাছ উৎপাদন বাড়ানো বিকল্প নেই এমন মতামত বিশেষজ্ঞদের।

ওডি/এমবি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড