• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিশু অনিকের বাঁচার আকুতি

  আব্দুর রউফ রুবেল, গাজীপুর

১২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০৯
গাজীপুর
অসুস্থ শিশু অনিক (ছবি : দৈনিক অধিকার)

যে বয়সে হৈ হুল্লোড় করে সময় কাটানোর কথা শিশু অনিকের, সেই বয়সে অসুস্থ শরীর নিয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে শিশু অনিক। সারাক্ষণ অসুস্থ শরীর নিয়ে শুয়ে বসে এবং হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে শিশু অনিকের।

ছয় বছর আগেও সুখ দুঃখ মিলিয়ে দুই মেয়ে এবং এক ছেলেকে নিয়ে ভালোই চলছিল দিনমজুর আনোয়ার হোসেনের সংসার। কিন্তু ছয় বছর আগে একমাত্র ছেলে অনিকের তীব্র সর্দি-জ্বর আসে। প্রথম দিকে সাধারণ ঠান্ডা জ্বর মনে হলেও কিছুদিন পর বুঝতে পারা যায় এটা শুধু সাধারণ ঠান্ডা জ্বর না। একমাত্র ছেলের অসুখ সাড়াতে নিয়ে যায় শিশু হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায় তার দুটি কিডনিই ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ এই সংবাদে আকাশ ভেঙে পড়ে দিনমজুর আনোয়ারের মাথায়। একমাত্র ছেলেকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে নিজের সহায় সম্বল যাই ছিলো সব শেষ করে দিয়েছেন অনেক আগেই। এখন শুধু তার চোখ মুখে মাত্র ছেলেকে বাচানোর হাহাকার। একমাত্র ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে অসুস্থ শিশু অনিক।

কিডনি রোগে আক্রান্ত মো. অনিক হোসেন (৮) শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের নতুন পটকা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। সে অসুস্থ শরীর নিয়ে শ্রীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। যদিও অসুস্থতার কারণে সে সবসময় স্কুলে যেতে পারে না।

অনিকের পিতা আনোয়ার হোসেন জানান, আমি নিতান্তই গরীব মানুষ। মানুষের বাড়িতে দিনমজুরিতে কাজ করে সংসার চালাই। আমি যে টাকা উপার্জন করি তাতে অনিকের চিকিৎসার সকল ঔষধ কিনতে পারি না। প্রতি সপ্তাহে অনিকের ৪ হাজার টাকার ঔষধ লাগে। আমার সহায় সম্বল যা ছিলো তা অনিকের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন ঠিক মতো ঔষধ কিনতে পারি না। ডাক্তার বলেছে অনিককে ঠিকমতো চিকিৎসা করালে অনিক আগের মতো সুস্থ হয়ে যাবে। আমার মতো হতদরিদ্র মানুষ এতো টাকা কোথায় পাবো যদি দেশের বিত্তবানরা এগিয়ে আসতো তাহলে হয়ত ওপর ওয়ালার রহমতে আমার ছেলে সুস্থ হয়ে যেত। দেশবাসীর কাছে আকুল আবেদন আপনারা আমার ছেলেকে একটু সহযোগিতা করুন, আমার ছেলেকে আপনারা বাঁচান।

অসুস্থ অনিক হোসেন জানায়, আমি সবার মতো প্রতিদিন স্কুলে যেতে চাই। আমি আমার সহপাঠীদের সাথে খেলাধুলা করতে চাই। আমি বাচঁতে চাই, পৃথিবীকে দেখতে চাই। আপনারা আমাকে একটু সাহায্য করুন,আপনাদের সাহায্য নিয়ে আমি পৃথিবীতে বাঁচতে চাই।

শিশু অনিককে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা।

নতুন পটকা, গোসিংগা, শ্রীপুর, গাজীপুর।

অনিকের বাবার বিকাশ নম্বর : ০১৩২০৮৩৯৫৭৯ ( personal)

ওডি/এফই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড