• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনায় সেবার নামে প্রভাব বিস্তার, ভুয়া পরীক্ষার সনদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ জুন ২০২০, ২০:১৬
জেকেজে হেলথ কেয়ার
ছবি : সম্পাদিত

করোনা মহামারিতে দেশেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। আক্রান্ত অর্ধলক্ষেরও বেশি মানুষ। আর তাই সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু সংস্থাও। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ার। তারা করোনার শুরু থেকেই নানাভাবে মানুষের সহায়তার কথা বলে প্রতারণা করে আসছে। এর মধ্যে তিতুমীর কলেজে ক্যাম্প করে কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও হয়েছে।

বরাবরই মহামারি করোনার দোহাই দিয়ে পার পেয়ে গেলেও এবার আর তা হয়নি। এবার এই কথিত সেবার নামে প্রতারণা চালানো দলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গুরুতর অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে। জানা যায় কথিত এই সেচ্ছাসেবীদের নেই সনদও। তারা নানান ছল চাতুরী করে করোনাভাইরাসের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা ছাড়াই সনদ দিয়ে আসছিল।

পুলিশ বলছে, অন্তত ৩৭ জনকে ভুয়া ফল দেওয়ার বিষয়টি তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য পাঁচটি ল্যাপটপ, দুটি ডেস্কটপ এবং করোনার নমুনা সংগ্রহের তিন হাজার কিট জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) বিকেলে গুলশানের এই প্রতিষ্ঠানের অভিযান চালিয়ে জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল চৌধুরী এবং তার দুই কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ খান।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপে করোনাভাইরাস পরীক্ষার বিপুল পরিমাণ সার্টিফিকেটের কপি পাওয়া গেছে, যেগুলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইইডিসিআরের মতো প্রতিষ্ঠানের প্যাডে করা। এগুলো ভুয়া।’

তেজগাঁও থানা পুলিশের একটি দল সোমবার রাতে আশকোনা থেকে হুমায়ুন কবীর ও তানজিনা পাটোয়ারী নামের এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ কর্মকর্তা মাহমুদ বলেন, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছে করোনাভাইরাসের বেশ কিছু ভুয়া সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়। তারা নিজেরাই এসব সার্টিফিকেট তৈরি করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, তারা জেকেজির স্বাস্থ্যকর্মী ছিল। সেখান থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট বানানো শিখেছে।

এরপর মঙ্গলবার ওই অফিস থেকে চারটি ল্যাপটপ, দুটি ডেক্সটপ, করোনাভাইরাস পরীক্ষার নমুনা নেওয়ার বিপুল সংখ্যক স্টিকও জব্দ করে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেকেজি হেলথ কেয়ার করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ শুরুর পর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে তাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের রাখার সুযোগ পেয়েছিল।

সম্প্রতি ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে তিতুমীরের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি পেয়ে তারা কলেজের নির্মাণাধীন নতুন ভবন ছাড়াও অডিটোরিয়াম এবং আরেকটি ভবন জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্মীদের থাকতে দিয়েছেন।

সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদ বলেন, ‘তারা (জেকেজি) নামমাত্র নমুনা সংগ্রহ করে কোথাও কোনও টেস্ট না করিয়ে নিজেরাই নেগেটিভ-পজিটিভ প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। এজন্য প্রবাসীদের জন্য ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা এবং অন্যদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকে।’

বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে এখন করোনাভাইরাস ‘নেগেটিভ’ সনদ থাকা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। এছাড়া অন্য রোগীদের ভর্তির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ চাইছে।

এদিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদের জেকেজির স্বাস্থ্যকর্মীরা সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

সহকারী কমিশনার মাহমুদ বলেন, ‘আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি। কোনও জমায়েত করতে দিইনি।’

জেকেজি হেলথ কেয়ারের অন্যতম কর্ণধার হিসেবে আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা খাতুনের নাম এলেও তিনি দাবি করছেন, এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত দুই মাস ধরে তার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ‘আমাকে জড়িত করা হবে কেনো? আমি তো অনেকদিন ধরেই এর সঙ্গে নেই।’

তিতুমীর কলেজের হামলার সময় তিনি সেখানে ছিলেন কিন্তু দুইমাস ধরে নেই কেন দাবি করছেন, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিতুমীরের ঘটনার পর থেকে আমি আর এর সঙ্গে নেই। আমার স্বামী এর অন্যতম কর্ণধার হলেও আমি এর সঙ্গে নেই। আমি যে এর সঙ্গে নেই সেটা আমি সংশ্লিষ্ট অনেকেই জানেন। আমি অনেককে এটা জানিয়ে রেখেছি। আমি দুইমাস ধরে আমার বাবার বাসায় অবস্থান করছি। আমি আসলে দুইমাস ধরেই নাই। কিন্তু তিতুমীরে যখন ঘটনাটা ঘটে আমি সেখানে যাই। কারণ এই স্বাস্থ্যকর্মীদের আমি ট্রেনিং দিয়েছিলাম। তাই তাদের সঙ্গে একটা ঘটনা শুনতে পেরে আমি ছুটে গিয়েছিলাম। কিন্তু তখনও আমি আমার বাবার বাসায় ছিলাম।’

জাল সনদের বিষয়ে কিছু জানেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে সেবা দিতাম। স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ শেখানো বা পড়া বা প্লান করে যে, কী করবো- স্যারদের সঙ্গে আলোচনা করা কীভাবে কী করবো- এগুলো আমি করতাম। ওদের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। কাগজ কলমে আমি কোথাও নেই। কোনও মালিকানাতেও আমি নেই। কিছুতেই আমি নেই। আমি এমনি খাটতাম। কিন্তু এটা দুঃখজনক। আমার মনে হয় না কেউ এতো খারাপ কাজ করতে পারে।’

এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ৩ জুন (বুধবার) নিজেকে জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের আহ্বায়ক দাবি করে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তিতুমীর কলেজে আমরা একটা ক্যাম্প চালিয়ে আসছি এবং ট্রেনিং সেন্টার গত দুইমাস ধরে। কোভিড-১৯ রোগীদের যারা স্যাম্পল সংগ্রহ করে আমরা তাদের ট্রেনিং দিয়ে থাকি। এখানে আমাদের প্রায় ১৭৫ জনের মতো স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করেন। এখন এখানকার যারা বসবাস করেন (তিতুমীরের) ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা তারা সব সময়ই একটু ঝামেলা করতো। তারা চাইতো না যে, এখানে ক্যাম্প থাকুক। কারণ তাদের আক্রান্ত হওয়ার ভয় ছিলো। তাই তারা নানাভাবে মেয়েদেরকে ইভটিজিং করতো। তারপর নামাজ পড়তে যেতে দিতো না, মাঝে মাঝে পানির লাইন বন্ধ করে দিতো। এরকম সমস্যা চালিয়ে আসছিলো, আমরা অধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। উনি বলতেন যে, ব্যাপারটা দেখি।

সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

তিতুমীর কলেজের কর্মীদের পর জোবাদা খাতুন হেলথ কেয়ারের কর্মীরা হামলা চালানোর পর সে ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে গত ২ জুন দুই সংবাদকর্মীর ওপর হামলা চালায় জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মীরা। আহত সংবাদকর্মীরা সে সময় জানান, প্রথমে আমরা তিতুমীর কলেজ কর্মচারীদের কাছে বিস্তারিত জেনে অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জোবেদা খাতুন হেলথ কেয়ারের স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে যাই। এ সময় তারা বরকত মিলনায়তনে থাকেন শুনে আমরা ডাকাডাকি করে কারো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ভেতরে ঢুকি। এ সময় হঠাৎই প্রায় ৫০ জনের মতো লোক এসে আমাদের ধাক্কা এবং কিল ঘুষি দিতে থাকে। তাদেরকে সংবাদকর্মী পরিচয় দিলেও তারা বলেন, ‘তোরা কিসের সাংবাদিক, তোদের আসতে বলছে কে, দেইখা নিমু। সবাইকে পিটামু।’

সে সময় এ বিষয়ে সাবরিনা আরিফ বলেছিলেন, ‘তারা (সংবাদকর্মীরা) আমাদের জানিয়ে যাননি। তাই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এছাড়া কেউ যদি সংবাদ সংগ্রহ করতে যান তাহলে আমাদের জানিয়ে যাবে। হঠাৎ করেই যাবে না। আমাকে বলে যদি কেউ দশবারও আসে তাতে সমস্যা নেই। না বলে তো কেউ হুটহাট করে ঢুকে যেতে পারে না। ওখানে মেয়েরা থাকে।’

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ

রাজধানী মিরপুরের এক ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণমাধ্যমকে জানান, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। তার বৃদ্ধ মায়ের পর সহধর্মিণীরও জ্বর আসে। একইসঙ্গে ঘ্রাণশক্তি লোপ পায়। নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের আশঙ্কায় তিনি নমুনা পরীক্ষা করাতে চান। বৃদ্ধ মা’কে নিয়ে বুথে যাওয়া সম্ভব হবে না বলে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করানোর বিষয়ে খোঁজখবর করেন। জানতে পারেন, জোবেদা খাতুন সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা (জেকেজি হেলথ কেয়ার) নামের একটি সংগঠন সরকারের অনুমতি নিয়ে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।

পারভেজ যোগাযোগ করে জেকেজি হেলথ কেয়ারের সঙ্গে। গত ৭ জুন তাদের পক্ষ থেকে পারভেজের বাসায় নমুনা সংগ্রহের জন্য লোক যায়। দু’জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১০ হাজার টাকা বিল নেন তারা। তবে এর জন্য কোনও রশিদ দেননি। তারা জানান, তাদের ওয়েবসাইটে তিন দিনের মধ্যে ফল দেওয়া হবে। এসএমএস দিয়েও সিরিয়াল নম্বর ও কিট নম্বর জানিয়ে ফল জানার জন্য ওয়েবসাইটের ঠিকানা দেওয়া হয় সেই এসএমএসে। তবে তিন দিন নয়, পরীক্ষার ফল পাওয়া যায় ১৫ জুন। তারা দু’জনই পজিটিভ আসেন। তবে ফল পাওয়ার আগেই পারভেজ আহমেদের মা প্রায় সুস্থ, স্ত্রীও সুস্থও হয়ে উঠছেন।

পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘জেকেজি তো সরকারের অনুমতি নিয়ে বুথে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে থাকে। কিন্তু তাও যখন তারা বাসায় এসে নমুনা নেবেন বলে জানায়, কিছুটা অবাক হয়েছি। ভেবেছিলাম বিনামূল্যেই পরীক্ষা হবে। পরে টাকা চাইলেও পরীক্ষা করানো দরকার বলে সেটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করিনি। কিন্তু রিপোর্ট পেতে এত সময় লাগলে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। যদি এই সময়ের মধ্যে আম্মা বা আমার স্ত্রীকে যদি হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হতো, তাহলে কী করতাম?’

আরও পড়ুন : ডাক্তার-রোগীর সেতুবন্ধনে আস্থা অর্জন করেছে অ্যাক্রো মেডিকেল

কেবল পারভেজ নয়, এমন আরও কয়েকজন একই ধরনের অভিযোগ করেন। কেউ কেউ জানান, পরীক্ষার ফল জানার জন্যও তাদের কাছ থেকে বিকাশে ৫০০ টাকা করে চাওয়া হয়েছে!

বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে জেকেজি ৪৪ বুথ

আইইডিসিআরের অনুমতি সাপেক্ষে জেকেজি বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের জন্য ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক ছয়টি স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেছিল। এসব এলাকা থেকে প্রতিদিন ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করত জেকেজি। শর্ত ছিল, সরকার–নির্ধারিত করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠাতে হবে। জেকেজি হেলথ কেয়ার, ওভাল গ্রুপের একটি অঙ্গসংগঠন।

তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিনামূল্যে কার্যক্রম শুরু করলেও একপর্যায়ে জেকেজি অর্থের সংকুলান করতে পারছিল না। তখন তারা বুকিং বিডি ও হেলথ কেয়ার নামে আরও দুটি প্ল্যাটফর্ম চালু করে। এ দুটি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অর্থের বিনিময়ে বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে তারা।

মাহমুদ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হুমায়ুন ও তানজীনা বলেছেন, সংগ্রহীত নমুনা তাঁরা ফেলে দিতেন। এরপর নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী আইইডিসিআরের প্যাডে ফল লিখে তা মেইল করে পাঠিয়ে দিতেন।

আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত তারা ৩৭ জনের করোনা নমুনা সংগ্রহ করে মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছেন। বাসায় গিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে জনপ্রতি ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা তারা নিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড