কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের নার্স হাজেরা খাতুনের মৃত্যুতে ডা. অমিত কুমার বসুর বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জানা যায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় ওই নার্স মারা যান।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাসপাতালের সামনে তিন দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের নার্সরা।
ঘণ্টা ব্যাপী মানববন্ধনে বক্তারা চিকিৎসকের অবহেলার কারণে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার নিশ্চিত করার পূর্ব পর্যন্ত ডা. অমিত কুমারকে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করতে হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সুষ্ঠু তদন্ত সম্পন্ন পূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে এবং চিকিৎসাধীন একজন নার্স সহকর্মী গত তিনদিন যাবৎ মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণ জানাতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নার্সিং সুপারভাইজার আম্বিয়া পারভীন, সিনিয়র স্টাফ নার্স তিন্নি, দুলালী, মাসুদ রানা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে লেবার ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা খাতুনের সিজার করেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অমিত কুমার বসু। সিজারে ছেলে সন্তান জন্মলাভ করে। কিন্তু প্রসূতির সিজারিয়ান সেকশনে ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় এবং ইউরিন পাস না করায় ওইদিন বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে চিকিৎসক অমিত কুমার বসু তাকে দ্বিতীয়বার অপারেশন করেন। এরপরও ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় রাত দেড়টায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রংপুরে তাকে গাইনী ওয়ার্ডে না রেখে মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতালে বিক্ষুব্ধ নার্সরা ওইদিন চিকিৎসক ডা. অমিত কুমার বসুকে অভিযুক্ত করে তার অপসারণ এবং নবজাতকের ভরণ পোষণের দাবিতে স্লোগান দেয়। দ্বিতীয় দিনে তারা তিন দফা দাবি পেশ করেন।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড