আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে নিজের দেশকে অন্যতম শক্তিশালী ভাবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এ ক্ষেত্রে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন তিনি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সোমবার একটি বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করে যেখানে তুরস্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। ওই প্রতিবেদনে নিজেদের মর্যাদা আরও বাড়ানোর জন্য তুরস্কের পারমাণবিক শক্তির অধিকারী হতে চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
গত মাসে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেন, কিছু দেশের পারমাণবিক শক্তির ক্ষেপণাস্ত্র আছে। তাও একটি-দুটি নয়। কিন্তু আমাদের এগুলো থাকতে পারবে না- এই নিয়ম আমি মানতে পারব না।
ইসরায়েলের প্রসঙ্গ তোলে তিনি বলেন, আমাদের পাশেই ইসরায়েল, একবারে প্রতিবেশীর মতো। তারা বিভিন্নভাবে অন্যদের ভয় দেখায়, কিন্তু তাদের কেউ কিছু বলারও সাহস পায় না। কারণ, তারা পারমাণবিক শক্তির অধিকারী।
এই প্রথম রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এর মাধ্যমে তিনি হয়তো বুঝাতে চেয়েছেন, সৌদি আরব কিংবা ইরান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হলে তুরস্কও বসে থাকবে না। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই হয়তো পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প শুরু করবেন তিনি।
গত বছর সৌদি আরবের ক্ষমতাসীন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, আমরা কোনো পারমাণবিক বোমা চাই না। কিন্তু ইরান যদি এমন বোমা তৈরি করে তাহলে যত দ্রুত সম্ভব আমরাও সেটি করব, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
সৌদি এবং ইরান পারমাণবিক বোমা বানালে তুরস্কও পিছিয়ে থাকবে না বলে স্পষ্ট করেছেন এরদোগান। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর পক্ষ থেকে চাপ আসলেও তিনি পিছিয়ে আসবেন না বলে জানিয়েছেন।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড