আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্কের ব্যাপক সেনা অভিযানের পর এবার যুদ্ধবিরতি চলছে। যদিও এরই মধ্যে অঞ্চলটির মানবিজ এবং কোবানি শহর থেকে সিরীয় কুর্দি বাহিনীকে বিতাড়ন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে তুরস্ক। রবিবার (২০ অক্টোবর) তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান। খবর ‘এএফপির’
তুরস্কের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে রাশিয়ার সোচি শহরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এক জরুরি বৈঠকে মিলিত হবেন। যেখানে তারা সিরিয়ার সীমান্তবর্তী শহরগুলো থেকে সশস্ত্র কুর্দি বাহিনীকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল পন্থা নিয়ে আলোচনা করবেন।’
এর আগে গত ৯ অক্টোবর তুরস্কের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলো থেকে কুর্দি বিদ্রোহীদের উৎখাতের জন্য অভিযান শুরু করে তুর্কি সেনারা। পরবর্তীতে ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় গত ১৭ অক্টোবর মোট ৫ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় আঙ্কারা। যদিও এর পরও বেশ কয়েকবার উভয় পক্ষ পরস্পরের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘটনায় অঞ্চলটিতে তুরস্কের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ইরান ও রাশিয়া। কেননা উভয় দেশই সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সমর্থন করেছে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ায় সৃষ্ট শূন্যস্থান পূরণে এবার দেশদুটি এগিয়ে এসেছে।
এ দিকে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এবার সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছেন প্রেসিডেন্ট আসাদ। যদিও সিরীয় প্রেসিডেন্টের এসব পদক্ষেপে আঙ্কারা কখনোই উদ্বিগ্ন নয় জানিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছিলেন, ‘সীমান্তে সিরীয় সেনা মোতায়েন ইস্যুতে তুরস্কের কোনো সমস্যা নেই। কেননা আমরা তাদের কোনো পরোয়া করি না।’
অপর দিকে রবিবার আঙ্কারায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্তবর্তী এলাকা মানবিজ এবং কোবানি থেকে ওয়াইপিজি সন্ত্রাসীদের বিতাড়ন ইস্যুতে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও পুতিন। আগামী সপ্তাহ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করছি, এর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো যাবে; যা অতীতেও আমরা দেখেছি।’
সংশ্লিষ্টদের মতে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) যোদ্ধাদের অধিকাংশই কুর্দিদের পিপলস প্রটেকশন ইউনিটসের (ওয়াইপিজি) সদস্য। চলমান আইএসবিরোধী মার্কিন অভিযানে এসডিএফ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র রাষ্ট্র ছিল।
আরও পড়ুন :- সিরিয়া থেকে এবার ইরাকের পথে মার্কিন সৈন্যরা
ওয়াইপিজিকে তুরস্ক তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) শাখা হিসেবে বিবেচনা করে। চলতি মাসে তুরস্ক তাদের অভিযান শুরু করলে কুর্দিরা সিরীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড