• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সিরিয়ায় তুর্কি অভিযান আমাদের বিষয় নয়, দাবি ট্রাম্পের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:১৪
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। (ছবিসূত্র : দ্য অ্যাটলান্টিক)

যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় যদি তুর্কি অভিযান পরিচালিত হয় তাহলে সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিষয় না। এমনটাই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুর্দি বাহিনীকে ‘কোনো ফেরেশতা নয়’ বলেও উল্লেখ করেছেন। বুধবার (১৬ অক্টোবর) ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসি নিউজ’ এসব কথা জানায়।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় তুর্কি অভিযান শুরু দেখে দ্রুত অঞ্চলটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘটনায় বর্তমানে এক বড় ধরনের সমালোচনার মুখে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংশ্লিষ্ট অনেকের দাবি, এসব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমে সিরিয়ায় কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করতে তুরস্ককে এক রকম ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

এ দিন হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বর্তমান বিশ্বের কোনো পুলিশি এজেন্ট না। যে সবাইকে একের পর এক নিরাপত্তা দিয়ে যাবে। এবার আমাদের ঘরে ফেরার সময় এসেছে। তাছাড়া শত্রুভূমিতে আমরা কেনই বা আসাদ বাহিনী এবং কুর্দিদের সহায়তা করব। এখন তাদের সঙ্কট তারাই মোচন করুক।’

এর আগে গত সপ্তাহে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা থেকে সিরীয় কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে এক বড় ধরনের সেনা অভিযান শুরু করে তুরস্ক। আঙ্কারার দাবি, নিজ দেশের সীমান্তের সিরীয় অংশে একটি সেফ জোন নির্মাণের জন্যই তারা এই কার্যক্রমটি চালাচ্ছে। যার মাধ্যমে সেখানে প্রায় ২০ লক্ষাধিক শরণার্থীকে পুনর্বাসন করা হবে। যদিও অঞ্চলটি থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ট্রাম্পের ঘোষণাটি দেওয়ার পরপরই তুরস্ক তাদের অভিযান শুরু করে।

এ দিকে কুর্দি নেতৃত্বাধীন সেনারা সিরিয়ায় সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী মার্কিন লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র। অনেকেরই আশঙ্কা, তুরস্কের এই সেনা অভিযানের ফলে অঞ্চলটিতে জঙ্গি গোষ্ঠীটির আবারও উত্থান হতে পারে।

বুধবার হোয়াইট হাউসের সেই সংবাদ সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, ‘তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতি কৌশলগত কারণেই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তবে মার্কিন সেনারা এখন আর সেখানে নেই। আমাদের সব সৈন্যই সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনা করছি যাতে তুরস্ক তাদের সঠিক কাজটি করতে পারে। কেন না আমরাও কোনো যুদ্ধ চাই না।’

সশস্ত্র কুর্দি সেনারা কোনো ফেরেশতা নয় উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারাও (কুর্দি) বিভিন্ন সময় আমাদের সমর্থন জানিয়ে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করেছে। আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য অতীতে আমরাই তাদের অনেক অর্থ দিয়েছি; সবই ঠিক আছে। তখন সেসব লড়াইয়ে তারা বেশ ভালো করে দেখিয়েছে। কিন্তু যখন আমদের সেনারা মাঠে নেমেছিল তখনকার যুদ্ধে কুর্দিরা কেবলই তাদের গাঁ বাঁচিয়ে চলেছে।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এও দাবি করেছিলেন, ‘কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে) সবচেয়ে আমাদের কাছে বড় সন্ত্রাসী হুমকি। যা অতীতেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

অপর দিকে গত বুধবারই মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে তুরস্কে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। যেখানে তারা সিরিয়ার সঙ্গে চলমান সঙ্কট ও সর্বশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন।

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অঞ্চলটিতে সফরের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে এসব মার্কিন কর্মকর্তাদের।

আরও পড়ুন :- তুরস্ককে নিজ ভূখণ্ডের জন্য লড়তে দিন : ট্রাম্প

যেখানে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি এবং এর যথাযথ সমাধানের জন্য আঙ্কারার প্রতি আহ্বান জানাবেন তারা। তাছাড়া সেই আহ্বানে সাড়া না দিলে অব্যাহত নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তুরস্ককে ফের সতর্ক করা হবে বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড