• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইমরানের মধ্যস্থতায় এবার বরফ গলছে সৌদি-ইরানের

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:১০
ইমরান খান ও হাসান রুহানি
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। (ছবিসূত্র : দ্য ডন)

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট নিরসনসহ শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবার আকস্মিক ইরান সফরে রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। উপসাগরীয় অঞ্চলটিতে সৃষ্ট উত্তেজনা কমানোর জন্য ইসলামাবাদের জোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই তার এ সফরটিকে দেখছেন বিশ্লেষকরা।

এবার সম্পূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দুই মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৌদি আরব এবং ইরানের সকল মত-পার্থক্য দূর করতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নয়, বরং এক সহায়তাকারীর ভূমিকা পালনে প্রস্তুত পাকিস্তান। এমনটাই দাবি করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

রবিবার (১৩ অক্টোবর) মাত্র একদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে তেহরানে গিয়েই ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বিশেষ বৈঠকে মিলিত হন তিনি। পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইমরান ইরান সরকারকে এই প্রস্তাবটি দেন।

সাংবাদিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘অতীতেও সৌদি আরব ও ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়েছিল পাকিস্তান। আগামীতেও তাদের পার্থক্য নিরসনে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ এ দেশ দুটিকে ইসলামাবাদে বসানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব আমরা।

পরে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ‘আমি পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বলেছি, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পাকিস্তানের যে কোনো ভালো উদ্যোগকে পূর্বের নেয় স্বাগত জানাবে ইরান। যে কারণে তেহরানে তার এই সফরকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই।’

প্রেসিডেন্ট রুহানি আরও বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যাবত চলমান ইয়েমেন যুদ্ধ এবং ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি ইমরান খান বিষয়টির সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।’

রুহানির এসব কথার জবাবে প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেছেন, ‘বর্তমানে যে সংকটময় এক পরিস্থিতি চলছে তা অত্যন্ত জটিল। তবে আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটের এক চূড়ান্ত সমাধান করা সম্ভব। তাই আমি তেহরান ও রিয়াদ মধ্যকার আলোচনায় কোনো মধ্যস্থতাকারী নয় বরং সহায়তাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে চাই।’

ইমরানের ভাষায়, ‘ইরান এবং সৌদির মধ্যে কখনোই যুদ্ধ হবে না। কেননা পাকিস্তান এই অঞ্চলে কোনোদিন এমন সংঘাত দেখতে চায় না।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘ইরানে আমার এই সফর এবং আগামী মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সৌদি আরবে যে সফর করব; তা পাকিস্তানের জন্য এক বিরাট উদ্যোগ। আমি সম্পূর্ণ ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সৌদি সফরে যেতে চাই। যেখানে পাকিস্তান একটি প্রকৃত সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করবে।’

আরও পড়ুন :- মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ইরান-সৌদি সফরে ইমরান

যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত এই বিষয়টিতে ইচ্ছুক উল্লেখ করে ইমরান খান বলেন, ‘আমি যখন নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলাম, তখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংলাপ আয়োজনে সহয়তার জন্য আমাকে অনুরোধ করেছিলেন। যে কারণে আমরা নিজেদের সাধ্যের সবটুকুই করতে চাই। তাছাড়া আমরা ইরানের ওপর আরোপিত সকল নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও একটি পারমাণবিক চুক্তি যাতে স্বাক্ষরিত হয় সেজন্য চেষ্টা চালাব।’

সূত্র : ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড