• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে ইরান-সৌদি সফরে ইমরান

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৪৫
ইমরান খান
পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। (ছবিসূত্র : খালিজ টাইমস)

মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট নিরসনসহ শান্তি ফিরিয়ে আনতে চলতি মাসেই তেল সমৃদ্ধ ইরান ও সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। অঞ্চলটিতে সৃষ্ট উত্তেজনা কমানোর জন্য ইসলামাবাদের জোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই তিনি এ সফরটি করবেন। এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) পাক পররাষ্ট্র দপ্তরের এক কর্মকর্তা ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’কে বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী তেহরান এবং রিয়াদে সফরে যাবেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তার এই সফরের দিনক্ষণ এখন পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি।

এ দিকে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের উপর সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের চলমান আগ্রাসন অব্যাহত থাকলে রিয়াদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হবে না। তবে আঞ্চলিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা করতে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। সৌদি তাদের আগ্রাসন থামিয়ে আঞ্চলিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে আমরাও সে আহ্বানে সাড়া দেব।’

এর আগে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর পাক প্রধানমন্ত্রী আচমকা সৌদি সফরে যান। যেখানে তাকে রিয়াদ ও তেহরানের মধ্যকার মধ্যস্থতার জন্য প্রত্যক্ষ উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। পাক প্রধানমন্ত্রীকে এমবিএস খ্যাত সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘আমি সবসময়ই যুদ্ধ এড়াতে চাই।’

সম্প্রতি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ৭৪তম সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানি এই নেতার কথা হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান রিয়াদের এই প্রস্তাবকে তেহরানের সরকার প্রধানের কাছে তুলে ধরেছেন।

পাক পররাষ্ট্র দপ্তরের সেই কর্মকর্তা ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’কে আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সমস্যা সমাধানে আলোচনা করতে রিয়াদ এবং তেহরানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ইমরান তার যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।’

অপর দিকে গত শনিবার (৫ অক্টোবর) মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমস’ জানায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের আরামকোর দুটি তেল স্থাপনায় হামলার পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে পুরোপুরি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে রিয়াদ। যার প্রেক্ষিতে সৌদি আরবের সার্বিক তেল উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে আসে। মূলত এরপরই তেহরানের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মধ্যস্থতা করতে পাকিস্তান ও ইরাকের শরণাপন্ন হন বিন সালমান।

রিয়াদের পক্ষ থেকে নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে ইরানের সঙ্গে মধ্যস্থতার বিষয়ে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের শরণাপন্ন হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। যদিও সৌদি যুবরাজ সরাসরি এ অনুরোধটি করেছেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে এবার তা অস্বীকার করেছে রিয়াদ।

যদিও তেহরানের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়, আমাদের দিক থেকে আলোচনার বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। বিষয়টি নিয়ে তেহরানের অবস্থান পুরোপুরি উন্মুক্ত। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আল-জাজিরাকে’ সাক্ষাৎকার দেন ইরানি স্পিকার আলী লারিজানি। তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব এবং অঞ্চলটির অন্যান্য দেশের সঙ্গে সংলাপের ব্যাপারে ইরান পুরোপুরি উন্মুক্ত। কেননা তেহরান-রিয়াদ সম্পর্ক এ অঞ্চলের নিরাপত্তাগত ও রাজনৈতিক বহু সমস্যা সমাধানে সক্ষম।’

অবশ্য ইরান বলছে, মার্কিনসহ যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেই কেবল তারা সব ধরনের আলোচনায় আগ্রহী। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও এখন আলোচনার কথা বলছে। এমনকি সৌদি আরবও তাদের আলোচনার দ্বার খুলতে শুরু করেছে।

ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদিল আবদুল মাহদী গত সপ্তাহেই আল জাজিরাকে একটি সাক্ষাৎকার দেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘আমার বিশ্বাস তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনার পারদ কমিয়ে আনতে চাইছে রিয়াদ। আর এমনটা হলে কেবল সেই দেশ দুটিই নয়; গোটা মধ্যপ্রাচ্য এর সুফল ভোগ করতে পারবে।’

আরও পড়ুন :- ইমরানের মধ্যস্থতায় আলোচনায় সম্মত ইরান-সৌদি

ইরাকি প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রত্যেকেই আলোচনা বিষয়ে উন্মুক্ত। তাই এখনই সুযোগ; যা সকল পক্ষকে কাজে লাগাতে হবে।’

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড