• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

সিরিয়ায় তুর্কি আগ্রাসনের কোনো অনুমতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১০ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৩৪
মাইক পম্পেও
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। (ছবিসূত্র : ইয়াহু নিউজ)

পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সামরিক অভিযান চালানোর ব্যাপারে তুরস্ককে কোনো অনুমতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র, এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। বুধবার (৯ অক্টোবর) মার্কিন গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘তুরস্ককে সিরিয়ায় অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এখনো কোনো সবুজ সংকেত দেয়নি। যদিও সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি সম্পূর্ণই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একার একটি বিষয়।’

পম্পেও বলেন, ‘তুরস্ক সরকারের নিজ দেশের সীমান্ত সংলগ্ন নাগরিকদের নিরাপত্তার যে উদ্বেগ; তা সম্পূর্ণই বৈধ। কেননা তাদের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের হুমকি অনেক আগে থেকেই রয়েছে। যে কারণে এবার সে স্থানটি থেকেই তারা অভিযান পরিচালনা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ পরিচালনায় তুর্কি প্রশাসনকে অনুমতি দিয়েছে বলে সম্প্রতি যে খবর প্রচারিত হয়েছে; তা সম্পূর্ণই মিথ্যা।’

এর আগে গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সিরিয়ায় আইএস বিরোধী অভিযান চালুর ঘোষণা দেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপে এরদোগান। তুরস্ক সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিতেই তুর্কি সীমান্তবর্তী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিধ্বংসী সামরিক অভিযান চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আঙ্কারা।’

মূলত এর পর থেকেই সেই অঞ্চলে অবস্থানরত সেনাদের একে একে সরিয়ে নিতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়াকে ‘পেছন থেকে ছুরিকাঘাত’ বলেও এরই মধ্যে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সিরিয়ায় সক্রিয় থাকা কুর্দি বাহিনী সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্স (এসডিএফ)।

এ দিকে টুইটারে দেওয়া সিরিজ পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, ‘আপনাদের অনেকেই হয়তো ভুলে গেছেন তুরস্ক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার। তাছাড়া দেশটি ন্যাটো জোটেরও গুরুত্বপূর্ণ একটি সদস্য।

টুইট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত সিরিয়ান কুর্দি বিদ্রোহীকে ত্যাগ করেনি বলেও উল্লেখ করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, ‘আমরা বর্তমানে হয়তো সিরিয়া ত্যাগের প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি। তবে এর মানে কোনোভাবেই কুর্দিদের ত্যাগ করা নয়। এখনো আমাদের বিশেষ ও দুর্দান্ত যোদ্ধারা সেখানে রয়েছে।’

অপর দিকে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আঙ্কারার প্রধান লক্ষ্য হলো সীমান্ত এলাকায় অবস্থানরত কুর্দি যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করা। যার মাধ্যমে তুরস্কে বসবাসরত প্রায় ৩৬ লাখ সিরীয় শরণার্থীর মধ্যে অন্তত ২৬ লাখের জন্য একটি নিরাপদ নগরী গড়ে তোলা।’

আরও পড়ুন :- তুর্কি অর্থনীতিকে ধ্বংসের হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প

বিশ্লেষকদের মতে, তুর্কি অভিযানের মুখে এরই মধ্যে অঞ্চলটি থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের দাবি, অঞ্চলটিতে অবস্থানরত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে তুরস্ক যে কোনো সময় আগ্রাসন শুরু করে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র কখনোই এমন রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়াতে আগ্রহী নয়।

ওডি/কেএইচআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড